পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নভেম্বর মাসের তুলনায় ডিসেম্বরে প্রায় ৪৬ কোটি ৯০ লাখ ডলার রপ্তানি আয় বাড়লেও পূরণ হয়নি লক্ষ্যমাত্রা। এ মাসে লক্ষ্যমাত্রা ৪০৭ কোটি ৭০ লাখ ডলারের বিপরীতে আয় হয়েছে ৩৫২ কোটি ৫০ লাখ ডলার। অবশ্য এই আয় গত বছরের ডিসেম্বরের চেয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২ দশমিক ৮৯ শতাংশ। সেবার আয় হয়েছিল ৩৪২ কোটি ৬১ লাখ ডলার।
গত রোববার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) পণ্য রপ্তানির আয়ের এ হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রথম কয়েক মাসের তুলনায় ডিসেম্বরে আয় বেশি হয়েছে। অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) ১ হাজার ৯৩০ কোটি ২১ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এই আয় গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৬ দশমিক ২১ শতাংশ কম। আর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কমেছে ১৩ দশমিক ৭৪ শতাংশ।
চলতি অর্থবছরের পাঁচ মাসে ১ হাজার ৬০২ কোটি ৪০ লাখ ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়। এই আয় গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৭ দশমিক ৭৪ শতাংশ কম। একই সঙ্গে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় আয় কমেছে ১৩ দশমিক ৬৩ শতাংশ। এদিকে একক মাস হিসেবে নভেম্বরে রপ্তানি আয় অর্জিত হয়েছে ৩০৫ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। ইপিবির প্রতিবেদনে দেখা যায়, চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে সব ধরনের পণ্য রপ্তানিতে বৈদেশিক মুদ্রার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৫৫০ কোটি মার্কিন ডলার। ২০১৮-১৯ অর্থবছর শেষ রপ্তানি আয় অর্জিত হয়েছে ৪ হাজার ৫৩ কোটি ৫০ লাখ ৪ হাজার ডলার। চলতি অর্থবছর প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) রপ্তানির আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ হাজার ২১২ কোটি ডলার। এই ছয় মাসে রপ্তানি আয় এসেছে ১ হাজার ৯৩০ কোটি ২১ লাখ মার্কিন ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ১২ দশমিক ৭৭ শতাংশ কম। ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে রপ্তানি আয় অর্জিত হয়েছিল ২ হাজার ৪৯ কোটি ৯৮ লাখ ডলার। সে হিসেবে রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধি কমেছে ৫ দশমিক ৮৪ শতাংশ।
দেশের রপ্তানি আয়ের প্রায় ৮৫ শতাংশ আসে তৈরি পোশাক খাত থেকে। এই খাত থেকে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে রপ্তানি আয় এসেছিল ৩ হাজার ৪১৩ কোটি ৩২ লাখ ডলার। ২০১৯-২০ অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে তৈরি পোশাক খাতে রপ্তানি আয় হয়েছে ১ হাজার ৬০২ কোটি ৪০ লাখ ডলার। আগের অর্থবছরের একই সময়ে আয় এসেছিল ১ হাজার ৭০৮ কোটি ৪৯ লাখ ডলার। সে হিসেবে এ খাতে প্রবৃদ্ধি কমেছে ৬ দশমিক ২১ শতাংশ। পূরণ করতে পারেনি লক্ষ্যমাত্রা। লক্ষ্যমাত্রা কমেছে ১৩ দশমিক ৭৪ শতাংশ।
পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গত ছয় মাসে নিট পোশাক রপ্তানি থেকে আয় এসেছে ৮২০ কোটি ৫ লাখ ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৫ দশমিক ১৬ শতাংশ কম। একই সঙ্গে লক্ষ্যমাত্রা কমেছে ১০ দশমিক ৪৮ শতাংশ।
অন্যদিকে ওভেন পোশাক রপ্তানি করে আয় হয়েছে ৭৮১ কোটি ৮২ লাখ ডলার। যা ২০১৮-১৯ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৭ দশমিক ২৮ শতাংশ কম। পাশাপাশি ১৬ দশমিক ৯২ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রা কমেছে ওভেনে।
ইপিবির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৯-২০ অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর সময়ে পাট ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানি আয়ের প্রবৃদ্ধি ২১ দশমিক ৫৫ শতাংশ ও লক্ষ্যমাত্রা ২৭ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়েছে। এ সময়ে এ খাত থেকে আয় এসেছে ৫১ কোটি ১৭ লাখ ডলার।
চামড়াজাত পণ্যে চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে ১০ দশমিক ৬১ শতাংশ কম প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এ খাত থেকে আয় এসেছে ৪৭ কোটি ৫৮ লাখ ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১০ দশমিক ৪৮ শতাংশ কম। গত অর্থবছর জুড়েও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানিতে আয় ও লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি।
প্লাস্টিক পণ্যে প্রবৃদ্ধি বেড়েছে শূন্য দশমিক ৫৭ শতাংশ। প্রথম ছয় মাসে আয় হয়েছে ৫ কোটি ৬৮ লাখ ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২২ দশমিক ৬ শতাংশ কম।
গত ছয় মাসে হোম টেক্সটাইল খাতে প্রবৃদ্ধি ও লক্ষ্যমাত্রা দুটিই কমেছে। এ সময় আয় এসেছে ৩৭ কোটি ১ লাখ ডলার। ২০১৯-২০ অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর মাস শেষে কৃষি পণ্য রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা বাড়লেও প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়নি। এ খাত থেকে আয় এসেছে ৫২ কোটি ৩৯ লাখ ডলার। লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় রপ্তানি আয় বেড়েছে ১ দশমিক ২১ শতাংশ। অন্যদিকে আগের অর্থবছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি কমেছে ৩ দশমিক ৮১ শতাংশ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।