পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীতে নিষেধাজ্ঞার মোড়কে আটকে রাখা হয়েছে থার্টিফার্স্ট নাইটের উদযাপন। নিরাপত্তার জন্য রাজপথে বাড়ানো হয়েছে চেকপোস্ট, নিষিদ্ধ করা হয়েছে আতশবাজি-পটকা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, গুলশান কূটনৈতিক এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে জনসাধারণের চলাচল সীমিত করা হয়েছে। সন্দেহভাজনদের করা হচ্ছে তল্লাশি। তবে পথে পথে এই তল্লাশিকে নিরাপত্তার বাড়াবাড়ি বলে মনে করছেন অনেক পথচারী। তারা বলছেন, একেতো সারাবিশ্ব এই দিনটিকে নানা আনন্দ আয়োজনে উদযাপন করছে, সেক্ষেত্রে বাংলাদেশে রয়েছে আয়োজনে নিষেধাজ্ঞা। তার ওপর পথে পথে তল্লাশি!
তবে ডিএমপি বলছে, ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় নগরবাসী স্বতঃস্ফূর্তভাবে বিভিন্ন আনন্দ উৎসবে অংশগ্রহণ করবে। তবে উৎসব উদযাপনের নামে বিশৃঙ্খল কিছু করা যাবে না। কেউ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে বেশ কিছু নির্দেশনা ইতিমধ্যে জানানো হয়েছে।
‘থার্টি ফার্স্টের রাতে ইনডোর অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রেও পুলিশের অনুমতি লাগবে’
সরেজমিনে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ, ধানমন্ডির সাত মসজিদ রোড, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, গুলশান, বনানীর কামাল আতাতুর্ক সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, অন্যান্য রাতের তুলনায় এসব সড়কে যান চলাচল কম। পুলিশের নানামুখী নির্দেশনার কারণে ব্যক্তিগত গাড়িও কম ব্যবহার করছেন নগরীর বাসিন্দারা। বাইরে কোনও উৎসব আয়োজন না থাকায় সন্ধ্যার পর পরই বাড়ি ফিরেছেন অনেকেই। যারা কাজ শেষ করে একটু রাত করে বাড়ি ফিরছেন, তারা পড়ছেন বিপত্তিতে। রাজপথে যান চলাচল কম থাকায় সহজে গণপরিবহন পাওয়া যাচ্ছে না। পায়ে হেঁটে ফিরতে গিয়ে তল্লাশির মুখে পড়তে হচ্ছে তাদের।
বাড়তি নিরাপত্তাকে স্বাগত জানানোর পাশাপাশি ভোগান্তির কথাও বলছেন অনেকে। ঢাকায় থার্টিফার্স্টের কোনও আনন্দ নেই। সারাবিশ্ব আনন্দে মাতছে, আর আমাদের অন্যান্য দিনের মতো কাজ শেষে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে- বলছিলেন রাজধানীর একজন পথচারী।
‘অন্য দেশগুলোতে উৎসব আয়োজন করে সেই উৎসবের নিরাপত্তা দেয় পুলিশ। আর আমাদের দেশে সব বন্ধ করে দিয়ে নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে। বাড়তি পাওনা হিসেবে যুক্ত হইছে জায়গায় জায়গায় তল্লাশি।’ উৎসবের আয়োজন না থাকায় এভাবেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
এদিকে বাড়তি নিরাপত্তা ও উৎসব আয়োজনকে স্বাগত জানিয়েছেন অনেকেই। তারা বলেন, ইংরেজি নববর্ষ উদযাপন আমাদের সংস্কৃতির অংশ না। এগুলো পশ্চিমা সংস্কৃতি। থার্টিফার্স্ট উপলক্ষে অনেক অন্যায়, অপকর্ম হয়। যেগুলো কোনোভাবেই কাম্য নয়। এসব অপরাধ দমনের জন্য যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তাতে আমি ব্যক্তিগতভাবে সন্তুষ্ট।
তবে তল্লাশির নামে কাউকে হয়রানি করা হচ্ছে না বলে দাবি করেছেন গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম কামরুজ্জামান। তিনি বলেন, সবাইকে তল্লাশি করা হচ্ছে না, যাদের সন্দেহজনক মনে হচ্ছে তাদেরকেই তল্লাশি করা হচ্ছে। আমাদের এখানে কাউকে হয়রানি করা হচ্ছে না, নিরাপত্তার খাতিরেই তল্লাশি করা হয়।
মদ খেয়ে সড়কে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো বন্ধ, উশৃঙ্খল আচরণসহ নগরীতে মাতলামি প্রতিহত করতে রাজধানীতে নেমেছে একাধিক বিশেষ টিম। যাদের সঙ্গে রয়েছে অ্যালকোহল পরীক্ষার কিটসহ অন্যান্য সরঞ্জাম। এদিকে নগরীতে মদ বিক্রি বন্ধে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সব বার। তবে পাঁচ তারকা হোটেলগুলোতে বিদেশিদের জন্য বার খোলা রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।