পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অষ্টম শ্রেণির জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষায় সব সূচকেই ভালো করেছে শিক্ষার্থীরা। গতবছরের চেয়ে এবার বেড়েছে অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থী, উত্তীর্ণের সংখ্যা, পাসের হার, জিপিএ-৫ এর সংখ্যা, শতভাগ উত্তীর্ণ প্রতিষ্ঠান। আর কমেছে অনুত্তীর্ণ পরীক্ষার্থী, শতভাগ ফেল করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা।
চলতি বছর জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষায় পাসের হার ৮৭ দশমিক ৯০ শতাংশ। যা গতবছর ছিল ৮৫ দশমিক ৮৩ শতাংশ। এবার পাসের হার বেড়েছে ২ দশমিক ০৭ শতাংশ। এবছর এই দুই পরীক্ষায় এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭৮ হাজার ৪২৯জন। গতবছর এই সংখ্যা ছিল ৬৮ হাজার ৯৫জন। এবার শতভাগ পাস করা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৫ হাজার ২৪৩টি। যা গতবছর ছিল ৪ হাজার ৭৬৯টি। এবার বেড়েছে ৪৭৪টি। অন্যদিকে কমেছে শূণ্য পাসের প্রতিষ্ঠান। এবার ৩৩টি প্রতিষ্ঠান থেকে একজন শিক্ষার্থীও পাস করতে পারেনি। যা গতবছর ছিল ৪৩। গতকাল (মঙ্গলবার) শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন।
এর আগে সকাল ১০টায় সকল বোর্ডের চেয়ারম্যানদের সাথে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার ফলাফলের সারসংক্ষেপ তুলে দেন। পরে বেলা সাড়ে ১১টায় সচিবালয়ে ফলাফলের সার্বিক বিষয় তুলে ধরেন শিক্ষামন্ত্রী।
এবছর নয়টি সাধারণ শিক্ষাবোডের অধীনে জেএসসি ও মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে জেডিসিতে মোট ২৬ লাখ ২ হাজার ৫৩জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। গতবছরের তুলনায় এবার অংশগ্রহণকারী বেড়েছে ২ হাজার ৮৮৪ জন। অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাস করেছে ২২ লাখ ৮৭ হাজার ২৭১ জন। এবার পাস করা পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে ৫৬ হাজার ৪৪২জন। সার্বিকভাবে এবার পাসের হার ৮৭ দশমিক ৯০ শতাংশ। গতবছর এই দুটি পরীক্ষায় পাসের হার ছিল ৮৫ দশমিক ৮৩ শতাংশ। এবার পাসের হার বেড়েছে ২ দশমিক ০৭ শতাংশ। জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষায় মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭৮ হাজার ৪২৯ জন। যা গতবছরের তুলনায় ১০ হাজার ৩৩৪জন বেশি পেয়েছে। এবার শূণ্য পাস করা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা কমেছে। একজন শিক্ষার্থীও পাস করতে পারেনি এমন প্রতিষ্ঠান গতবছর ছিল ৪৩টি, এবার ১০টি কমে হয়েছে ৩৩টি। আর শতভাগ পাস করা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়েছে। এবার সব শিক্ষার্থীই পাস করেছে এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৫ হাজার ২৪৩টি। যা গতবছর ছিল ৪ হাজার ৭৬৯টি। এবার শতভাগ পাস করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়েছে ৪৭৪টি।
সার্বিক ফলাফলে দেখা যায় অংশগ্রহণে, উত্তীর্ণের সংখ্যায়, পাসের হার এবং জিপিএ-৫ প্রাপ্তির দিক দিয়ে ছেলেদের চেয়ে এগিয়ে মেয়েরা। এবার জেএসসি-জেডিসিতে মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১১ লাখ ৯৫ হাজার ৮০০ জন ছাত্র এবং ১৪ লাখ ৬ হাজার ২৫৩জন ছাত্রী। ছাত্রের তুলনায় ছাত্রীর সংখ্যা ২ লাখ ১০ হাজার ৪৫৩জন বেশি। সার্বিকভাবে পাসের হার ৮৭ দশমিক ৯০ শতাংশ হলেও ছাত্রীদের পাসের হার ৮৮ দশমিক ৬৪ এবং ছাত্রদের ৮৭ দশমিক ০৩ শতাংশ। ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা ১ দশমিক ৬১ শতাংশ বেশি পাস করেছে। এবছর ৩২ হাজার ৫৪৬জন ছাত্র জিপিএ-৫ পেয়েছে। অন্যদিকে ৪৫ হাজার ৮৮৩জন ছাত্রী জিপিএ-৫ পেয়েছে। ছাত্রদের তুলনায় ১৩ হাজার ৩৩৭জন ছাত্রী বেশি জিপিএ-৫ পেয়েছে।
আলাদাভাবে এবার নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে জেএসসি পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৮৭ দশমিক ৫৮ শতাংশ। যা গতবার ছিল ৮৫ দশমিক ২৮ শতাংশ। জেএসসিতে এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭৬ হাজার ৭৪৭ জন, যা গতবছর ছিল ৬৬ হাজার ১০৮ জন। এবার বেড়েছে ১০ হাজার ৬৩৯জন। এর মধ্যে পাসের হারে সবার শীর্ষে রয়েছে বরিশাল বোর্ড। এই বোর্ডে পাসের হার ৯৭ দশমিক ০৫ শতাংশ। এরপরেই রয়েছে রাজশাহী বোর্ড ৯৪ দশমিক ১০ শতাংশ, সিলেট বোর্ডে ৯২ দশমিক ৭৯ শতাংশ, যশোর বোর্ডে ৯১ দশমিক ০৮ শতাংশ, কুমিল্লা বোর্ডে ৮৮ দশমিক ৮০ শতাংশ, ময়মনসিংহ বোর্ডে ৮৭ দশমিক ২১ শতাংশ, দিনাজপুর বোর্ডে ৮৩ দশমিক ৯২ শতাংশ, চট্টগ্রাম বোর্ডে ৮২ দশমিক ৯৩ শতাংশ এবং সবার নিচে ঢাকা বোর্ড ৮২ দশমিক ৭২ শতাংশ।
অন্যদিকে, মাদরাসা বোর্ডের অধীনে জেডিসিতে এবার মোট ৩ লাখ ৮০ হাজার ৪৪২জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে ৩ লাখ ৪১ হাজার ৫৫৩জন উত্তীর্ণ হয়েছে। পাসের হার ৮৯ দশমিক ৭৭ শতাংশ। যা গতবছর ছিল ৮৯ দশমিক ০৪ শতাংশ। এবার পাসের হার বেড়েছে দশমিক ৭৩ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে এক হাজার ৬৮২জন। যা গতবছরের চেয়ে ৩০৫ জন কম। এই বোর্ডে শতভাগ উত্তীর্ণ প্রতিষ্ঠান এক হাজার ৮৪৩টি, এবার এই সংখ্যা বেড়েছে ১১৬টি এবং শতভাগ ফেল করা প্রতিষ্ঠান ১৯টি, গতবছর যা ছিল ২৩টি। #
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।