পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সংশয়-সংঘর্ষ আর আতঙ্কের আবহে সম্প্রীতির নজির দেখল উত্তরপ্রদেশের কানপুর। বকরগঞ্জের খান পরিবারের মেয়ে জিনাতের বিয়ে। ফুল আর আলোয় সেজে উঠেছে পাড়া। এমনই অবস্থায় বাধল বিপত্তি। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে উত্তাল উত্তরপ্রদেশ। কার্ফু জারি হল জিনাতদের এলাকাতেও। পাত্র হাসনায়ন ফারুকির বাড়ি প্রতাপগড়ে। বিয়ের সকালে পাত্রের পরিবার ফোন করে জানালো, পরিস্থিতি এমন থাকলে তাদের পক্ষে বিয়েতে আসা কঠিন। মাথায় হাত পাত্রীর পরিবারের। তাদের এই উদ্বেগের কথা কানে যায় হিন্দু প্রতিবেশী বিমল কাপাড়িয়ার। তিনি জিনাতের পরিবারকে আশ্বস্ত করেন, ‘চিন্তা করবেন না। ওদের আসতে বলুন। আমরা সব সামলে নেব।’
সন্ধ্যের পর গাড়ি এবং বাসে করে বরযাত্রী এসে পৌছে। কার্ফু থাকায় গাড়ি এলাকায় ঢুকতে দেয়নি পুলিশ। সেখান থেকে কনের বাড়ি পর্যন্ত এক কিলোমিটার পথ হেঁটেই আসতে হয় তাদের। অশান্তির আঁচ যাতে গায়ে না লাগে তার জন্য মানবশৃঙ্খল করে তাদের ঘিরে রাখেন বিমল, সোমনাথ, নীরজরা। যতক্ষণ না বিয়ের অনুষ্ঠান শেষ হয়, তারা সেখানেই ছিলেন। একই ভাবে বিয়ের পর বরকনেকে গাড়িতে তুলে দিয়ে তবেই ফিরেছেন তারা। বিমলের কথায়, ‘ছোটবেলা থেকে জিনাতকে দেখেছি। আমার বোনের মতো। এমন খুশির দিনে কি অশান্তির আঁচ লাগতে দেওয়া যায়। তাছাড়া, আমরা তো একটা পরিবারের মতোই’। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।