পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, ভারতীয় উদ্যোক্তাদের জন্য বাংলাদেশ একটি পৃথক অর্থনৈতিক অঞ্চলের সুবিধা দেওয়া হবে। একই সঙ্গে এ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করে উৎপাদিত পণ্য ভারতে রপ্তানির সুবিধা নিতে সে দেশের উদ্যোক্তাদের প্রতি আহবান জানান।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) রাজধানীর বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে তিন দিনব্যাপী ভারতীয় ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য প্রদর্শনী ‘ইন্ডি-বাংলাদেশ ২০২০’ এর উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহবান জানান। ভারতের ইঞ্জিনিয়ারিং এক্সপোর্ট প্রমোশন কাউন্সিল (ইইপিসি) বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশনের সহায়তায় এর আয়োজন করে।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে বাংলাদেশ অত্যন্ত উদার নীতি গ্রহণ করেছে। ফলে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য আকর্ষণীয় গন্তব্যে পরিণত হয়েছে। বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে সরকার আকর্ষণীয় প্রণোদনাসহ ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছে। এসব অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগকারীদের জন্য বিডা প্রাথমিক তথ্য সেবা থেকে শুরু করে নিবন্ধন পর্যন্ত সর্বাত্মক সহায়তা দিচ্ছে।
তিনি জানান, ২০১৭ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময় অনেক স্বনামধন্য উদ্যোক্তারা বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন। এর ফলে অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশে ভারতীয় বিনিয়োগ ৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
ভারতীয় হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলী দাশ বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত বাংলাদেশের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ ক্রমেই বাড়ছে এবং ব্যবসা ও বিনিয়োগের জন্য নতুন নতুন ক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে। তিনি বাংলাদেশের ধারাবাহিক ও টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির প্রশংসা করে বলেন, গত অর্থবছরে ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের মাধ্যমে বাংলাদেশ উদীয়মান অর্থনীতির দেশে পরিণত হয়েছে।
ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, বন্ধুপ্রতীম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের উন্নয়ন অভিযাত্রায় ভারতের অংশীদারিত্ব বাড়বে। এ লক্ষ্যে ভারত ভবিষ্যতে বাংলাদেশে সরাসরি বিনিয়োগ বাড়াবে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির ধারাকে এগিয়ে নিতে প্রকৌশল শিল্পের বিকাশ গুরুত্বপূর্ণ। এ ধরণের প্রদর্শনী আয়োজন দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধির সম্ভাবনা জোরদারের পাশাপাশি বৈশ্বিক সাপ্লাই চেইনে অংশীদারিত্বের সুযোগ শক্তিশালী করবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
উল্লেখ্য, তিন দিনব্যাপী এ প্রদর্শনী ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে। এতে ভারতের শতাধিক প্রকৌশল উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। এসব প্রতিষ্ঠান তাদের উৎপাদিত পণ্য ও প্রযুক্তি প্রদর্শন করছে। এ প্রদর্শনী প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।