পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
১২টি সিটি করপোরেশনের ২৮টি পয়েন্টে জমায়েত : ৮৩টি পয়েন্টে কাউন্টডাউন ঘড়ি
একশ’ ডিজিটাল সার্ভিস
স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ। বর্ণাঢ্য সংগ্রামবহুল জীবনের অধিকারী বিশ্ব ইতিহাসে ঠাঁই করে নেয়া স্বাধীন বাংলাদেশের রূপকার বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি পাকিস্তানের কারাগারে বন্দী জীবনের অবসান ঘটিয়ে লÐন হয়ে ১০ জানুয়ারি স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরে আসেন। চলতি বছরের ১৭ মার্চ তাঁর জন্মগ্রহণের শততম বছর পূর্ণ হবে। ইতোমধ্যেই আগামী ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ১৭ মার্চ পর্যন্ত রাষ্ট্্রীয়ভাবে ‘মুজিব বর্ষ’ ঘোষণা করা হয়েছে।
ইতিহাসের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘জন্ম শতবর্ষ’ উদযাপনের কাউন্টডাউন শুরু হচ্ছে আজ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কেন্দ্রীয়ভাবে বিকেলে তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দরে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে মুজিব বর্ষের কাউন্টডাউন অনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। এরপর প্রতিটি জেলা, উপজেলা ও সকল পাবলিক প্লেসে একই সঙ্গে কাউন্টডাউন শুরু হবে। এছাড়া সারা দেশের ১২টি সিটি করপোরেশনের ২৮টি পয়েন্টে, বিভাগীয় শহরগুলো, ৫৩ জেলা ও দুই উপজেলা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ রাজধানীতে মোট ৮৩টি পয়েন্টে কাউন্টডাউন ঘড়ি বসানো হয়েছে।
বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মবার্ষিকী উদযাপনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। একই সঙ্গে একটি বাস্তবায়ন কমিটিও গঠন করা হয়েছে। জন্মশতবার্ষিকীর মাহেন্দ্রক্ষণ আজ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কেবল একজন ব্যক্তি নন। বঙ্গবন্ধু একটি পতাকা, একটি মানচিত্র, একটি দেশ, বাঙালি জাতীয়তার একটি মহাকাব্য, জাতি নির্মাণের কারিগর, কোটি কোটি মানুষের ঠিকানা প্রদানের সংগ্রাম, একটি বিপ্লব, একটি অভ্যুত্থান, একটি ইতিহাস, একটি জাতির ধ্রæবতারার নাম।
তিনি রাজনীতির কবি, ইতিহাসের মহানায়ক, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি। বাংলা ভাষার প্রখ্যাত দার্শনিক অন্নদাশঙ্কর রায় লিখেছেন ‘যতকাল রবে পদ্মা যমুনা/গৌরী মেঘনা বহমান/ততকাল রবে কীর্তি তোমার শেখ মুজিবুর রহমান..’। সত্যিই তাই।
উপনিবেশিক শাসনামলে ১৯২০ সালে গোপালগঞ্জের অজ-পাড়াগাঁ মধুমতি নদীর তীরে টুঙ্গিপাড়ায় শেখ পরিবারে জন্ম নেয়া খোকা নামের একটি শিশু কালের আবর্তে হয়ে উঠেন নির্যাতিত-নিপীড়িত বাঙালির মুক্তির দিশারি। গভীর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, নিঃস্বার্থ আত্মত্যাগ এবং জনগণের প্রতি মমত্ববোধের কারণে পরিণত বয়সে তিনি হয়ে ওঠেন সাড়ে সাত কোটি মানুষের অবিসংবাদিত নেতা।
গোপালগঞ্জের ‘খোকা’ থেকে ‘জাতির জনক’ হয়ে ওঠার দীর্ঘ পথযাত্রার বাঁকগুলোর পরতে পরতে রয়েছে ইতিহাস। জাতির জনকের শততম জন্মদিনের পথের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে পথ থেকে পথে চলার আজন্মের সাধনার, জীবনাদর্শের দীর্ঘ অনুশীলন ও অসম্ভব কষ্টসহিষ্ণু প্রক্রিয়ার কাহিনী জানা প্রত্যেকটি বঙ্গবন্ধুপ্রেমীর নৈতিক দায়িত্ব। নেতৃত্ব এবং ব্যক্তিত্বে হিমালয়-সম উচ্চতা সম্পন্ন বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে ফিদেল ক্যাস্ট্রো বলেছিলেন, ‘আমি হিমালয় দেখিনি দুঃখ নেই, কিন্তু শেখ মুজিবুর রহমানকে দেখেছি।’
‘মুজিববর্ষ’ পালনের লক্ষ্যে জাতীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার, প্রধান বিচারপতি, সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা, আওয়ামী লীগের ১০ জন সিনিয়র নেতা, বর্তমান সরকারের মন্ত্রী, উপদেষ্টা, প্রতিমন্ত্রী, ঢাকার দুই মেয়র, তিন বাহিনীর প্রধান, পুলিশ মহাপরিদর্শক, কয়েকটি পাবলিক বিশ^বিদ্যালয়ের ভিসি, বাংলাদেশ ব্যাংকের দুজন সাবেক গভর্নর, বিভিন্ন ধর্মের মানুষের প্রতিনিধি, সাংবাদিক, শিল্পী ও সাংস্কৃতিক কর্মী। প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব কবি ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরীকে জাতীয় কমিটির প্রধান সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও জাতীয় অধ্যাপক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে গঠিত বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু শুধু বাংলাদেশের মানুষের নন; তিনি বিশ্বনেতা। তাঁর কর্মময় জীবন নিয়ে বিশ্বের দেশে দেশে গবেষণা হচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাসে পড়ানো হচ্ছে। জার্মানি, থাইল্যান্ডসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু চেয়ার চালু করেছে। এ ছাড়া যুক্তরাজ্যে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি বঙ্গবন্ধু সেন্টার স্থাপন করেছে। পাশাপাশি ভারত, তুরস্ক, ফিলিস্তিন ও কম্বোডিয়ার বিভিন্ন নগরীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে সড়কের নামকরণ করা হয়েছে। পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশ মিশনে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপন করা হবে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মের শতবর্ষ উৎযাপন শুরু উপলক্ষে এখন চলছে জোর প্রস্তুতি। বছরব্যাপী আয়োজন শেখ মুজিব নামটির ওপর শুধু নতুন করে আলো ফেলবে না, মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার শক্তি-সাহস যোগাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
উৎসবের আগে সারাদেশেই শুরু হয়ে গেছে প্রাক-উৎসব। সরকারী ও বেসরকারীভাবে গুরুত্বপ‚র্ণ কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে। একই উপলক্ষ সামনে রেখে ১৮ মার্চ জাতীয় সংসদে বিশেষ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। বাঙালীর মহান নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন বিভিন্ন রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা। ইউনেস্কোসহ বিদেশে বাংলাদেশী দূতাবাসগুলোও মুজিববর্ষ উদ্যাপন করবে।
জানতে চাইলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী জাতীয় উদযাপন কমিটির প্রধান সমম্বয়ক সাবেক মূখ্য সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী ইনকিলাবকে বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে লন্ডন ও নয়াদিল্লি হয়ে ১৯৭২ সালের এই ১০ জানুয়ারি স্বাধীন স্বদেশের বুকে পা রাখেন। যেহেতু ১০ জানুয়ারি ঐতিহাসিক দিন, তাই বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর কাউন্টডাউন এই ঐতিহাসিক দিনেই শুরু হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুজিববর্ষের কাউন্টডাউন অনুষ্ঠানটির উদ্বোধন করবেন। কামাল চৌধুরী জানান, কাউন্টডাউনের জন্য বিভাগীয় শহরগুলিতে বিভিন্ন জনসমাগমের জায়গায়, সারা দেশে জেলা, সিটি কর্পোরেশন এবং উপজেলায় ডিভাইস বসানো হয়েছে। জন্মবার্ষিকী উদযাপনে জনগণের সামনে বিশেষ করে তরুণ ও নতুন প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম উপস্থাপন এবং ত্বরান্বিত উন্নয়ন কার্যক্রম এবং ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা নির্মাণের জন্য পরিসেবা গুলো তুলে ধরা হবে।
জাতির পিতার শততম জন্মবার্ষিকী স্মরণীয় করে রাখতে সরকারের পাশাপাশি দলীয়ভাবেও কর্মসূচি নিয়েছে আওয়ামী লীগ। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস ১০ জানুয়ারি আতশবাজি উৎসবের মাধ্যমে শুরু হবে মুজিববর্ষের ক্ষণগণনা। দেশ-বিদেশে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, স্বল্পদৈর্ঘ চলচ্চিত্র, প্রমাণ্যচিত্র প্রদর্শনী, বঙ্গবন্ধুর নামে আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রবর্তন, ‘গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড’ এবং হাতে হাত রেখে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের প্রতিকৃতি গড়ে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড হিসেবে অন্তর্ভুক্তকরণ।
এছাড়া কনসার্টসহ নানা আনন্দ আয়োজন ও রক্তদানসহ সেবাধর্মী কর্মসূচি রয়েছে। ১৭ মার্চ ম‚ল অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বিভিন্ন দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান এবং বঙ্গবন্ধুর সময়ের রাজনৈতিক, সামাজিক ব্যক্তিত্বকে। তাদের মধ্যে আছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক, জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুন, জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেল, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ প্রমুখ।
আগামী ১৭ মার্চ থেকে মুজিববর্ষ শুরু হচ্ছে। দেশ-বিদেশে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করা হবে জাঁকজমকপূর্ণভাবে। এ উদযাপনে সর্বস্তরের জণগণকে সম্পৃক্ত করা হবে। দেশ-বিদেশে নানা আয়োজনে বিভিন্ন দেশের স্বনামধন্য ব্যক্তিত্বরা উপস্থিত থাকবেন। সেই অনুযায়ীই আমাদের পরিকল্পনা সাজানো হচ্ছে।
মুজিববর্ষের মূল উৎসব শুরু হবে আগামী ১৭ মার্চ থেকে। চলবে পরের বছরের ১৭ মার্চ পর্যন্ত। মাঝখানের পুরো সময়টাকে মুজিববর্ষ পালিত হবে। বছর ব্যাপী উৎসব অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জাতিরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা শেখ মুজিবের প্রতি গভীর অনুরাগ প্রকাশ করা হবে। গান, কবিতা, নৃত্যায়োজন, নাটক, সিনেমাসহ সব মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হবে বঙ্গবন্ধুর কীর্তি। সরকারী-বেসরকারী বিভিন্ন সংস্থা-সংগঠন, রাজনীতিবিদ, শিল্পী-সাহিত্যিক, সংস্কৃতি কর্মীর পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে বিভিন্ন কর্মস‚চী গ্রহণ করা হয়েছে।
আর মুজিববর্ষ উৎযাপনে হাতে নেয়া কর্মস‚চীর সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করবেন ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উৎযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি’। সরকারীভাবে গঠিত কমিটি সারাদেশের সব উৎসব অনুষ্ঠানের মধ্যে সমন্বয় সাধনের কাজ করছে। বিভিন্ন অঙ্গণের বিশিষ্টজনদের নিয়ে গঠিত কমিটি দিচ্ছে নানা পরামর্শও। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে কমিটির অস্থায়ী কার্যালয় স্থাপন করা হয়েছে।
১৭ মার্চ স‚র্যোদয়ের সময়ই ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন স্থানে সেনাবাহিনীর তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে শুরু হবে ম‚ল অনুষ্ঠান। এদিন ঢাকা ও গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় একই সঙ্গে অনুষ্ঠান শুরু হবে। সকালে টুঙ্গিপাড়ায় থাকবে জাতীয় শিশু দিবসের নানান আয়োজন। এরপর বিকালে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হবে ম‚ল অনুষ্ঠান। প্রকাশ করা হবে জন্মশতবার্ষিকীর বিভিন্ন স্যুভেনির, স্মারক বক্তৃতা, অনুষ্ঠিত হবে দেশি-বিদেশি শিল্পীদের সমন্বয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
সারা দেশেই হবে আনন্দ র্যালি। সাজানো হবে গুরুত্বপ‚র্ণ সব স্থাপনা, সড়কদ্বীপ। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ১৭ মার্চের মূল আয়োজনে থাকবেন বিভিন্ন দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান, বঙ্গবন্ধুর সমসাময়িক সময়ের রাজনৈতিক, সামাজিক ব্যক্তিত্বরা। বাংলাদেশের সুদীর্ঘ রাজনৈতিক ইতিহাসে শ্রেষ্ঠতম ঘটনা হচ্ছে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ। সশস্ত্র স্বাধীনতা সংগ্রামের এই ঐতিহাসিক ঘটনার মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতির কয়েক হাজার বছরের সামাজিক-রাজনৈতিক স্বপ্নসাধ পূরণ হয়। আর এই স্বপ্নসাধ পূরণ করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ দিবাগত রাতে অপারেশন সার্চলাইট নামে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী বাঙালিদের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে নির্বিচারে গণহত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগসহ বিভিন্ন মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটন করতে থাকে। এমতাবস্থায় ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা দেন। এর আগে নিয়মতান্ত্রিকভাবে স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে তিনি প্রথমে বাঙালি জাতি গঠনের উপর জোর দেন। ধীরে ধীরে জনগণের মধ্যে স্বাধীনতার তীব্র আকাঙ্খা জাগ্রত করতে শুরু করেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে নয় মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের এই দিনে বিকেলে রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) পাকিস্তানি বাহিনী যৌথবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে।
মুজিববর্ষ উপলক্ষে দেশের মানুষের জন্য একশ’ ডিজিটাল সার্ভিস দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ। দেশের মানুষ এর আগে ৪০ ধরনের সেবা পেয়েছেন। এবার আরও ৬০ ধরনের সেবা যুক্ত হচ্ছে। সরকারী এসব এখন মোবাইলেই পাওয়া যাবে। মুজিববর্ষকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্য একটি লোগো উন্মোচন করেছে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ। নির্মিত হয়েছে একটি ওয়েবসাইট। নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বর্ষটি স্মরণীয় করে রাখতে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ এসব উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।