পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
অর্থমন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল বলেছেন, আগামী এপ্রিল থেকে ঋণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৯ এবং আমানতের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৬ শতাংশ সুদহার কার্যকর হচ্ছে। সব ধরনের আমানত ও ঋণের ক্ষেত্রে এই সুদহার কার্যকর করা হবে। তিনি বলেন, শিগগিরই বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়ে সার্কুলার জারি করবে। গতকাল গুলশানের জব্বার টাওয়াবে বেসরকারি ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও এমডিদের সঙ্গে অর্থমন্ত্রীর বৈঠকে এমনই সিদ্ধান্ত হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা ৯ শতাংশ সুদ শুধু শিল্পখাতে বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। এখন সিদ্ধান্ত হয়েছে ক্রেডিট কার্ড বাদে সব ঋণের সুদহার হবে ৯ শতাংশ। আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, প্রধানমন্ত্রীর চাহিদা ৯ শতাংশ সুদহার সকল ক্ষেত্রে হতে হবে। আমরা সেই সিদ্ধান্তই নিয়েছি। তবে সকল ক্ষেত্রে সেটা কাভার করতে কিছু সময় লাগবে। ব্যাংকগুলো সময় চেয়েছিল, আমরা দু’মাস কনফার্ম করেছি, আরেক মাস বাড়ানোর বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে কনফার্ম করবো। আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ১০ মিনিটের ভেতর কথা বলবো আরেক মাস সময় বাড়ানোর ইস্যুতে।
তিনি বলেন, ১ জানুয়ারি থেকে শিল্পঋণের সুদ হার সিঙ্গেল ডিজিটে কার্যকর করা কথা বলেছিলাম। এই সার্কুলারটা আজকেও ইস্যু করতে পারিনি। কারণ তার আগেই প্রধানমন্ত্রী কিছু নির্দেশনা দিয়েছিলেন, সেই নির্দেশনার আলোকে আমরা প্রথমে যেভাবে করতে চেয়েছিলাম, প্রধানমন্ত্রী সেটিও ঠিক রেখেছেন। তবে তার সঙ্গে আরও কিছু সংশোধন করেছেন। ওনাদের (ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও এমডি) কিছু দাবি ছিল, ওনারা তিনমাস সময় চান। এটাকে বাস্তবায়ন করার জন্য। জানুয়ারি ১ তারিখ থেকে না করে ১ এপ্রিল থেকে বাস্তবায়ন করতে চান। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে আমি ২ মাস সময় নিয়ে আসছিলাম, কিন্তু ওনারা তিন মাস সময় চাচ্ছেন।
ব্যাংকগুলো লোকসানে পড়বে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ব্যাংকগুলো লোকসানে যাতে না যায় সেজন্য তাদেরকে সাহায্য করবো। যাতে করে তারা নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে।
সিঙ্গেল ডিজিট সুদ বাস্তবায়ন করার জন্য কোন শর্ত ওনারা দিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, কোন শর্ত তাঁরা দেননি। বরং আমরা নিজেরাই তাদের অফার করেছি।
৬ শতাংশের বেশি কোন ব্যাংক আমানতের সুদ অফার করতে পারবে না। যেগুলো ৯-১০ শতাংশের এফডিআর হয়ে গেছে, তাহলে ওইসব আমানতের কি হবে-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, লোকসানতো কিছুই করতে হবে। তিন মাসের পরে আমরা কোন বিবেচনা শুনবো না। তিনমাস পর ৯ এবং ৬ বাস্তবায়ন করতে হবে। সরল সুদের বিষয়ে তিনি বলেন, সরল সুদ আর লাগবে না।
বৈঠক শেষে বিএবির চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, অর্থমন্ত্রী যে কথাগুলো বলেছেন, একই কথা আমিও বলবো। গতকাল (রোববার) রাতে অর্থমন্ত্রী, গভর্নর এবং আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একত্রিত হয়েছিলাম। প্রধানমন্ত্রী আমাদের বলেছেন, শুধু উৎপাদনশীল নয়, শিল্পকারখানা নয়, সকল ঋণ নয় শতাংশ বা তার নীচে হতে হবে। এজন্য আমরা কয়টা দিন সময় চেয়েছি এবং সময় পেয়েছি। অর্থমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী গভর্নর কাজও শুরু করে দিয়েছেন। ইনশাল্লাহ দেশের স্বার্থে জনগণের স্বার্থে আমাদের চাকরি এবং শিল্পের সম্প্রসারণের স্বার্থে, অর্থনীতির স্বার্থে এপ্রিলের ১ তারিখ থেকে আমানতে সর্বোচ্চ ৬ শতাংশ এবং ঋণে ৯ শতাংশ সুদ কার্যকর করতে পারবো। ব্যাংক মালিকরা নয়-ছয় সুদহার বাস্তবায়নের ঘোষনা দেন ২০১৮ সালের জুনে। কিন্তু সরকারি ব্যাংক এবং কয়েকটি বেসরকারি ব্যাংক ছাড়া বাকিগুলো ঋণে সুদহার এক অঙ্কে নামায়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।