পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সিলেটের হাওর, বাঁওড়, বিলসহ অসংখ্য জলাশয় এখন অতিথি পাখির স্বর্গরাজ্য। সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরকে পরিযায়ী পাখির স্বর্গ বলা যায়। এবার টাঙ্গুয়ার হাওরে ৩৫ প্রজাতির ৫১ হাজার ৩৬৮টি জলচর পরিযায়ী পাখি গণনা করা হয়েছে।
চলতি বছর বাংলাদেশ বার্ড ক্লাব, প্রকৃতি সংরক্ষণ বিষয়ক সংস্থাগুলোর আন্তর্জাতিক জোট আইইউসিএন, ওয়ার্ল্ড বার্ড মনিটরিং ও বাংলাদেশ বন বিভাগের যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত পাখি শুমারিতে এসব তথ্য উঠে এসেছে। গত বুধবার থেকে টাঙ্গুয়ার হাওরে ১০ দিনের পাখি গবেষণা ও পর্যবেক্ষণ শুরু হয়। যা শেষ হবে আগামী শনিবার। গতকাল বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ইনাম আল হক, আইইউসিএন’র গবেষক সাকিব আহমেদ, জেনিন আজমিরী, রিবাউন্ড বার্ড ক্লাবের সদস্য পল থমসন ও যুক্তরাজ্যের পাখি পর্যবেক্ষক জেমস পেন্ডারসহ একটি দল পাখি শুমারি চালায়। ওয়ার্ল্ড বার্ড মনিটরিংয়ের মুখ্য গবেষক ও আইইউসিএন’র বাংলাদেশের মুখ্য গবেষক সীমান্ত দীপু বলেন, আইইউসিএন ও লিনিয়াস বিশ্ববিদ্যালয়ের সহায়তায় ওয়ার্ল্ড বার্ড মনিটরিং প্রোগ্রাম টাঙ্গুয়াতে পাখি শুমারি ও পাখির গায়ে স্যাটেলাইট রিং পরানোর যাবতীয় গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, চলতি বছর পাখি শুমারিতে আমরা ৫৩ প্রজাতির ৫১ হাজার ৩৬৮টি জলচর পাখি পেয়েছি। এর মধ্যে সর্বাধিক নয় হাজার ৯২৫টি পাতি কুট পাখির দেখা মিলেছে। লাল মাথার ভুতিহাঁস পেয়েছি আট হাজার ৩৯৪টি, পাতি তিলিহাঁস সাত হাজার ২৭৮টি, লেঞ্জাহাঁস পাঁচ হাজার এবং ইউরেশীয়-সিঁথিহাঁস চার হাজার ৮৪৬টি। তবে এর মধ্যে অনেক বিরল ও বিপন্ন পাখির দেখা পেয়েছি আমরা। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ১২০টি খয়রা কাস্তেচরার দেখা মিলেছে।
এবারও পাখির গায়ে স্যাটেলাইট রিং পরানো হচ্ছে জানিয়ে গবেষক সীমান্ত দীপু বলেন, গত বছর আমরা ৪৪টি পাখিকে রিং পরিয়েছি। ওই ৪৪টি পাখির মধ্যে বেশ কিছু এ বছর ফিরে এসেছে। এর মধ্যে দুটি পাখি হাওরে রয়েছে। জানুয়ারিতে পাখির সংখ্যা ৫১ হাজার থাকলেও ফেব্রæয়ারিতে তা দুই লাখে পৌঁছাবে জানিয়ে এই গবেষক বলেন, পানি যত কমবে জলজ উদ্ভিদ তত ভেসে উঠবে। জলজ উদ্ভিদ এসব জলচর পাখির প্রধান খাবার। খাবার ভেসে উঠলে এদের আগমন বাড়বে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।