পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গণতন্ত্রকে বারবার মর্গে পাঠানোই আওয়ামী লীগের রীতি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, এই বিনাভোটের সরকার জানে নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু ভোট হলে তাদের নৌকা ডুবিয়ে দেবে মুক্তিকামী জনগণ। আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কিনা সে শঙ্কা প্রকাশ করে রিজভী বলেন, এখনও পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের কোন ঐকান্তিক উদ্যোগ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। তারা শুধু আপ্তবাক্যের জাবর কেটে যাচ্ছেন। জনগণের ঘাড়ের ওপর দৈত্যের মতো চেপে বসা এই সরকার সুষ্ঠু নির্বাচনকে যাদুকরের মতো অদৃশ্য করে দিয়েছে। গতকাল রোববার দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশ্যে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ইভিএম বাতিল করে বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। ঢাকা মহানগরী বিএনপি’র নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের ও গ্রেফতার বন্ধ করতে হবে। তা না হলে ভোটাররা মনে করছেন আরেকটি মিডনাইট ভোটের আয়োজন চলছে।
২৯ ডিসেম্বর রাতকে ২৫ মার্চ কালো রাতের সাথে তুলনা করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, পৃথিবীর ইতিহাসে অভাবনীয় রেকর্ড সৃষ্টিকারী রাতের ভোটে ক্ষমতা দখলের এক বছর পূর্ণ হয়েছে ২৯ ডিসেম্বর রাতে। এই রাত ভোটাধিকার হরণের কালোরাত হিসাবে কলংকিত হয়ে থাকবে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালোরাতে যেমন নিরস্ত্র মানুষের ওপর ঝাপিয়ে পড়েছিল হানাদার বাহিনী ঠিক একইভাবে ২০১৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর কালো রাতে মানুষের ভোটাধিকারের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল আওয়ামী হানাদার ও তাদের দোসররা। হত্যা করা হয় গণতন্ত্রকে। ৩০ ডিসেম্বর কোন ভোট হয়নি বাংলাদেশে। তাই এই আওয়ামী লীগকে অনন্তকাল রাতের ভোট ডাকাতির কলংক তিলক বহন করে যেতে হবে, যেমন এখন পর্যন্ত প্রতিটি সচেতন মানুষ তাদেরকে গণতন্ত্র হত্যাকারী ও বাকশালী বলে অভিহিত করে। এরা একদলীয় মুঢ় বিশ্বাসের দ্বারা আচ্ছন্ন। বিএনপির এই নেতা অতি দ্রæত মিডনাইটের সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা এবং বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে একটি অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনের আয়োজন করার দাবি জানান।
রিজভী বলেন, রাষ্ট্রের আরেকটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশন। গত এক দশকে এই প্রতিষ্ঠানটিকে নির্বাচনী সন্ত্রাসের সিলমোহরে পরিণত করা হয়েছে। পরিণত করা হয়েছে একটি পাপেট, অথর্ব এবং দুর্নীতিবাজ প্রতিষ্ঠানে। এই প্রতিষ্ঠানটি এখন আর জনগণের ভোটাধিকার রক্ষার জন্য নয় বরং এটি ক্ষমতাসীনদের নির্বাচনী হিংসা ও ভোটলুটের বৈধতা দানের প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা ভোটাধিকার হরণের জন্য শুধুমাত্র দিনের আলোই নয়, রাতের অন্ধকারকেও বেছে নিয়েছে। জনগণের ভোটাধিকার হরণের জন্য নির্বাচন কমিশন আরেকটি প্রধান অস্ত্র নিয়ে দহরম মহররম শুরু করেছে, সেটি হলো ইভিএম। কারণ এই যন্ত্রটি দ্রæতচারী, দ্রæতই এর মাধ্যমে ফলাফল পাল্টে দেয়া সম্ভব।
ইভিএম পরিত্যাক্ত প্রযুক্তি মন্তব্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘ইভিএম ২৮ বছরের পুরনো একটি প্রযুক্তি। এই পদ্ধতিতে কোনো কোনো দেশে ভোট গ্রহণের চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু প্রযুক্তিবিদদের গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, ইভিএম একটি অস্বচ্ছ ভোটগ্রহণ পদ্ধতি, যা গণতন্ত্র চর্চায় সহায়ক নয়। যেসব দেশে বিভিন্ন সময় পরীক্ষামূলকভাবে ইভিএম ব্যবহার করে আংশিক ভোট গ্রহণ হয়েছিল পরবর্তীতে ব্যাপক বিক্ষোভের মুখেও একমাত্র ভারত ছাড়া নেদারল্যান্ডস, আয়ারল্যান্ড, জার্মানি, ইতালি ও যুক্তরাষ্ট্রসহ সবদেশে ইভিএম ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। প্রযুক্তিবিদরা বলছেন, ইভিএম সহজেই টেম্পার করা যায়। তাই ইভিএম ব্যবহার করে নির্বাচনে বিশ্বাসযোগ্য ফলাফল পাওয়া অসম্ভব। কারণ ইভিএম একটি ইলেকট্রনিক ভোটিং পদ্ধতি এবং ইলেকট্রনিক ও ইনফরমেশন টেকনোলজির সব মডিউল বাজারে সহজলভ্য। এইসব মডিউল ব্যবহারের মাধ্যমে ইভিএম টেম্পার করে ভোটার’রা যাকেই ভোট দেবেন সব ভোট নৌকা প্রতীকে নিয়ে আসার মতো অপকৌশল প্রয়োগ অসম্ভব নয়। তাই জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগ এবং জনগণের ভোট রক্ষায় ইভিএম কখনোই গ্রহণযোগ্য পদ্ধতি হতে পারেনা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।