Inqilab Logo

বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ১৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

চেয়ারম্যান-এমডি অবরুদ্ধ

বাইরে কর্মীদের বিক্ষোভ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

বেসিক ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অসন্তোষ কমাতে বেতন কাঠামো নির্ধারণের জন্য গতকাল জরুরি বৈঠকে বসে ব্যাংকটির পরিচালনা পরিষদ। তবে বোর্ড সভাকে কেন্দ্র করে রুমের বাইরে বিক্ষোভ করেন ব্যাংকের কর্মীরা।

গতকাল বিকাল ৪টায় রাজধানীর সেনা কল্যাণ ভবনে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এ বোর্ড সভা শুরু হয়। বোর্ডের এ সভাকে কেন্দ্র করে বিকাল থেকেই প্রধান কার্যালয়ে বিক্ষোভ করেছেন কর্মীরা। এ সময় তারা সভার রুমের বাইরে অবস্থান নেন।
এর আগে, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বেতন কাঠামো নির্ধারণের নির্দেশনা জারি করেছিল বেসিক ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। এর ফলে কমে যাবে ব্যাংকটির সর্বস্তরের কর্মীদের বেতন। এ কারণে বেসিক ব্যাংকে কর্মীদের মাঝে অসন্তোষ দেখা দেয়। এরপর থেকেই নিয়মিত বিক্ষোভ করছে বেসিক ব্যাংক কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

তাদের দাবি, ব্যাংকের সার্কুলার অনুযায়ী বেতন কাঠামো দেখে আমরা নিজ যোগ্যতায় চাকরি নিয়েছি। এখন বেতন কমানো অযৌক্তিক। বোর্ডের অদক্ষতা, অযোগ্যতা, অনিয়ম এবং দুর্নীতির কারণে ব্যাংক লোকসানে পড়েছে। পর্ষদের দায়ভার আমরা নেব কেন? এটা আমরা মানব না।
জানা গেছে, রাষ্ট্রায়ত্ত অন্যান্য ব্যাংকগুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে গত ২২ ডিসেম্বর বিকেলে সার্কুলার জারি করে কর্তৃপক্ষ -যা ওইদিন থেকেই কার্যকর করার নির্দেশনা দেয়া হয়।

সার্কুলারে বলা হয়েছে, ব্যাংকে গত সাত বছর ক্রমাগত লোকসান হওয়ায় বিদ্যমান অতিরিক্ত বেতন-ভাতা ব্যাংকের পক্ষে বহন করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এতে ব্যাংকের বিদ্যমান বেতন কাঠামো ও অন্যান্য সুবিধাদি বাতিল করা হলো।

উল্লেখ্য, গত আগস্ট মাসে বেসিক ব্যাংকের পরিচালনা পরিষদ ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ব্যাংকটিতে কর্মরতদের বেতন কমানোর নির্দেশনা দেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। ওইদিন বেসিক ব্যাংক কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা ৩৫৪ কোটি টাকা লোকসান করেছেন। মাত্র ৭২টা ব্রাঞ্চের জন্য এখানে প্রায় ২১০০ জনবল আছে। এত লোকের এখানে কী কাজ?’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ