পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর মতো মানুষেরা ক্ষণজন্মা, এরা বেশি দিন বাঁচে না। অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের সরকারের একটাই লক্ষ্য বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়া। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন হলেই দেশ উন্নত হবে। আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের একটা স্বাধীন দেশ দিয়েছেন। আমাদের নিজস্ব পরিচয় দিয়েছেন। দেশের সকল উন্নয়ন পরিকল্পনার সূচনা বঙ্গবন্ধুর হাত ধরেই। তার হাত ধরেই সংবিধান পেয়েছি। বঙ্গবন্ধু কবির মতো দেশের সকল উন্নয়ন সাজিয়েছেন। তিনি আমাদের মুক্তির কবি ছিলেন।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর হাতিরঝিলের এমফি থিয়েটারে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) আয়োজিত ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ’ উপলক্ষে এক আনন্দ উৎসবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানটি একযোগে বাংলাদেশের সকল উপজেলায় এবং কেন্দ্রীয়ভাবে উসব পালন ও বর্ণিল আতশবাজি করা হয়। বঙ্গবন্ধুর ইতিহাস ও বর্তমান সরকারের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরা হয় অনুষ্ঠানে।
আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, আমাদের জীবনে বেদনার দিন একটাই বঙ্গবন্ধুকে হারাতে হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর রেখে যাওয়া কাজ সম্পন্ন করতে হবে। জাতির জনকের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হবে। আমাদের প্রধানমন্ত্রীর একটাই লক্ষ্য জাতির জনকের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা। প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে অনেক স্বপ্ন এখন বাস্তব হয়ে আমাদের সামনে উঠে এসেছে। বঙ্গবন্ধুর লক্ষ্য অনুযায়ী সব কিছু বাস্তবায়ন করবো। ৩০ লাখ মুক্তিযোদ্ধাদের নিকট আমাদের অনেক ঋণ। মুক্তিযুদ্ধে ২ লাখ মা-বোন সব কিছু হারিয়েছেন। তাদের ঋণ পরিশোধ কখনও হবে না। তারপরও দেশের উন্নয়ন করলে তাদের রুহ শান্তি পাবে। বঙ্গবন্ধুকে সব সময় স্মরণ করতে হবে। বঙ্গবন্ধু যেন হাজার বছর আমাদের সামনে উজ্জল নক্ষত্রের মতো থাকে। বঙ্গবন্ধুকে আমাদের মধ্যে আজীবন বাঁচিয়ে রাখতে তরুণদের এগিয়ে আসার আহŸান জানান অর্থমন্ত্রী।
দেশের উন্নয়ন তুলে ধরে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ এই অঞ্চলে সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়াকে হারিয়ে শীর্ষে অবস্থান করবে। ২০৪১ সালে বাংলাদেশ টপ-২০ এর মধ্যে চলে আসবে। আপনারা এই হিসাব আমাদের সঙ্গে মিলিয়ে নিতে পারেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০৩১ সালে বাংলাদেশ তাইওয়ানকে ছাড়িয়ে যাবে। ২০৪১ সালে সোনার বাংলা গড়ে উঠবে। বর্তমানে ১৯৩টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ৩০ নম্বরে অবস্থান করছে। ২০২৭ সালে বাংলাদেশ ২৪ তম অর্থনীতির দেশ হবে।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মনোয়ার আহমেদ বলেন, শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট বাঙ্গালি আমাদের জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর প্রতি। যিনি বিশ্ব দরবারে আমাদের দিয়েছেনÑ একটা ভূখন্ড, একটি পতাকা, একটি মানচিত্র ও আমাদের পরিচয়। তিনি জন্ম নিয়েছিলেন বলেই জন্ম নিয়েছে বাংলাদেশ। সেই ক্ষণজন্মার জন্মশতবার্ষিকীকে সামনে রেখেই ইআরডির পক্ষ থেকে আমাদের এই আয়োজন। তৃণমূল পর্যায়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে উদযাপনের জন্য আমরা বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছি।
মনোয়ার আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু এক অনন্য সত্ত¡া। এককে বাদ দিয়ে অন্যকে কল্পনা করাও অসম্ভব। আমাদের আজকের যে উন্নয়ন, তা বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথ ধরেই তার সুযোগ্য কন্যা আমাদের প্রধানমন্ত্রী বাস্তবায়ন করছেন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (সিনিয়র সচিব) সাহিন আহমেদ চৌধুরী প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।