পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আইন-শৃংখলা যাতে নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং উন্নত হয়। আইন-শৃংখলা নিয়ন্ত্রণে রাখার সবচেয়ে বড় দায়িত্ব পুলিশ বাহিনীর ওপর। পুলিশ বাহিনীকে ধন্যবাদ জানাই আপনারা সেটা করতে পেরেছেন। আপনারা যদি সেটা করতে না পারতেন তাহলে হয়তো এই উন্নয়ন করা সম্ভব হতো না। এটা হলো বাস্তবতা। গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে দেয়া বক্তব্যে এ সব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পুলিশকে জনতার হতে হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, দেশের মানুষের নিরাপত্তা দেয়া ও এবার মুজিববর্ষে আপনারা যে থিমটা নিয়ে এসেছেন, এবারের প্রতিপাদ্য এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনারা বলেছেন ‘মুজিব বর্ষের অঙ্গীকার, পুলিশ হবে জনতার।’ আসলে পুলিশকে জনতারই হতে হবে। জনগণ যেন আস্থা পায়, বিশ্বাস পায়, পুলিশের কাছে দাঁড়াতে পারে।
কাউকে গ্রেফতার করার এখতিয়ার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নেই জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দুর্নীতির অভিযোগে কাউকে গ্রেফতার করতে হলে তাদের আইন-শৃংখলা সংস্থাকেই বলতে হবে। তারা নির্দেশ দিতে পারে। দুদকের কিন্তু কোনো গ্রেফতার করার এখতিয়ার নেই। কাউকে তারা ধরে রেখে ওখানে হাজতখানা বানাবে, হাজতে রাখবে, এটা কিন্তু দুদকের কাজ নয়। যার যার কাজ তার তার করতে হবে। এ কথাটা মাথায় রাখতে হবে।
পুলিশের ওপর মানুষের আস্থা-বিশ্বাস বেড়েছে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেমন ৯৯৯ করার ফলে এখন মানুষের সাংঘাতিক একটা আত্মবিশ্বাস এসেছে। কোনো একটা জায়গায় অন্যায় দেখলেই, একজনের ওপর অন্যায় হচ্ছে অন্যজন সঙ্গে সঙ্গে ফোন করে েেদয়, পুলিশ সেখানে পৌঁেেছ যাচ্ছে। ব্যবস্থা নিচ্ছে। এতে পুলিশের প্রতি আগে মানুষের যে অনিহা ছিল সেটা কিন্তু এখন আর নাই। বরং পুলিশের প্রতি মানুষের আস্থা-বিশ্বাস বেড়েছে। এটাই থাকা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। আপনারা সেভাবেই কাজ করবেন। পুলিশ বাহিনীর জন্য আলাদা মেডিক্যাল কোর গঠন করতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উদ্যোগ নিতে বলেন প্রধানমন্ত্রী।
পুলিশ বাহিনীর উন্নয়নে সরকারের নেয়া বিভিন্ন কার্যক্রমের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, অর্থনীতি যত শক্তিশালী হবে সবার ততই উন্নতি করতে পারবো। আমাদের অর্থনীতি যত শক্তিশালী হবে, যত আমাদের অর্থনীতি মজবুত হবে তত বেশি আমরা আমাদের সব প্রতিষ্ঠানকে উন্নত করতে পারবো।
কাউকে গ্রেফতারের এখতিয়ার দুদকের নেই
পুলিশ সদস্যদের একটি দাবির পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে, যেটা এখানে আপনারা একটা দাবি করেছেন, একজন বক্তব্যে বলেছেন যে, বিআরটিএ, বিআইডবিøউটিএ, মাদক নিয়ন্ত্রণ ও দুর্নীতি দমন কমিশনে। দুদকে ইতোমধ্যে কিন্তু পুলিশ নিয়োগ দেয়া হয়েছে। অন্য জায়গাগুলোতে আমিও মনে করি সেখানে পুলিশের প্রতিনিধি থাকা দরকার। এ বিষয়ে আমরা ব্যবস্থা নেব। দুর্নীতির অভিযোগে কাউকে গ্রেফতার করতে হলে তাদের আইন-শৃংখলা সংস্থাকেই বলতে হবে। তারা নির্দেশ দিতে পারে। দুদকের কিন্তু কোনো গ্রেফতার করার এখতিয়ার নেই। কাউকে তারা ধরে রেখে ওখানে হাজতখানা বানাবে, হাজতে রাখবে, এটা কিন্তু দুদকের কাজ নয়। যার যার কাজ তার তার করতে হবে। এ কথাটা মাথায় রাখতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশের মানুষের জন্য নিরাপত্তা দেয়া প্রতিটি পুলিশের দায়িত্ব ও কর্তব্য। আগে একটি থানায় ১০-১৫ জন করে লোক থাকত। তাদের লজেস্টিক সাপোর্টও ছিল না। এখন প্রত্যেক থানায় অফিসারের সংখ্যা, পদের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। পদোন্নতির সুযোগও বেড়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হয়েছে। কাজেই আপনারা হিসাব করে দেখেন আগে সুযোগ কেমন ছিল আর এখন কেমন। আপনাদের চাওয়ার কিছু নেই। চাওয়ার আগেই আপনাদের সব দেয়া হয়েছে। তারপরও যদি প্রয়োজন হয় সে প্রয়োজনও মেটানো হবে।
সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন ও পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী। এ ছাড়া পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিভিন্ন দাবি-দাওয়া তুলে ধরে বক্তব্য দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।