Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

৫-জি’র অভিজ্ঞতা নিতে মেলায় উপচেপড়া ভিড়

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৭ জানুয়ারি, ২০২০, ৫:২৬ পিএম | আপডেট : ৮:০৩ পিএম, ১৭ জানুয়ারি, ২০২০

দেশে প্রথমবারের মতো আয়োজিত ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা’র দ্বিতীয় দিনে ছিল দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়। শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় সকাল থেকেই দলে দলে তরুণ-তরুণীরা, অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের নিয়ে মেলায় প্রবেশ করেন আগামী দিনের প্রযুক্তি দেখতে। বিভিন্ন স্টলে ফাইভজি’র প্রযুক্তি ব্যবহার করে অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য রাখা ছিল। দর্শনার্থীরা এসব প্রযুক্তি ব্যবহার করে অভিজ্ঞতা নিয়েছেন। মেলার মূল আকর্ষণে মেলার টাইটেনিয়াম সহযোগি হুয়াওয়ের ৫-জি প্রদর্শন। প্রতি সেকেন্ডে ১.৬ জিবি গতির ডেটা, বিশেষভাবে নির্মিত ‘হিউম্যানয়েড রোবট’ কে হাতের ইশারায় ফুটবল খেলানো, ভার্চুয়াল রিয়ালিটিতে (ভিআর) বরফের ওপর স্কিইং করা, এরিকশনের টেলিমেডিসিন, রোবটের ব্যবহার, ফাইবার অপটিক্যালের ব্যবহারের মাধ্যমে দ্রুতগতির ইন্টারনেটসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রদর্শনী উপভোগ করেন দর্শনার্থীরা।

শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় মেলায় ৫জির অভিজ্ঞতা নিতে বিপুল সংখ্যক দর্শনার্থী ভীড় করেন। আগত দর্শনার্থীদের মধ্যে সব বয়সীরাই ছিলেন। তবে তুলনামূলকভাবে তরুণদের সংখ্যাই বেশি। স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া নানা বয়সী শিক্ষার্থীরা দলে দলে এসে বিনামূল্যে ৫-জি পরীক্ষা করছে। রিয়েল টাইমে ৫-জি ’র বিস্মকর গতিতে তারা মুগ্ধ এবং উচ্ছ্বসিত। ৫-জি’র অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তাসনিম মিতু বলেন, “অবিশ্বাস্য! আমি তো রীতিমত মুগ্ধ। রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রায়হান রাফি বলেন, এক কথায় বলতে গেলে, ৫-জি জি’র স্পিড দেখে আমি বিস্মিত এবং চরম শিহরিত। ইন্টারনেটে এমন স্পিড যে পাওয়া যেতে পারে, সেটা নিজ চোখে না দেখলে আমি বিশ্বাসই করতে পারতাম না।

দর্শনার্থীরা শুক্রবার ৫-জি ব্যবহারে সেকেন্ডে ১.৬ জিবি গতিতে ডেটা ট্রান্সফারের অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। ৫-জি ’র উন্নয়ন ও গবেষণায় হুয়াওয়ের দীর্ঘ দিনের অবিরাম প্রচেষ্টার ফলেই এটি সম্ভব হয়েছে। ৫-জি ’র অত্যাধুনিক প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও গবেষণায় গত ১০ বছর কাজ করছে হুয়াওয়ে এর মধ্যেই এজন্য ব্যয় করেছে চার বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

৫-জি’র অভিজ্ঞতা নেয়া ছাড়াও দর্শনার্থীরা রিয়েল টাইম ভিআর উপভোগ করছেন। ৫-জি ভিআর চোখে পরার সাথে সাথেই তারা নিজেদেরকে আবিষ্কার করছেন বরফের উপর স্কিইরত অবস্থায়।

হুয়াওয়ে প্যাভেলিয়নে শিশু-কিশোরদের ভিড় বেশি হওয়ার আরেকটি কারণ হচ্ছে, ‘হিউম্যানয়েড রোবট’। বিশেষভাবে নির্মিত রোবটটিকে যে কেউ নিজ হাতের ইশারায় ফুটবল খেলাতে পারে।

হাতের ইশারায় রোবটটিকে খেলাতে পেরে ভীষণ উচ্ছ্বসিত শিশুশ্রেণি পড়ুয়া এরিক আহসান। তার বাবা এনামুল আহসান বলেন, “রোবট ওর ভীষণ পছন্দের। তাই এ ধরণের একটি আয়োজনের করা হয়েছে শুনে ওকে নিয়ে আসলাম। ও ভীষণ উপভোগ করছে। বিনামূল্যে এ রকম চমৎকার অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ করে দেয়ায় হুয়াওয়েকে ধন্যবাদ।”

উন্নত প্রযুক্তি এবং ভার্চুয়াল রিয়েলিটির সরাসরি অভিজ্ঞতা দিতেই হুয়াওয়ের এই আয়োজন বলে জানিয়েছেন হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের মার্কেটিং ডিরেক্টর নাজমুল হাসান। মেলায় হুয়াওয়ের ৫-জি স্মার্টফোনের অভিজ্ঞতা নেয়ার সুযোগ পাচ্ছেন দর্শনার্থীরা। পাশাপাশি বাজারে বর্তমান হুয়াওয়ের ফোনগুলোও কিনতে পারছেন তারা।

গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকে কেন্দ্রে শুরু হওয়া তিনদিন ব্যাপী এই মেলা চলবে আগামীকাল শনিবার পর্যন্ত। মেলায় ডিজিটাল প্রযুক্তির মহাসড়ক বিনির্মাণে অগ্রগতি, চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা এবং পরিবর্তিত বিশ্বে নতুন সভ্যতার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, আইওটি, রোবটিক্স, বিগ ডেটা, ব্লকচেইন ও ফাইভ-জির বিস্ময়কর প্রভাব প্রদর্শন করা হচ্ছে। প্যারেন্টাল কন্ট্রোল, ট্রিপল প্লে (এক কেবলে ফোন লাইন, ইন্টারনেট ও টেলিভিশন সংযোগ), মোবাইল অ্যাপ, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা ও নতুন ডিজিটাল প্রযুক্তি প্রদর্শিত হবে এ মেলায়। জেডটিই, হুয়াওয়ে, নকিয়া ও এরিকসন ফাইভ-জি প্রযুক্তির প্রদর্শন করছে মেলায়। ইন্টারনেট সেবাদাতাসহ (আইএসপি) ৮২টি প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশ নিচ্ছে।এতে ২৫টি স্টল, ২৯টি মিনি প্যাভিলিয়ন ও ২৮টি প্যাভিলিয়ন রয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: হুয়াওয়ে


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ