পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
‘আমাদের ভুল আছে। আমরা অভ্রান্ত, এই দাবি আমি করবো না। চলার পথে আমাদের ভুল আছে। কর্মের ভুল, কৌশলের ভুল। আমরা অভ্রান্ত নই। অভ্রান্ত দাবি করা সঠিক নয়। ভুল-ত্রুটি মিলিয়ে আমরা বাংলাদেশেকে আজকে শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর কন্যা কোথায় নিয়ে গেছেন। আজকে আইএমএফ সর্বশেষ বলছে, আজকে বাংলাদেশ এশিয়ায় প্রবৃদ্ধিতে নাম্বার ওয়ান।’- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেছেন।
আজ শনিবার (০৪ জানুয়ারি) রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের শরিক জাতীয় পার্টি-জেপির ত্রিবার্ষিক জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকে সামাজিক অনুষ্ঠানেও কে, কী মনে করে, কারো মৃত্যুর পর জানাজায় যাব কিঋঋ না; এই দ্বিধাও আমাদের মাথায় কাজ করে। এসব বিষয় রাজনীতির জন্য শুভ নয়। এই কনফ্রেনটেশনাল পলিটিক্স গণতন্ত্রের জন্য শুভ নয়। গণতন্ত্র এক চাকার বাইসাইকেল নয়, গণতন্ত্র দুই চাকার বাইসাইকেল। এটা আমাদের মনে রাখতে হবে সরকারি দলের পাশাপাশি বিরোধী দলও গণতন্ত্রের বিকাশে অপরিহার্য শক্তি। বিরোধীদলকে অবশ্যই গুরুত্ব দিতে হবে। গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে হলে বিরোধী দলকেও শক্তিশালী করতে হবে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে আজ একটা অলঙ্ঘনীয় দেয়াল উঁচু হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। এটা সৃষ্টি হয়েছে পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে। এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে যারা ছিল, তাদের বাদ দিয়ে ইতিহাস লেখার উপায় নেই। সেদিন কারা বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পুরস্কৃত করেছিল, নিরাপদে বিদেশে যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিল। বিদেশি দূতাবাসে চাকরি দিয়েছিল। কারা ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর বিচারের পথ রুদ্ধ করেছিল- দেশবাসী জানে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ২১ আগস্টের প্রাইম টার্গেট ছিলেন শেখ হাসিনা। কারা তখন ক্ষমতায়, কারা প্ল্যানার, কারা মাস্টারমাইন্ড, সবাই তা জানে। তারপরও এই অলঙ্ঘনীয় দেয়াল কীভাবে ভাঙবো? আমাদের চেষ্টার কমতি ছিল না। এতোকিছুর পরও খালেদা জিয়ার সন্তানের মৃত্যুর পর শেখ হাসিনা তার বাড়িতে ছুটে গিয়েছিলেন, কিন্তু দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
কাদের বলেন, ২০১৪ সালের আগে শেখ হাসিনা গণভবনে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন খালেদা জিয়াকে। তিনি ঘৃণাভরে গালাগাল করে যে ভাষা প্রয়োগ করেছিলেন আপনার কি তা শোনেননি?
জেপি সভাপতি আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম, জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।