পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, উৎসবমুখর শান্তিপূর্ণ সিটি নির্বাচনে জনগণ ভোটের মাধ্যমে বিএনপিকে প্রত্যাখ্যান করেছে। একই সঙ্গে হরতালে সাড়া না দিয়ে জনগণ বিএনপি’র সব অভিযোগও প্রত্যাখ্যান করেছে।
গতকাল রোববার সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব মন্তব্য করেন। প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশের ইতিহাসে এবং পৃথিবীর অন্যতম বড় নগর ২ কোটি মানুষ ও ৫৪ লাখ ভোটারের ঢাকা শহরে অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন হয়েছে। এ জন্য তিনি ঢাকার সকল জনগণ, সকল ভোটার, নির্বাচন কমিশন এবং নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সবাইকে অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানান।
বিএনপির ডাকা গতকালের হরতাল বিষয়ে সাংবাদিকরা দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রথমত বাঙালি সংস্কৃতির সাথে জড়িয়ে থাকা বই মেলার উদ্বোধন ছিল গতকাল। বিএনপি হরতাল ডাকলেও বাসা থেকে সচিবালয়ে আসার পথে কয়েকবার যানজটে পড়েছি। হরতালের কোনো চিহ্ন দেখতে পাইনি।
তিনি বলেন, জনগণ ভোটের মাধ্যমে বিএনপিকে প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা যেসব অভিযোগে হরতাল ডেকেছে তাও জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে। ভোটার উপস্থিতি কম প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমি দেখেছি ৩০ শতাংশের কাছাকাছি ভোট পড়েছে। অনেক বেশি হতো এবং কম হওয়ার পেছনে নিশ্চয়ই কিছু কারণ যুক্ত। প্রথমত পূজাসহ টানা তিনদিন ছুটি থাকায় অনেকে গ্রামে চলে গেছেন। দ্বিতীয়ত শুরু থেকেই ইভিএম নিয়ে বিএনপি’র নেতিবাচক প্রচারণা মানুষের মধ্যে একটি সংশয় তৈরি করেছে। যেকারণে প্রায় ৮ থেকে ১০ শতাংশ ভোটার উপস্থিতি কম হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, ভোটের দু’দিন আগে মির্জা ফখরুল বলেছেন, আমাদের সফলতা হচ্ছে যে, আমরা ঘর থেকে বেরিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছি। এতে জনগণের মধ্যে ধারণা জন্মেছে, বিএনপি জয়লাভের উদ্দেশ্যে নির্বাচন করছে না। এটি তাদের আন্দোলনের অংশ। অর্থাৎ নির্বাচন যে প্রতিদ্ব›িদ্বতাপূর্ণ হচ্ছে না, বিএনপিই সেটি জনগণের কাছে খোলসা করেছে। এ সকল কারণ না থাকলে ভোটার উপস্থিতি আরো বেশি হতো।
ড. হাছান মাহমুদ এসময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনী পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলেন, আমাদের দেশে ভোট দেবার যোগ্য লোকসংখ্যার ৯৯.৮ শতাংশ ভোটার হয়। আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যারা ভোট দেবার যোগ্য, তাদের ৬০ শতাংশ ভোটার হয়। আর সেই ৬০ শতাংশের মধ্যে ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ ভোট পড়ে। অর্থাৎ সেখানে মোট যোগ্য ভোটারের ২৪ থেকে ৩০ শতাংশ মানুষ ভোট দেয়। সেই হিসেবে গত শনিবার ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে যে ৩০ শতাংশের কাছাকাছি মতো ভোটার উপস্থিতি ছিল, তা অনেক ভালো।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমি দেখেছি কয়েকটি কাগজে লিখেছে যে, যেখানে গোপন কক্ষ সেখানে কোনো কোনো জায়গা উঁকি দেয়া হয়েছে। এত বড় একটি নির্বাচন প্রায় আড়াই হাজার ভোটকেন্দ্র, ১৩ হাজারের বেশি বুথ। দু’একটি গোপন কক্ষে কেউ উঁকি দিয়েছে। এত ভোটার, এতগুলো ভোটকেন্দ্র। কোনো জায়গায় গন্ডগোল হয়নি। কোনো মারপিটের ঘটনা ঘটেনি। অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন হয়েছে। কোনো কেন্দ্র দখলের ঘটনা ঘটেনি। এসব হচ্ছে বড় বিষয়। কিন্তু কেউ কেউ দু’একটি উঁকি দেয়াকে বড় বিষয় হিসেবে দেখানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে। যা অনভিপ্রেত ও দুঃখজনক।
এসময় নির্বাচন কাভার করতে গিয়ে একজন সাংবাদিকের আহত হওয়ার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রী বলেন, আমি গত শনিবারও এ বিষয়ে বলেছি, কোনভাবেই কোনো সাংবাদিকের পেশাগত কাজে বাধা দেয়া সমীচীন নয়। আমরা এর নিন্দা জানাই। যতদূর জানা গেছে, সেখানকার স্থানীয় বিএনপি নেতাদের কারণে এটি ঘটেছে। তবে পুলিশের তদন্তে সব বেরিয়ে আসবে। দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।