Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বন্ধে ব্যবস্থা কেন নয়

পিএইচডিতে জালিয়াতি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:০২ এএম

সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি এবং সমমানের ডিগ্রি কিভাবে অনুমোদন করা হয়, যথাযথ আইনগত প্রক্রিয়া মেনে হচ্ছে কি না- এই মর্মে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ৩ মাসের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে (ইউজিসি) এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান এবং বিচারপতি এ কে এম কামরুল কাদেরের ডিভিশন বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। সেই সঙ্গে ‘ঢাবির শিক্ষকের পিএইচডি গবেষণার ৯৮ শতাংশ নকল’ বিষয়ে তদন্ত করে ৬০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া পিএইচডি ডিগ্রি প্রদান চ‚ড়ান্ত হওয়ার আগে জালিয়াতির ঘটনা রোধে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে যাচাই-বাছাই কেন করা হবে না- তা জানতে চাওয়া হয়েছে। শিক্ষাসচিব, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিসহ সকল বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। গতকাল রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান লিংকন । সরকারপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।

আদালত থেকে বেরিয়ে মরিুজ্জামান লিংকন জানান, সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কোনো নীতিমালার আলোকে পিএইচডি ডিগ্রি দিচ্ছে সেটি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ইউজিসিকে তদন্ত করে ৯০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

এর আগে ‘ঢাবি শিক্ষকের পিএইচডি গবেষণার ৯৮% নকল’ শিরোনামে গত ২১ জানুয়ারি একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। বিষয়টি উদ্ধৃত করে রিট করেন সুপ্রিমকোর্ট বারের অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান লিংকন। যদিও গত ২৮ জানুয়ারি ওই শিক্ষককে অব্যাহতি দেয়া হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, ৯৮ শতাংশ হুবহু নকল পিএইচডি গবেষণার (থিসিস) মাধ্যমে ‘ডক্টরেট’ ডিগ্রি নিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আবুল কালাম লুৎফুল কবীর। ২০১৪ সালের দিকে ‘টিউবার কিউলোসিস অ্যান্ড এইচআইভি কো-রিলেশন অ্যান্ড কো-ইনফেকশন ইন বাংলাদেশ: অ্যান এক্সপ্লোরেশন অব দেয়ার ইমপ্যাক্টস অন পাবলিক হেলথ’ শীর্ষক ওই নিবন্ধের কাজ শুরু করেন আবুল কালাম লুৎফুল কবীর। তার এই গবেষণার তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন ওষুধপ্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক আবু সারা শামসুর রউফ আর সহ-তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন বিভাগের সিনিয়র শিক্ষক অধ্যাপক আ ব ম ফারুক।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জালিয়াতি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ