Inqilab Logo

রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

যোগাযোগ বাড়ানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

নৌপথে নেপাল-ভুটান

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:০১ এএম

একটি বড় জাহাজ বা মাদার ভেসেল পেতে যাচ্ছে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্রবন্দর মোংলা বন্দর। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলা বাগেরহাটে অবস্থিত মোংলা বন্দরের জন্য একই সঙ্গে জরিপ ও গবেষণার জন্য একটি জাহাজ সংগ্রহ, দুটি টাগবোট এবং একটি অনুসন্ধান ও উদ্ধার জাহাজ কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। গতকাল জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এই সংক্রান্ত একটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করেন। ‘মোংলা বন্দরের জন্য সহায়ক জলযান সংগ্রহ’ শিরোনামের প্রকল্পটি বাস্তবায়নে সরকারের খরচ হবে ৭৬৭ কোটি টাকা। পুরো টাকাই রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে যোগান দেওয়া হবে। আগামী ২০২২ সালের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করার ঘোষণা দিয়েছে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ। প্রকল্পটি নেওয়ার উদ্দেশ্য, মোংলা বন্দরে নিরাপদ চ্যানেল তৈরি, সমুদ্রগামী জাহাজ সুষ্ঠুভাবে হ্যান্ডলিং এবং দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় জরুরী উদ্ধার কাজ পরিচালনা করা। গতকাল প্রকল্পটি অনুমোদনের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাশ্ববর্তী দেশ নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে নৌ যোগাযোগ বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন। বাংলাদেশের সঙ্গে লাগোয়ো আসামের সঙ্গেও নৌ যোগাযোগ বাড়ানোর কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, নৌ পথে পণ্য আনা নেওয়া বাড়াতে পারলে খরচ কমে যাবে। সড়ক পথে পণ্য আনা নেওয়াতে খরচ অনেক বেশি পড়ে। যানজটসহ নানা ধরনের সমস্যাও তৈরি হয় সড়কে। অবশ্য সেজন্য মোংলা বন্দরে নিয়মিত ড্রেজিং করার কথাও বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। একনেক বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, উত্তরের দিকে যেসব দেশ আছে, যেমন নেপাল, ভুটান, এমনকি আসাম-দেশ না হলেও বড় দেশের অংশ। তাদের সঙ্গে নৌ পথে চলাচলটা আরও সহজ করা দরকার। ব্যবসা-বাণিজ্যে আমরা নৌপথের দিকে আমরা নজর দিচ্ছি। আপনারা জানেন, ব্রহ্মপুত্র আমাদের বিশাল নদী। প্রধানমন্ত্রী বলছিলেন, খোঁজ-খবর নেন তাদের সঙ্গে কথা বলেন।

এদিকে সারা দেশেই নদী খননের সময় যাতে নদীর পাড় না ভাঙ্গে সেদিকে খেয়াল রাখতে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বিষয়টি তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনমন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমরা অনেক জায়গায় ড্রেজিং করছি। ড্রেজিংটা নদীর পাড়ের দিকে করা যাবে না। এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। যাতে নদীর পাড় না ভাঙ্গে। মোংলা বন্দর, পায়রা সমুদ্র বন্দর ও চট্টগ্রাম নদী বন্দরকে আরও আধুনিকায়নের কথাও বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। একই সঙ্গে নদী বন্দরগুলোতে অত্যাধুনিক স্ক্যানার মেশিন বসানোর নির্দেশও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

এম এ মান্নান বলেন, একনেক সভায় মোংলা বন্দরের জন্য সহায়ক জলযান সংগ্রহ প্রকল্পসহ মোট সাতটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট খরচ ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৪৬০ টাকা। এর মধ্যে রাষ্ট্রীয় তহবিল থেকে খরচ হবে ৪ হাজার ৩৪৬ কোটি টাকা। বাস্তবায়নকারী সংস্থা থেকে ১১৪ কোটি খরচ করা হবে। একনেক সভায় অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- দুই হাজার ৩০৩ কোটি টাকা ব্যয়ে পাওয়ার গ্রিড নেটওয়ার্ক স্ট্রেনদেনিং প্রজেক্ট আন্ডার পিজিসিবি, ২২০ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সক্ষমতা জোরদারকরণ, ১৯১ কোটি টাকা ব্যয়ে সিলেট, লালমনিরহাট ও বরিশাল ইনস্টিটিউট অব লাইভস্টক সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি স্থাপন, ১০২ কোটি টাকা ব্যয়ে ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনা জেলা অংশের সীমান্ত সড়ক নির্মাণ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রধানমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ