পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বঙ্গবন্ধু যে স্বপ্ন দেখে ছিলেন তা পূরণ করতে পারেননি। আমরা সে স্বপ্ন পূরণ করছি। বাংলাদেশের গ্রাম পর্যায়ে দরিদ্র অবহেলিত মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করছি। তাদের স্বাবলম্বী হওয়ার সুযোগ করে দেয়ার ফলেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
আজ বুধবার সকালে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ফোরামের ( বিডিএফ) দু’দিনব্যাপী সেমিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। শেখ হাসিনা বলেন, শুধু শহর নয় বাংলাদেশের তৃণমূল পর্যায়ের মানুষের জন্য বর্তমান সরকার কাজ করছে। তাদের ভাগ্যের যাতে পরিবর্তন হয়, তারা যাতে সুন্দরভাবে জীবনযাপন করতে পারে, এ জন্য বর্তমান সরকার নানাবিধ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। আমার বাড়ি আমার খামারের মাধ্যমে অনেকেই স্বাবলম্বী হচ্ছেন। লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং ট্রেনিং করে কম্পিউটারের মাধ্যমে আজ প্রত্যন্ত অঞ্চলের যুবকরা ঘরে বসে ভালো পয়সা ইনকাম করছে।
‘দরিদ্রদের ছেলেমেয়েরা যাতে স্কুলগামী হয়, সেজন্য তাদের বৃত্তি প্রদান করছি। বর্তমানে দুই কোটি তিন লাখ ছাত্র-ছাত্রীকে আমরা বৃদ্ধি দিচ্ছি। সে টাকা ছাত্র-ছাত্রীর মায়েদের মোবাইল ফোনে চলে যায়। আমার বাড়ি আমার খামারের মাধ্যমে আমরা মাইক্রো সেভিংস প্রকল্প চালু করে দিয়েছি। কেউ ১০০ টাকা জমাতে পারলে সরকার তাকে আরও ১০০ টাকা দিচ্ছে। দারিদ্র্যের হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আমরা এসমস্ত প্রকল্প গ্রহণ করেছি।’
‘আমরা কর্মসংস্থান ব্যাংক করেছি। যে ব্যাংকের মাধ্যমে বিনা জামানতে দুই লাখ টাকা লোন নিয়ে একজন বেকার যুবক ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারে। বাংলাদেশের যে অগ্রযাত্রা আমরা শুরু করেছি, এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে। ৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পরে আমরা বিদ্যুতের উৎপাদন পেয়েছিলাম ১,৬০০ মেগাওয়াট। আজ আমরা ২২ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছি। ৯৫ ভাগ মানুষ বিদ্যুতের আওতায় এসেছে। আমাদের জিডিপি এখন ৮ দশমিক ৫ ভাগ এবং মূল্যস্ফীতি আমরা পাঁচ ভাগে নামিয়ে রাখতে পেরেছি। এর সুফল বাংলাদেশের মানুষ পাচ্ছে। আমাদের অর্জিত সাফল্যকে ধরে রেখে আমরা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে চাই।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা আগামী ৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ গড়তে চাই। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যেন একটি উন্নত দেশ পায়, তারা যেন মাথা উঁচু করে বাংলাদেশের পরিচয় দিতে পারে, সেভাবে আমরা বাংলাদেশকে গড়ে তুলছি। এ জন্য আমরা ২১০০ সাল পর্যন্ত ডেল্টাপ্ল্যান গ্রহণ করেছি। অদম্য বাংলাদেশ এখন থেকে প্রতিনিয়ত এগিয়ে যাবে। এর এগিয়ে যাওয়ার গতি আর কেউ থামাতে পারবে না।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছার সঙ্গে সঙ্গে ‘ধনধান্যে পুষ্পে ভরা আমাদের এই বসুন্ধরা’ গান এবং নৃত্যের মধ্য দিয়ে প্রধান অতিথিকে স্বাগত জানানো হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।