গত ১৯ জানুয়ারি দৈনিক ইনকিলাবে ৮ এর পৃষ্ঠায় ‘পুলিশের এডিসির বিরুদ্ধে বাড়ি দখল ও যৌন হয়রানির অভিযোগ’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনের প্রতিবাদ জানিয়েছেন ডিএমপির ধানমন্ডি জোনের এডিসি মো. আব্দুল্লাহিল কাফী।
প্রতিবাদলিপিতে তিনি উল্লেখ করেন শারমীন আক্তার বিথীগণ অন্যায়ভাবে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে প্রতিবেদনে উল্লেখিত বাড়িটি পুলিশ অবৈধভাবে দখল করতে না দেওয়ায় পুলিশের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলণ করেন। এতে অসত্য, মনগড়া ও ভিত্তিহীন তথ্য উপস্থাপন করা হয়। হাজারীবাগ থানার হাজী আক্তার হোসেন রোডের ১৪২ নম্বর বাড়িটি এডিসি মো. আব্দুল্লাহিল কাফীকে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য কে বলছে তা উল্লেখ করা হয়নি।
বিষয়টি মিমাংসার জন্য এডিসি মো. আব্দুল্লাহিল কাফীর সাথে দেখা করতে গেলে ৩০ লাখ টাকা দাবি ও যৌন নিপিড়নের চেষ্টা করার কথা উল্লেখ করা হলেও কখন কোথায় দেখা করেছেন; এ বিষয়ে তার সু-স্পষ্ট কোনো তথ্যের উল্লেখ নেই। এছাড়া প্রকৃত পক্ষে শারমীন সিদ্দিকী বিথী ও তার মা বেদানা বেগম এর সহিত এডিসি মো. আব্দুল্লাহিল কাফীর সরাসরি স্বাক্ষাত কখনো হয়নি। এমনকি মোবাইল ফোনেও কোন প্রকাশ যোগাযোগ হয়নি। ফলে প্রতিবেনের তথ্যটি ভিত্তিহীন এবং সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যেমূলক বলে প্রতীয়মান হয়।
এছাড়াও ২০১৯ সালের ২০ জুলাই হাজারীবাগ ও সিবিটি ফাঁড়ি পুলিশ তাদের আটক করে থানায় নেওয়ার অভিযোগ করলেও ঘটনার সময়, কোন কোন অফিসার কিংবা পুলিশ সদস্য ছিল তাদের কোনো নাম উল্লেখ করা হয়নি। এছাড়া বাড়িটি পরিত্যাক্ত ছিল জানিয়ে প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়, মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবী এবং অপরাধীরা ওই বাড়িতে অবস্থান করে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড চালায় সেখানে অভিযান চালানো হয়।
প্রতিবেদকের বক্তব্য: প্রকাশিত প্রতিবেদনতে প্রতিবেদকের নিজস্ব কোনো বক্তব্য ছিলো না। কারো প্রভাবিত অথবা কাউকে হেয় করার জন্য প্রতিবেদনটি করা হয়নি। প্রতিবেদনটি গত ১৮ জানুয়ারি দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচাস্থ বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার এসোসিয়েশন (ক্র্যাব) মিলানয়তনে সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া তথ্য থেকে করা হয়েছিল। এছাড়া প্রতিবেদনে এডিসি মো. আব্দুল্লাহিল কাফীর বক্তব্যও রয়েছে।