পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়নের গতি অব্যাহত রাখার পাশাপাশি একে আরো টেকসই করার জন্য উন্নয়ন সহযোগীদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করে এই ব্যাপারে বেশি শর্তারোপ না করার আহবান জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা দেশের আরো উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি এবং আমরা আশা করি, আমাদের উন্নয়ন সহযোগীরাও আমাদেরকে খুব বেশি শর্ত না দিয়ে এসব ক্ষেত্রে সহযোগিতা করবেন। যেন যে অগ্রযাত্রা আমরা শুরু করেছি সেটাকে যেন আরো ভালভাবে সম্পন্ন করতে পারি।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের জন্য বাংলাদেশ মোটেও দায়ী নয়। পৃথিবীর অন্যান্য ছোটখাটো দেশও দায়ী নয়। আবহাওয়া পরিবর্তন ও ক্ষয়ক্ষতির জন্য উন্নত দেশগুলো দায়ী। আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে ছোট দেশগুলোর যে ক্ষতি হয় তার জন্য বড় দেশগুলোর সবচেয়ে বেশি করে অবদান রাখা দরকার।
গতকাল রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বাংলাদেশ উন্নয়ন ফোরাম (বিডিএফ)-২০২০’এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) সরকারের উন্নয়ন চাহিদার সঙ্গে যাতে উন্নয়ন সহযোগীরা যাতে সম্পৃক্ত হতে পারে, সেজন্যই দু’দিন ব্যাপী এই বিডিএফ সভার আয়োজন করেছে। যেখানে সরকারের অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার খসড়া’র পাশাপাশি উন্নয়নের ক্ষেত্রে সরকারের অগ্রাধিকার খাতগুলো তুলে ধরা হবে। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল বৈঠকের উদ্বোধনী পর্বে সভাপতিত্ব করেন। বিশ্ব ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট হার্টউইগ সেফার, জাইকার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট জুনিচি ইয়ামাদা এবং এডিবি’র ভাইস প্রেসিডেন্ট শিক্সিন চেন বক্তৃতা করেন। ইউএন রেসিডেন্ট কোয়ার্ডিনেটর এবং লোকাল কনসালটেটিভ গ্রুপের কো-চেয়ার মিয়া সেপোও বক্তৃতা করেন এবং ইআরডি সচিব মনোয়ার আহমেদ স্বাগত বক্তৃতা করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা যে কাজগুলো শুরু করেছি সেকাজ গুলোকে আমরা সাসটেইনেবল করতে চাই। আর সেটা করতে গেলে আর্থিক সঙ্গতি দরকার। আর সেক্ষেত্রে আমি মনে করি, আমাদের যারা উন্নয়ন সহযোগী আছেন তাঁরাও এগিয়ে আসবেন। সহযোগিতা করবেন।
কারণ হিসেবে তিনি বলেন, একটা বিষয়ে কেউ যখন সাকসেসফুল হয় সেখানে সাহায্য করতে তো কারো দ্বিধা থাকে না বরং আগ্রহ আরো বেশি হয়। সেটা আমরা দেখি, কাজেই সেটাই হবে বলে আমরা মনে করি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ’৭৫ এর পর আমাদের অনেক চড়াই উৎরাই পেরোতে হয়েছে, কখনো গণতন্ত্র ধারাবাহিকভাবে চলতে পারেনি, সামরিক স্বৈরশাসন বলবৎ ছিল। ফলে, দেশের কাঙ্খিত উন্নয়ন সাধিত হয়নি।
দীর্ঘ ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরই দেশের কাঙ্খিত উন্নয়ন শুরু হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এটা মাথায় রাখতে হবে কোন রাজনৈতিক কমিটমেন্ট ছাড়া কখনো কোন দেশ উন্নতি করতে পাওে না। আর সেটা আজকে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে একেবারে প্রমাণিত সত্য।
তিনি বলেন, একটি দেশকে গড়ে তোলার জন্য সেখানে যেমন রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের প্রয়োজন থাকে, কমিটমেন্ট থাকা দরকার তেমনি একটি পরিকল্পনা থাকা দরকার। প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিটি রাজনৈতিক দলের যদি একটি সুষ্ঠু পরিকল্পনা থাকে যে, দেশটাকে কিভাবে তারা গড়তে চায় তাহলেই সে দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হতে পারে। আর আমরা সে কাজটাই করেছিলাম।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা যে লক্ষ্য স্থির করেছি তাতে একজন মানুষও গৃহহারা থাকবে না, কেউ না খেয়ে কষ্ট পাবে না, বিনা চিকিৎসায় মারা যাবে না, নিরক্ষর থাকবে না,প্রতিটি মানুষ সুন্দর জীবন পাবে। ‘আবহাওয়া পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাবের জন্য বাংলাদেশ দায়ী নয় কিন্তু সবচেয়ে নির্মম শিকার’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা এই অবস্থার জন্য দায়ী তাদেরই সবথেকে বেশি অবদান রাখা দরকার।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের অভিঘাত থেকে বাংলাদেশকে রক্ষার করার জন্য আমরা ‘ ডেল্টা প্ল্যান-২১০০’ প্রণয়ন করে সেটা বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। আমরা আশা করি, আবহাওয়া পরিবর্তনের জন্য যে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে ইতোমধ্যেই আমরা সেটা মোকাবেলা করার মত পদক্ষেপ নিয়েছি। এক্ষেত্রে আমি বলবো- আমরা যখন আবহাওয়ার প্রভাব নিয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠান করি তখন অনেক প্রতিশ্রুতি (উন্নত দেশের) পাই। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি আর সেভাবে কেউ পূরণ করে না। তিনি বলেন, কাজেই আবহাওয়া পরিবর্তনের মোকাবেলায় আমরা নিজস্ব অর্থায়নে ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করেছি। নিজেদের টাকা দিয়েই এই ফান্ড গড়েছি তাতে সামান্য কিছু সহযোগিতা আমরা পেয়ে থাকি।
সরকার প্রধান বলেন, আমি মনে করি, উন্নত দেশগুলোর এবং আমাদের উন্নয়ন সহযোগীদের আরো এগিয়ে আসা দরকার। আরো সহযোগিতা দরকার। যে সমস্ত দেশ শুধু বাংলাদেশ নয়, বিভিন্ন ছোট ছোট দ্বীপ রাষ্ট্র যারা ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে তাদের সকলেরই এই সহযোগিতাটা দরকার।##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।