পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ছাত্রলীগকে নীতি -আদর্শ নিয়ে গড়ে তুলতে হবে। এই সংগঠনের মধ্য দিয়ে আগামী দিনের নেতৃত্ব বের হয়ে আসবে। আগামী দিনের নেতৃত্ব যেন আদর্শ ভিত্তিক সংগঠনের মাধ্যমে আসে তা ছাত্রলীগকে মনে রাখতে হবে। গতকাল বিকালে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এ পূর্ণমিলনী অনুষ্ঠানে ঐতিহ্যবাহী সংগঠনটির সাবেক ও বর্তমান নেতারা অংশ নেন।
শেখ হাসিনা বলেন, মনে রাখতে হবে আমি ছাত্রলীগের হাতে কাগজ কলম তুলে দিয়েছিলাম, খালেদা জিয়া তুলে দিয়েছিল অস্ত্র। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মাত্র ৩টা কম্পিউটার ছিল। ছাত্রলীগের নেতারাই প্রথম কম্পিউটার শিক্ষা শুরু করে। আর এখন আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছি। এখানে অনেক অবদান রয়েছে ছাত্রলীগের। সেই লক্ষ্য সামনে নিয়েই ছাত্রলীগ এগিয়ে যাবে। সেটাই আমি আশা করি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ছাত্রদেরকে যদি বিপথে পরিচালনা করা হয়, তাদেরকে যদি রাজনৈতিক উচ্চবিলাশ সাধন করার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয় তাহলে তারা কখনই সঠিক নেতৃত্ব দিতে পারবে না। কারণ আদর্শ ছাড়া, নীতি ছাড়া, সততা ছাড়া কখনও কোন নেতৃত্ব গড়ে উঠতে পারেনা। দেশকে কিছু দিতে পারে না, জাতীকে কিছু দিতে পারেনা, মানুষের কল্যাণে কোন কাজ করতে পারেনা।
ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ছাত্রলীগের প্রতি আহ্বান থাকবে, যেন তারা একটি নীতি আদর্শ নিয়ে চলে, আমরা জাতীর জনকের স্বপ্ন অনুযায়ী ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গঠন করব। মনে রাখতে হবে আমি ছাত্রলীগের হাতে আমি কাগজ কলম তুলে দিয়েছিলাম। খালেদা জিয়া অস্র তুলে দিয়েছিলো। সামরিক শাসকেদের সমালোচনা করে বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, বাংলাদেশে ভিন্নধারার রাজনীতি, আইয়্যুব খান যখন ক্ষমতা দখল করে, আগে ক্ষমতা দখল তারপর দলগঠন তারপর কিছু ছেলেপেলেকে অস্র তুলে দিয়ে ক্ষমতা ধরে রাখার প্রচেষ্টা। তারই পদাঙ্ক অনুসরণ করে ৭৫য়ে জাতীর পিতাকে হত্যা করার পর ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করা হয় এরপর জিয়াউর রহমান যখন ক্ষমতায় আসে সে পদাঙ্ক অনুসরণ করে মেধাবী ছাত্রদের হাতে অস্র, অর্থ তুলে দিয়ে তাদের ব্যবহার করত। তাদের অবৈধভাবে দখল করা ক্ষমতাকে বৈধতা দেয়ার জন্য। যারাই অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসেছে জিয়াউর রহমান বলি, এরশাদ বলি সবসময় দেখেছি তারা মেধাবী ছাত্রদেরকে ব্যবহার করেছে তাদের লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে। নানান ভাবে তাদেরকে ব্যবহার করেছে তাদের ক্ষমতা কুক্ষিগত করার হাতিয়ার হিসেবে।
২০২০ সাল মুজিববর্ষ উল্লেখ করে আওয়ামীলীগের সভানেত্রী বলেন, এ সাল আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা ২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি পালন করছি এ বছরটা হচ্ছে সে মহান নেতার জন্মশতবর্ষ, আমরা এ বছরকে মুজিববর্ষ ঘোষণা দিয়েছি।
ছাত্রলীগের অতীত ঐতিহ্যের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা যদি বাঙলীর প্রতিটি অর্জনের হিসেব নেই, সেই হিসেবের পেছরে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। আমরা যদি শহীদের তালিকার হিসেব নেই সেখানেও আমরা দেখব আমাদের বহু নেতাকর্মী জীবন দিয়ে এদেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করেছেন। ছাত্রলীগ এমন একটি সময়ে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছিলো যখন জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান বলেছিলেন আমরা বাঙালী, বাঙালীর একটি ভাষা আছে, কৃষ্টি আছে, সংস্কৃতি আছে, একটি পরিচয় আছে। বাঙালীর সে ভাষার অধিকার কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করেছিলো পাকিস্তানী শাসক গোষ্ঠী। বঞ্চনা ও শোষণ থেকে মুক্তি দেয়ার জন্য জাতির পিতা আন্দোলন শুরু করেন। তাদের ইচ্ছা ছিলো বাঙালীতে বাংলা ভাষায় কথা বলতে দিবে না। সেই অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য তিনি যে সংগ্রাম শুরু করেছিলেন তা প্রতিষ্ঠা করার জন্যই তিনি ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
তিনি বলেন, ছাত্রলীগের যে অবদান সেটা ছাত্রলীগের প্রতিটি নেতাকর্মীকেই মনে রাখতে হবে। এবং সেটা মনে রেখেই ছাত্রলীগের একজন কর্মী হিসেবে তাদের কথাবার্তা, চাল-চলন করতে হবে যেন ছাত্রলীগ একটি মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠা লাভ করতে পারে। যেন জনগণের আস্থা অর্জন করতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে আমরা বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী বই প্রকাশ করেছি, আমি মনে করি যারা রাজনৈতিক নেতা হবার স্বপ্ন দেখে তাদের প্রত্যেকেরই অসমাপ্ত আত্মজীবনীটা পড়া উচিত। তারপর তার কারাগারের রোজনামচা এটা আমাদের প্রতেক্যের পড়া উচিত।
তৎকালীন পাকিস্তানী গোয়েন্দা সংস্থার বিভিন্ন রিপোর্ট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইতিহাসকে জানতে হলে আমি আরও একটি কাজ করে যাচ্ছি, এটি আমাদের বর্তমান, ভবিষ্যৎ প্রজন্ম অথবা যারা গবেষণা করতে চায় তাদের জন্য যেমন গুরুত্বপূণ, আর সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ যারা ইতিহাস থেকে জাতির পিতার নামটা মুছে দিতে চেয়েছিলো। তারা বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে জাতির পিতার নাম মুছতে চেয়েছে আজকে তার ৭ই মার্চের ভাষণ আন্তর্জাতিক মর্যাদা লাভ করেছে। তার জন্মশতবার্ষিকী শুধু বাংলাদেশ নয় বিশ^ব্যাপী পালিত হবে।
তিনি বলেন, ৪৮ সাল থেকে তার বিরুদ্ধে পাকিস্তানী গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট, তিনি কি কাজ করলেন, তার বিরুদ্ধে কি কি অপপ্রচার চালাবে, তার লেখা ডায়রি যেগুলো সেন্সর করা হয়েছে এর ভেতরে আছে। আমি সেই রিপোর্টগুলো ৯৬ সালে যখন ক্ষমতায় আসি তখন সংগ্রহ করি। ২০টা বছর আমরা এগুলোর ওপর কাজ করি। ৪৬টি ফাইল তার বিরুদ্ধে, ৪৬টা ফাইলের ৪৮ খন্ড। বাংলাদেশের অন্যান্য নেতাদের ফাইলও আমি রেখেছি, সকলের ফাইল আমি এনেছিলাম, দেখেছি প্রতেক্যের একখানা একখানা ফাইল পাতলা খুব বেশি ভারীও না। পাকিস্তানী শাসকরা তাকে কোন চোখে দেখত সেটা তার বিরুদ্ধে রিপোর্টে লেখা। আজকে ওই ঘাঁটলে সব সত্য বেরিয়ে আসবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতীর জনক নিজের জীবনে কিভাবে প্রতিষ্ঠা পাবেন সেটা নিয়ে তার কোন চিন্তা ছিলো না। তিনি বাঙালীর প্রত্যেকটা অধিকার, স্বাধীনতার জন্য কাজ করেছেন। তার যে দেশের জন্য আত্মত্যাগ, কখনও অর্থ সম্পাদের দিকে তাকায়নি। তিনি আমাদের দিকেও তাকাননি কিন্তু সেটা নিয়ে আমাদের কোন আফসোস নাই। তিনি দেশের মানুষের জন্য কাজ করেছেন আমরাও তো দেশের অংশ।
ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়ের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের সঞ্চালনায় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এরআগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেলা আড়াইটার পর জাতীয় সংগীতের সুরে সুরে পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে দেশ ও দলের জন্য আত্মত্যাগকারীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
উদ্বোধনের পর ছাত্রলীগের সংগীত উপ-কমিটির সদস্যরা দেশত্মাবোধক ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গান পরিবেশন করে। শিল্পকলা একাডেমির সদস্যরা নৃত্য পরিবেশন করছে। এছাড়া ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নেওয়া কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে-৪ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ৬টায় সংগঠনটির সব সাংগঠনিক ইউনিটে দলীয় ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ৭ টায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা, সকাল ৮ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলে কেক কাটা। ৬ জানুয়ারি সকাল ১০ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলা সংলগ্ন বটতলায় স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি। ৭ জানুয়ারি সকাল ১০ টায় কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরন, বিকেল ৪ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বরে দুস্থদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরন।
কুড়িগ্রাম : কুড়িগ্রামে জেলা ছাত্রলীগের কমিটি বাতিল করা হলেও এক বছরেও গঠন হয়নি জেলা কমিটি। ফলে সারাদেশ জুড়ে যখন ছাত্রলীগ আনন্দ-উৎসবে পালন করছে ৭২তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী। তখন কুড়িগ্রামে ঐতিহ্যবাহী এই সংগঠটির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করেছে সাবেক ছাত্রলীগ নেতারা। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক এমপি মো. জাফর আলী, সাধারণ সম্পাদক আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, আনিছুর রহমান খন্দকার চাঁদসহ পদ প্রত্যাশিরা।
রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) : কুড়িগ্রামের রাজারহাটে র্যালি শেষে উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক আব্দুস ছালামের সভাপতিত্বে এবং যুগ্ন আহবায়ক ইমতিয়াজ আহমেদ (এন্তাজুল) পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন-উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব শাহের উদ্দিন ধনী, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আবুনুর প্রমুখ। অপরদিকে উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক সুমন কুমার রায়ের উদ্যোগে সরকারি মীর ইসমাইল হোসেন কলেজ চত্বরে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর একটি র্যালি শেষে কেক কাটেন সাবেক রংপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও রাজারহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদ ইকবাল সোহরাওয়ার্দ্দী বাপ্পি।
মধুখালী (ফরিদপুর) : ফরিদপুরের মধুখালী শাহ মনিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে ছাত্রলীগের কেক কাটা ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল হক বকু। প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক সাইফুল ইসলাম জীবন।
হাতিয়া (নোয়াখালী): নোয়াখালী দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি নাজরুল ইসলাম রাজুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা আ‘লীগের সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন আহমেদ। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন পৌর মেয়র একে এম ইউছুপ আলী প্রমুখ।
কোটালীপাড়া : গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় র্যালি শেষে উপজেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি জুয়েল মুন্সীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এস.এম হুমায়ুন কবির, বিশেষ অতিথি সহ-সভাপতি নাদের আলী মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক আয়নাল হোসেন শেখ, পৌর আওয়ামীলীগ সভাপতি আলহাজ¦ লুৎফর রহমান শেখ, সাধারন সম্পাদক সোহরাব হোসেন হাজরা।
চিরিরবন্দর (দিনাজপুর) : দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে র্যালি ও বঙ্গবন্ধু কনসার্ট অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের উপজেলা সভাপতি মো. নাজমুল শাহ্র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব আয়ুবর রহমান শাহ্, প্রধান আলোচক হিসেবে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. আহসানুল হক মুকুল, বিশেষ অতিথি হিসেবে সাবেক হুইপ আলহাজ্ব মিজানুর রহমান মানু, উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি সুমন দাস প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।