Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯ আশ্বিন ১৪৩১, ২০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

তাদের এভাবে চলে যাওয়া দুঃখজনক

আমার হাতে গড়া ছাত্রনেতা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২০ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:০১ এএম

প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা সংসদ সদস্য আবদুল মান্নানের অকাল মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করে বলেছেন, ছাত্রনেতাদের যেখানে আওয়ামী লীগের দায়িত্ব নেয়ার কথা, সেখানে তারাই একে একে বিদায় নিচ্ছে। আমার হাতে গড়া ছাত্রনেতাদের এভাবে বিদায় নেয়াটা দুঃখজনক।

গতকাল রোববার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য সদ্য মরহুম আবদুল মান্নানের মৃত্যুতে আনীতে শোক প্রস্তাবের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ওই আলোচনায় আরো অংশ নেন আওয়ামী লীগ নেতা আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, বেগম মতিয়া চৌধুরী, মোহাম্মদ নাসিম, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, ড. মহীউদ্দিন খান আলমগীর, শাজাহান খান, এ বি তাজুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস, প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, মোসলেম উদ্দিন, উপাধ্যক্ষ আবদুস শহীদ, নজরুল ইসলাম বাবু ও আনোয়ার আবেদীন খান এবং বিরোধী দলের চিফ হুইপ মশিউর রহমান রাঙ্গা ও পীর ফজলুর রহমান।

আলোচনা শেষে শোক প্রস্তাবটি সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয়। পরে মরহুম সংসদ সদস্য আবদুল মান্নানের রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর চলতি সংসদের সংসদ সদস্যের মৃত্যুতে রেওয়াজ অনুযায়ী সংসদ অধিবেশনের সকল কার্যক্রম স্থগিত রেখে সোমবার বিকাল সোয়া চারটা পর্যন্ত মুলতবি ঘোষণা করেন স্পিকার।

আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৮১ সালের ফিরে আসার পর মান্নানকে ছাত্রনেতা হিসেবে পেয়েছিলাম। ১৯৮৩ সালে তাকে ছাত্রলীগের সভাপতি করি। তখন ছাত্রলীগের খুব দুঃসময় ছিল। অনেকেই ছাত্রলীগ ছেড়ে চলে গিয়েছিল। সে দক্ষতার পরিচয় দিয়েছিল। তাই পরবর্তীতে তাকে আওয়ামী লীগে নিয়ে আসি। সে আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক ছিল। বগুড়ার মতো জায়গা ওকে নমিনেশন দিলাম। মান্নান সেখানে থেকে জিতে আসলো। পর পর তিনবার সেখান থেকে সংসদ সদস্য।

অতীত স্মৃতিচারণ করে সংসদ নেতা বলেন, মৃত্যুর দুইদিন আগে আমার সঙ্গে অনেক কথা বলল। আমাদের সেন্ট্রাল কমিটিতে নানক আসলেও সে আসতে পারেনি। বোধহয় মনে একটু দুঃখ ছিল। আমি বললাম, আমি তো তোমাদের কাউকে ফেলে দেইনি। তুমি আওয়ামী লীগে ছিলে এবং তোমাকে আমি নমিনেশন দিয়েছি, সংসদ সদস্য হয়েছো। কথা বলার সময় দেখলাম তার শরীরটা একটু খারাপ। আমি ওকে বললাম তোমার শরীর মনে হয় ভালো না, তুমি একটু ভালোভাবে চিকিৎসা কর এবং চেকআপ করো। ঠিক তারপরই হাসপাতালে ভর্তি। পরদিন খবরটি পেলাম। এভাবে পরপর তিনজন সংসদ সদস্য আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন। এটা খুবই কষ্টের।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রধানমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ