পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দ্বার খুললো বাঙালির প্রাণের মেলার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে যাত্রা শুরু করল ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২০’। একইসঙ্গে উন্মোচিত হলো জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লেখা তৃতীয় বই ‘আমার দেখা নয়া চীন’ বইয়ের মোড়ক।
প্রতিবছর ভাষার মাসের প্রথম দিনেই মেলার যাত্রা শুরু হলেও এ বছর ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে নির্বাচনের কারণে সেই ধারাবাহিকতা ভঙ্গ হয়েছে। একদিন পর আজ রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে মেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে তিনি মেলার স্টলগুলো ঘুরে দেখেন।
এর আগে, একাডেমি প্রাঙ্গণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ‘বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার-২০১৯’ বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। ১০ পুরস্কারপ্রাপ্তদের হাতে সম্মাননাপত্র, ক্রেস্ট ও চেক হস্তান্তর করেন তিনি। এসময় পুরস্কারপ্রাপ্তদের সঙ্গে ফটোসেশনেও অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর আয়োজন মুজিববর্ষকে সামনে রেখে এবারের বইমেলা উৎসর্গ করা হয়েছে জাতির জনককেই। মেলা প্রাঙ্গণেও মিশে থাকবে জাতির জনকের জীবনের প্রতিচ্ছবি। তার জন্মশতবর্ষকে মূল থিম ধরেই সাজানো হয়েছে পুরো মেলার সব আয়োজন। প্রতিদিনের মেলামঞ্চের আয়োজনে থাকবে স্বাধীনতার মহান স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে আলোচনা।
মুজিববর্ষ উপলক্ষে জাতির জনককে নিয়ে রচিত ১০০টি গবেষণাধর্মী বই প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছে মেলার আয়োজক বাংলা একাডেমি। এ বছরের বইমেলাসহ আগামী দুই বছরের বইমেলায় এসব বই পর্যায়ক্রমে প্রকাশিত হবে। এসব বইয়ের মাধ্যমে উঠে আসবে বঙ্গবন্ধুর কারাজীবন থেকে ছাত্র আন্দোলন, চলচ্চিত্রের প্রতি তার অনুরাগ, উপন্যাস-কবিতায় চিত্রিত জাতির জনকের রূপকসহ বিভিন্ন অনুষঙ্গের জীবনপাঠ।
এবারের গ্রন্থমেলায় লিটল ম্যাগ কর্নার বাংলার একাডেমি আঙ্গিনার পরিবর্তে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বর্ধিত পরিসরে ঠাঁই পেয়েছে। এবার ২৪টি প্যাভিলিয়নের জায়গায় স্থান পেয়েছে ৩৪টি প্যাভিলিয়ন। এক ইউনিট, দুই ইউনিট, তিন ইউনিট ও চার ইউনিট আয়তনে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে স্টল, যার পরিমাণ আগের বছরের চেয়ে বেশি।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সাড়ে সাত লাখ বর্গফুট জায়গাজুড়ে অনুষ্ঠিত মেলায় প্যাভিলিয়ন বাদে থাকছে সাত শতাধিক ইউনিট। উদ্যানের মুক্তমঞ্চ এবার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে গ্রন্থমেলায়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর বিকেল ৫টার পর থেকে সবার জন্য উন্মুক্ত হয়ে যাবে গ্রন্থমেলার দ্বার। কর্মদিবসগুলোতে প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। ছুটির দিনগুলোতে মেলা খুলবে সকাল ১১টায়। আর ২১ ফেব্রæয়ারি সকাল ৮টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত বইমেলা চলবে।
গ্রন্থমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আবু হেনা মোস্তফা কামাল। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন রামেন্দু মজুমদার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।