Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সংসদে ইসমাত আরার জানাজা

প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২২ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:০২ এএম

যশোর-৬ আসনের সরকার দলীয় এমপি ও সাবেক জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেকের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ জানাজায় অংশ নেন। জানাজার পর ইসমাত আরার মরদেহে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান প্রেসিডেন্ট। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এরপর দলীয় প্রধান হিসেবে দলের নেতাদের নিয়ে মরদেহে ফুল দেন শেখ হাসিনা। পরে সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী ইসমাত আরার মরদেহে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন। ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া, প্রধান হুইপ ন‚র-ই-আলম চৌধুরী, বিরোধীদলীয় নেতার পক্ষে বিরোধীদলীয় প্রধান হুইপ মশিউর রহমান রাঙ্গা কফিনে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন।

জানাজার আগে সাবেক জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমত আরার সংক্ষিপ্ত জীবন বৃত্তান্ত পাঠ করেন হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন। পরে মরহুমার রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। দোয়া ও মোনাজাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অংশ নেন। জানাজায় মন্ত্রিসভার সদস্য, সংসদ সদস্য, সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ অংশ নেন। জানাজার আগে পরিবারের পক্ষ থেকে সবার উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন ইসমাত আরার ছেলে তানভীর সাদেক। প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী পরে তানভীর সাদেক এবং তার বোন নওরীন সাদেকের সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বলেন এবং তাদের সান্ত¡না দেন।

গতকাল রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল ১১টার দিকে ইনন্তেকাল কাল করেন ইসমাত আরা সাদেক। তিনি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যশোর-৬ (কেশবপুর) নির্বাচনি এলাকা থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারি নতুন সরকার গঠিত হলে তাকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী করা হয়। পরবর্তীতে ১৫ জানুয়ারি তাকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচনে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেও মন্ত্রিসভায় স্থান পাননি। ইসমাত আরা সাদেকের স্বামী প্রয়াত এ এস এইচ কে সাদেক সাবেক শিক্ষামন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য ছিলেন।

এ দিকে সাবেক জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমত আরা সাদেকের শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তিনি অত্যন্ত সৎ, নিষ্ঠাবান ও দেশপ্রেমিক ছিলেন। কিন্তু কখনও রাজনীতিতে খুব সক্রিয় ছিলেন না। তার স্বামী এ এস এইচ কে সাদেক ১৯৯১ সালে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। সেই সময় যখন আমরা সরকার গঠন করতে পারলাম না, তখনই তিনি আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। সেই থেকে দুজন একসঙ্গে আসতেন, কথা হতো।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাদেকের মৃত্যুর পর মিসেস সাদেককে যখন নির্বাচন করার জন্য বললাম, উনি প্রথমে একটু ঘাবড়ে গিয়েছিলেন। আমি বলেছিলাম, হ্যাঁ, আপনি পারবেন। উনি ইলেকশন করে জিতে আসার পর আমি যখন উনাকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দিলাম তিনি বললেন, আমি তো কখনও এভাবে অফিস করিনি। আমি হাউস ওয়াইফ (গৃহিণী) ছিলাম। আমি কীভাবে করব? তখন আমি বললাম, আপনি শিক্ষিত মহিলা, আপনি জানেন আপনার স্বামী একজন মন্ত্রী ছিলেন। আপনার তো জানাই আছে সবকিছু। আমি আছি আপনার কোনো চিন্তা নেই। যখন যা দরকার হবে আপনি বলবেন। তাছাড়া আমার বিশ্বাস আছে আপনি পারবেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রধানমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ