প্রশ্ন : বিদেশ থেকে দেশে ফিরলে মুসাফির থাকা প্রসঙ্গে।
প্রশ্নের বিবরণ : আমি ২৩ বছর হল অষ্ট্রেলিয়া থাকি এবং বলতে গেলে এটাই এখন আমার পারমানেন্ট ঠিকানা। দেশে যাওয়া হয় খুব কম, তবে যখন যাই
উত্তর : আল্লাহর সৃষ্টি প্রাণী জগতের চিত্র অংকন যে কারণে হারাম, আর যে কারণে চিত্র বা আকৃতি নির্মানের শাস্তি স্বরূপ কেয়ামতের দিন বলা হবে, আমার মতো ¯্রষ্টা হতে চেয়েছিলে। এখন এতে প্রাণ সঞ্চারিত কর। এ কথা বলেই চিত্রকরদের সবচেয়ে বেশি শাস্তি দেওয়া হবে বলে হাদীসে আছে। মুর্তি নির্মাণও এজন্যই মহাপাপ। পাশাপাশি এতে শিরকের সামগ্রী তৈরির গোনাহও মিলিত হয়। রোবটিকস সাবজেক্টটিও এ মূলনীতির মধ্যে পড়ে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়েও শরীয়তে বিস্তারিত নির্দেশনা আছে। মানবতার জন্য ক্ষতিকর কোনো বিষয় চর্চা শরীয়তে জায়েজ নেই। নৈতিক ও উপকারী জ্ঞান চর্চা জায়েজ আছে। প্রাণী ছাড়া অন্য কোনো রোবটিকস সামগ্রী তৈরি করা জায়েজ হতে পারে। তবে, প্রাণীর সদৃশ রোবট জায়েজের আওতায় পড়ে না।
উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী
সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতওয়া বিশ্বকোষ।
প্রশ্ন পাঠাতে নিচের ইমেইল ব্যবহার করুন।
[email protected]
ইসলামিক প্রশ্নোত্তর বিভাগে প্রশ্ন পাঠানোর ঠিকানা
[email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।