Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রাজশাহীতে এক বছরে নির্যাতনের শিকার ২২৭ নারী-শিশু

রাজশাহী ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ২ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:০০ এএম

 রাজশাহীতে ২০১৯ সালে ২২৭টি নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ১২১টি নারী ও ১০৬টি শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। রাজশাহীর বেসরকারি উন্নয়ন ও মানবাধিকার সংস্থা ‘অ্যাসেসিয়েশন ফর কম্যুনিটি ডেভেলপমেন্ট-এসিডি স্থানীয় ও জাতীয় সংবাদপত্র এবং নিজস্ব অনুসন্ধান থেকে নারী-শিশু নির্যাতনের এ চিত্র প্রস্তুত করেছে সংস্থাটি।
এসিডি জানায়, বছরজুড়ে নারী ও শিশু নির্যাতন ঘটনার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- গত বছরের ১৩ জানুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি, ৩০ জানুয়ারি পুঠিয়ার বানেশ্বরে শিশুর সামনে পেট্রোল ঢেলে মায়ের গায়ে দুর্বৃত্তদের আগুন, মে মাসে পুঠিয়ায় ৭ বছরের শিশুকে জবাই করে হত্যা, ২৪ মে গোদাগাড়ীতে লাঠির আঘাতে ৩ মাসের শিশু হত্যা, ২৩ জুন মোহনপুরে ধর্ষণের পর গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যা। জেলায় এক বছরে ১২১টি নারী নির্যাতনের মধ্যে হত্যা ১১টি, হত্যা চেষ্টা ২৬টি, রহস্যজনক মৃত্যু ৩টি, ধর্ষণ ৯টি, ধর্ষণ চেষ্টা ৫টি, আত্মহত্যা ২৬টি, আত্মহত্যার চেষ্টা ১১টি, অপহরণ ৫টি, যৌন হয়রানি ১৭ টি, নিখোঁজ ৩টি, এসিড নিক্ষেপ ১ টি এবং অন্যান্য ঘটনা ঘটে ৪টি। জেলায় গত এক বছরে শিশু নির্যাতন ঘটে ১০৬টি। এর মধ্যে শিশু হত্যা ৯টি, হত্যাচেষ্টা ৪টি, ধর্ষণ ১৭টি, ধর্ষর চেষ্টা ১২টি, অপহরণ ২০টি, আত্মহত্যা ১০টি, আত্মহত্যার চেষ্টা ৫টি, যৌন হয়রানি ১৬টি, নিঁেখাজ ৭ টি ও অন্যান্য ঘটনায় ৬ শিশু নির্যাতনের শিকার হয়।
জেলায় এক বছরে শিশু নির্যাতন ঘটনার মধ্যে মহানগরীর থানাগুলোতে সংঘটিত হয়েছে ২৫টি এবং মহানগরীর বাইরের থানাসমূহে সংঘটিত হয়েছে ৮১ টি নির্যাতনের ঘটনা। এর মধ্যে বাগমারায় ১৬, বাঘায় ১৮, পুঠিয়ায় ১৩, মোহনপুরে ১২, চারঘাটে ৪, গোদাগাড়ীতে ৮, পবায় ১, তানোরে ১ এবং দুর্গাপুরে ৮টি শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। আর ১২১টি নারী নির্যাতনের ঘটনার মধ্যে মহানগরীর থানাগুলোতে সংঘটিত হয়েছে ৪৮টি এবং নগরীর বাইরের থানাসমূহে সংঘটিত হয়েছে ৭৩টি নির্যাতনের ঘটনা। এর মধ্যে মোহনপুরে ১০, বাগমারায় ১১, বাঘায় ১৮, পুঠিয়ায় ১২, গোদাগাড়ীতে ৭, পবায় ১, দুর্গাপুরে ৫, চারঘাটে ১ এবং তানোরে ৮টি নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। এসিডির নির্বাহী পরিচালক সালিমা সারোয়ার বলেন, রাজশাহীতে নারী ও শিশু নির্যাতন পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। দিন দিন নির্যাতন বাড়ছেই। সামাজিক সচেতনতার অভাব এবং আইনের শাসন নিশ্চিত না হবার কারণে নারী ও শিশু নির্যাতন কমছে না। এ ব্যাপারে সরকারের তরফ থেকে আরও বেশি কাজ করতে হবে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ