পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জিয়াউর রহমান, এইচ এম এরশাদ ও খালেদা জিয়া কেউ বাংলাদেশের উন্নয়নের ব্যাপারে আন্তরিক ছিলেন না। কারণ, তাঁদের কারও জন্মই বাংলাদেশের দেশের মাটিতে হয়নি। ইতালি সফররত প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগের ইতালি শাখা আয়োজিত এক নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন। রোমের পার্কো দে প্রিন্সিপি গ্র্যান্ড হোটেলে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, একমাত্র আমার বাবা (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান) এবং আমি বাংলাদেশের মাটির সন্তান। আমরা ছাড়া এখন পর্যন্ত যাঁরা ক্ষমতায় এসেছেন, তারা বাংলাদেশের বাইরে থেকে এসেছেন। তিনি আরো বলেন, জিয়াউর রহমান বিহারে, এইচ এম এরশাদ কোচবিহারে ও খালেদা জিয়া শিলিগুড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। আপনারা যদি খেয়াল করে দেখেন, তাহলে দেখতে পাবেন, আমি এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছাড়া আর কেউই বাংলাদেশের মাটির সন্তান নয়।
শেখ হাসিনা বলেন, আমি, বাংলাদেশের সন্তান হিসেবে এ মাটির প্রতি আমার কিছু কর্তব্যবোধ রয়েছে। দেশের উন্নয়নের জন্য দেশকে ভালোভাবে জানা অপরিহার্য। সঠিক পরিকল্পনা ও সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা একটি দেশকে অবশ্যই বদলে দিতে পারে। অনেকেই ক্ষমতায় এসেছেন। তবে তারা দেশকে ভালোভাবে জানতেন না, কেননা তাঁদের এ মাটিতে জন্মই হয়নি। তিনি বলেন, জাতির জনক এবং আমি দেশের উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পরে যাঁরা ক্ষমতায় এসেছেন, তারা দেশের উন্নয়নের কথা কখনোই ভাবেননি। ক্ষমতাকে আমরা জনগণের জন্য কাজ করার সুযোগ বলে মনে করি। এটি জনগণের সেবা করার সুযোগ। আর আমি জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করে যাচ্ছি। আর এটাই আমাদের লক্ষ্য।
আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ শুধু দেশের উন্নয়ন চায়। আমাদের আর কেউ পেছনে টানতে পারবে না। আমরা সামনে এগিয়ে যাব। বাংলাদেশের সব উন্নয়ন প্রকল্পের ৯০ শতাংশ এখন নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়ন হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখন আমরা উন্নয়ন সহযোগীদের কাছে বাংলাদেশকে ভিক্ষা দেওয়ার কথা বলি না। তারা এখন (উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে সহযোগিতা করতে) আমাদের কাছে আসে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশি প্রবাসীদের সংশ্লিষ্ট দেশের নিয়ম-নীতি মেনে চলার আহ্বান জানান, যাতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়। তিনি বলেন, সরকার দেশের প্রতিটি উপজেলা থেকে কমপক্ষে এক হাজারজনকে বিদেশে পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছে। সরকার ডিজিটাল পাসপোর্টের পর আধুনিক ই-পাসপোর্ট চালু করেছে।
বাংলাদেশের বিমানবন্দরে অনেক সময় প্রবাসীদের হয়রানির শিকার হওয়ার প্রসঙ্গ তুলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আসলে আমাদের দেশের কিছু মানুষের চরিত্রই খারাপ। যেই শোনে বাইরে থেকে আসবে, তখনই ভাবে যে একটু চাপ দিলেই মনে হয় কয়েকটা ডলার পাওয়া যাবে। এ সময় তিনি বলেন, ঘুষ যে দেয়, সেও যেমন অপরাধী; যে নেয় সেও অপরাধী; উভয়ই সমান অপরাধী। ঘুষ দিয়ে দিয়েই আপনারা এ অভ্যাসটা খারাপ করেছেন। ভবিষ্যতে এ কাজটা আর করবেন না।
এ সময় বক্তৃতা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, ইতালি আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ইদ্রিস ফরাজী এবং ইতালিপ্রবাসী হোসনে আরা বেগম।
চ্যান্সারি ভবন উদ্বোধন : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল ইতালির রোমে বাংলাদেশ দ‚তাবাসের নিজস্ব চ্যান্সারি ভবন উদ্বোধন করেছেন। ইতালির প্রধানমন্ত্রী জুসেপ্পে কোন্তের আমন্ত্রণে রোম সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ভবনটি উদ্বোধন করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট মেয়ে শেখ রেহানা, প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে ন্যাশনাল অ্যাডভাইজারি কাউন্সিল অব নিউরো ডেভেলপমেন্ট ডিজঅর্ডার অ্যান্ড অটিজম অব বাংলাদেশের চেয়ারপারসন সায়মা ওয়াজেদ হোসেন পুতুল, ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদ‚ত আবদুস সোবহান শিকদার, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ প্রমুখ।
রোমের ভায়া দেল অ্যান্তারতাইদ এলাকায় ২৩ দশমিক ৯ কাঠা জায়গার ওপর বাংলাদেশ দ‚তাবাস অবস্থিত। বেজমেন্টে দুই তলাসহ পাঁচতলা বিশিষ্ট বাংলাদেশ দ‚তাবাসের নিজস্ব এ চ্যান্সারি ভবন। তিনি ইতালির প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন পালাজো চিগিতে দেশটির প্রধানমন্ত্রী জুসেপ্পে কোন্তের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। সফরের তৃতীয় দিন বৃহস্পতিবার তিনি পোপ ফ্রান্সিসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। শুক্রবার ৭ ফেব্রুয়ারি আমিরাত এয়ারলাইন্সের ‘ইকে-২০৬’ ফ্লাইটে মিলান মেলপেনসা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা দেবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।