পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
দীর্ঘদিন থেকে নানা সমস্যায় জর্জরিত দেশের সম্ভাবনাময় আবাসন খাত। সে অবস্থা থেকে কিছুটা ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিচ্ছে খাতটি। দীর্ঘদিন বিক্রি থমকে থাকার পর জমে উঠেছে শীতকালীন আবাসন মেলা। উচ্চবিত্ত থেকে শুরু করে মধ্য ও নিম্ন মধ্যবিত্ত সবার স্বপ্ন নিজের একটা বাড়ি। পাঁচ দিনব্যাপি চলমান রিহ্যাব মেলার ৩ দিনই ছিল সরকারি ছুটি। তাই ছুটির দিনসহ অন্যান্য দিনে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের ভিড় কিছুটা হলেও আবাসন খাতকে স্বস্তি দিয়েছে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্টরা। সবারই প্রত্যাশা সাধ্যের মধ্যে নিজের একটা বাসস্থান। তবে প্লট-ফ্ল্যাটের দাম বাড়ায় ক্রেতাদের মধ্যে কিছুটা অস্বস্তি দেখা গেছে। বিশেষ করে ক্রেতাদের কম টাকার ছোট ফ্ল্যাটে আগ্রহ থাকলেও মেলায় সবই উচ্চমূল্যের ফ্ল্যাট। ক্রেতারা জানান, ৩০ লাখ টাকার মধ্যে ফ্ল্যাট খুঁজে পাওয়া অনেকটা দুষ্কর। ছোট আকৃতির বেশিরভাগ ফ্ল্যাটের দাম ৬৫ লাখ টাকা। আর মাঝারি আকারের ফ্ল্যাটের দাম পড়বে ১ থেকে দেড় কোটি টাকা। মেলায় উচ্চমূল্যের ফ্ল্যাটই বেশি লক্ষ্য করা গেছে।
রাজধানী ঢাকায় একটি বাড়ি করার স্বপ্ন কার-ই না থাকে। তাই স্বল্প ও মধ্যম আয়ের মানুষের সাধ ও সাধ্যের মধ্যে প্লট ও ফ্ল্যাটের পসরা নিয়ে বসেছে দেশের আবাসন শিল্পখাতের সবচেয়ে বড় আয়োজন ‘রিহ্যাব উইন্টার ফেয়ার-২০১৯’। সাধ আর সাধ্যমত পছন্দের আবাস খুঁজে পেতে শেষ দিনে ক্রেতা-দর্শনার্থীরা তাদের পছন্দের আবাসন তথা ফ্ল্যাট এবং প্লট পছন্দ নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন।
মেলায় ক্রেতারা দাম, বুকিং মানি, ডাউন পেমেন্ট, প্রকল্পের অবস্থান সম্পর্কে খোঁজ খবর নিচ্ছেন। সবকিছু মিলে গেলে বুকিং দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। ক্রেতারা বলছেন, এক সঙ্গে অনেক প্রতিষ্ঠান থাকায় যাচাই-বাছাইয়ের সুযোগ পাওয়া যাচ্ছে। অনেকেই আবার তৈরি ফ্ল্যাট খুঁজছেন। তবে প্লট ও ফ্ল্যাটের দাম এবার বাড়তির দিকে। এতে ক্রেতারা বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন।
এদিকে ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে মেলবন্ধনের এ সুযোগ সৃষ্টি করতে পেরে খুশি রিহ্যাব। জমি, ফ্ল্যাট, বাড়ি কিংবা পুরনো সম্পত্তির কেনাবেচা চলছে বেশ জোরেশোরে। প্রতিবছরের মতো এবারও তাই নানা ছাড়-অফার কিংবা নানা পুরস্কারের ঝুলি নিয়ে বিক্রেতারা পসরা সাজিয়েছিলেন। ফ্ল্যাট এবং ল্যান্ড ছাড়াও বাড়ি তৈরির উপকরণ, আইনী সহায়তা কিংবা যন্ত্র সবই মিলছে রিহ্যাব ফেয়ারে। মেলায় আশানুরূপ সাড়া পেয়েছে ইউএস-বাংলা এসেটসের পূর্বাচল আমেরিকান সিটি। মেলা শুরুর দিন থেকেই ইউএস-বাংলা এসেটসের ২১ নম্বর স্টলে দর্শনার্থীর ভিড় ছিল। প্লট বুকিং দিলেই আকর্ষণীয় পুরস্কার ছিল বলে জানিয়েছেন স্টলের কর্মকর্তারা।
রিহ্যাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট (প্রথম) লিয়াকত আলী ভূইয়া বলেন, যারা এসেছেন বেশিরভাগই ফ্ল্যাট ও প্লট কেনার খোঁজ খবর নিয়েছেন। এদের মধ্যে অনেকে বুকিং দিয়েছেন। মেলার পরে আরও ছয় মাস এসব ক্রেতাদের কাছে ফ্ল্যাট বিক্রি হবে। তবে এই মেলা আবাসন খাতে বেচাকেনা চাঙ্গা করবে বলে আশা করেন তিনি।
ভাইস প্রেসিডেন্ট কামাল মাহমুদ বলেন, ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের মধ্যে সমন্বয় ঘটাতে আমাদের এই ফেয়ারের আয়োজন। আমরা মনে করি আমাদের আয়োজন সফল হয়েছে। এবারের মেলায় শীতে বেড়াতে আসা প্রচুর পরিমানে প্রবাসী বাংলাদেশীরা ঘুরে গেছেন। যারা মেলায় ফ্ল্যাট এবং প্লট এর খোঁজ খবর নিয়েছেন। আমরা আশাবাদী তারা এই খাতে বিনিয়োগ করবেন।
মেলার শেষ দিন গতকাল ছুটির দিন হওয়ায় ব্যাপক ক্রেতা সমাগম হয়। সকালে আবহাওয়ার কারণে দর্শনার্থী কিছুটা কম হলেও সন্ধ্যার দিকে পরিপূর্ণ হয়ে যায় মেলা প্রাঙ্গন।
প্রতিবারের মত মেলায় ঋণ সুবিধা দিতে ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান থাকায় বাড়তি সুবিধা পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন মেলায় আসা ক্রেতা সাধারণ। ক্রেতারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ঘুরে তাদের প্রকল্পগুলোর প্রসপেক্টাস নিয়ে গেছেন। যাচাই বাছাই করে পরবর্তী সময়ে যোগাযোগ করবেন বলে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো প্রত্যাশা করছেন। প্রতিষ্ঠানগুলো জানিয়েছে, মেলায় আসা ক্রেতাদের মধ্যে স্বল্প এবং মধ্যবিত্ত ক্রেতার সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। বেশি আগ্রহ ছিল ছোট এবং মাঝারি ফ্ল্যাটের দিকে।
এবারের মেলায় ১৬০টি প্রতিষ্ঠানের মোট ২৩০টি স্টল অংশ নেয়। ৩০টি বিল্ডিং ম্যাটেরিয়ালস ও ১৪ অর্থলগ্নীকারী প্রতিষ্ঠানও অংশগ্রহণ করে মেলায়। গত মঙ্গলবার মেলা শুরু হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।