পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বড় আকৃতির ফল তরমুজ। পুষ্টিতেও রয়েছে এ ফলের বড়মাত্রা। তরমুজের ওজনের বেশির ভাগই পানি। পানির পরিমাণ বেশি হওয়ায় তরমুজ পানি শূন্যতা দূর করে। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম। নিয়মিত তরমুজ খেলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে। চুলও সুন্দর হয়।
প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘এ’ পাওয়া যায় বড় আকারের এ ফলটিতে। আর এ জন্যেই দেশের কৃষক ও ভোক্তাদের মধ্যে তরমুজের উৎপাদন বৃদ্ধি ও ক্রেতার সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। প্রচলিত অনেক প্রজাতির তরমুজের মধ্যে বারোমাসি ‘বেবি তরমুজ’ অন্যতম। এ প্রজাতির তরমুজ চাষে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে শুরু হয়েছে নতুন মাত্রা। কৃষকের মুখ থেকেই জেনে নিন এমনি দু’টি সফলতার কাহিনী মাচা পদ্ধতিতে ‘বেবি তরমুজ’ চাষ করে সাফল্য অর্জন করে এলাকার কৃষকদের মনে আশা জাগিয়েছেন সুবর্ণচর উপজেলার চরক্লার্ক ইউনিয়নের মোজাম্মেল মার্কেট এলাকার গৃহবধূ আছিয়া খাতুন। পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের অর্থায়ন এবং সাগরিকা সমাজ উন্নয়ন সংস্থার সার্বিক সহযোগীতায় ১০ শতাংশ জমিতে মাচা পদ্ধতিতে তিনি ইয়েলো হানি এবং ইয়েলো ড্রাগন জাতের বেবি তরমুজ চাষ শুরু করেন। প্রাকৃতিক পরিবেশ ও প্রতিকূলতায় এ জাতের তরমুজের কোন ক্ষতির আশঙ্কা না থাকায় সাফল্যের মুখ দেখেছেন তিনি।
সরেজমিনে গিয়ে কথা হয় গৃহবধূ আছিয়ার সাথে। তিনি জানান, সাগরিকা সমাজ উন্নয়ন সংন্থার সহযোগিতায় বেবি তরমুজের চাষ শুরু করেন। প্রথমে আশ্চর্য মনে হলেও মাচা পদ্ধতি এখন খুব ভালো লাগে।
তিনি বলেন, দেশি তরমুজ চাষের অর্ধেক খরচ এবং ফলন নষ্টের কোন আশঙ্কা নেই বেবি তরমুজে। আছিয়ার কঠোর পরিশ্রম দেখে বেবি তরমুজ চাষে এগিয়ে এসেছেন এলাকার আরো অনেকে। আগামীতে আরো বেশি জমিতে বেবি তরমুজ চাষের পরিকল্পনা রয়েছে আছিয়ার।
সাগরিকা সমাজ উন্নয়ন সংস্থার কৃষি কর্মকর্তা শিবব্রত ভৌমিক ইনকিলাবকে জানান, পরীক্ষামূলকভাবে আমরা সুবর্ণচরের চরক্লার্ক ও মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের মোট পাঁচটি স্থানে বেবি তরমুজ চাষ শুরু করি। এতে ফলন অত্যন্ত ভালো হয়েছে। আগামীতে ব্যাপক হারে এর প্রসারের পরিকল্পনা রয়েছে।
শিবব্রত ভৌমিক আরোও জানান, এ তরমুজ সাধারণত লাল এবং হলুদ রঙের হয়। আর দেশীয় তরমুজের চেয়ে অনেক বেশি মিষ্টি। এছাড়াও মৌসুমের আগে হওয়ায় এর চাহিদা বেশি থাকায় ভালো দাম পাওয়া যায়। যদি সঠিক পরিশ্রম আর পরামর্শ নিয়ে আছিয়ার মতো অন্যরাও এগিয়ে আসেন তাহলে বেবি তরমুজ চাষে ব্যাপক লাভবান হবেন সুবর্ণচরের কৃষকরা।
সুবর্ণচর উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের চর বায়েজিদ গ্রামের চাষী মো. সেলিম জানান, বেবি তরমুজ চাষে ১০ শতাংশ জমিতে তার খরচ হয়েছে পাঁচ হাজার টাকা। প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা দরে বিক্রি করবেন। এতে আয় হবে কমপক্ষে ৩৫ হাজার টাকা।
তিনি বলেন, সাধারণত মৌসুমে তরমুজে এ পরিমাণ জায়গায় খরচ হবে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। সাধারণ কৃষকদের বেবি তরমুজ চাষে উদ্বুদ্ধ করলে এতে কৃষকরা আরো লাভবান হবে বলে জানান এ কৃষক। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা পেলে বেবি তরমুজ চাষে ব্যাপক সাফল্য আসবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।