Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ঢাবিতে সন্ত্রাসবিরোধী ছাত্র ঐক্য’র সমাবেশ

জড়িত সবার গ্রেফতার দাবি

বিশ^বিদ্যালয় রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:১৯ এএম

ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর ও বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলায় ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রলীগ ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের জড়িত নেতা-কর্মীদের গ্রেফতারসহ বহিষ্কারের দাবিতে আল্টিমেটাম দেয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ঢাবির রাজু ভাস্কর্যে সন্ত্রাসবিরোধী ছাত্র ঐক্য’র ব্যানারে অনুষ্ঠিত ছাত্র-জনতার সমাবেশ থেকে ডাকসু সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন এই আল্টিমেটাম দেন। ছাত্র-জনতার এ সমাবেশ থেকে হামলার দায়ভার নিয়ে ঢাবি প্রক্টরকে পদত্যাগ ও ডাকসুর সিসিটিভির ফুটেজ উদ্ধারের দাবি জানানো হয়েছে। দাবি আদায় না হলে সারাদেশের শিক্ষার্থীদের নিয়ে আন্দোলনে নামার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। সমাবেশের সঞ্চালনা করেন ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন। সমাবেশের শুরুতেই হামলার ঘটনার বিবরণ দেন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহŸায়ক রাশেদ খাঁন। এতে সংহতি জানাতে এসে মানুষের ঢল নামলে কেউ ঠেকাতে পারবে না উল্লেখ করে আলোকচিত্রী শহীদুল আলম বলেন, আপনাদের দেখাদেখি সারা দেশবাসী জেগে উঠবে। আপনাদের এ আয়োজনকে মুবারকবাদ জানাই।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ^বিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর সাঈদ ফেরদৌস বলেন, ডাকসুর সাবেক ভিপি তোফায়েল আহমেদ বর্তমান ভিপি নুরের অধিকতর রাজনীতির বিষয়ে কথা বলেন। তিনি যেন উনসত্তর সালে তার ভূমিকার দিকে ফিরে তাকান। আজকের তরুণরা অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলবে। এটাই তারুণ্যের গর্ব, তারুণ্যের সৌন্দর্য।
বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসনের উচিৎ মামলা করা:
সমাবেশে ঢাবি আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক তানজীমউদ্দিন খান বলেন, বিশ^বিদ্যালয়ের ইতিহাসে ডাকসু ভিপির ওপর এমন হামলার নজির নেই। এনএসএফও ডাকসু কার্যালয়ে ঢুকে ভিপির ওপর হামলা চালিয়ে হত্যার চেষ্টা করার সাহস করেনি। তিনি বলেন, ভিপি নুরের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা করল পুলিশ, এজন্য আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই। কিন্তু যেহেতু হামলা হয়েছে ডাকসু ভবনে অর্থাৎ বিশ^বিদ্যালয়ের ভেতরে তাই বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসনের উচিৎ ছিল মামলা করা। কিন্তু তারা মামলা করে নি। এটা স্পষ্ট যে, সন্ত্রাসী কার্যক্রমকে তারা উসকানি দিয়ে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ থাকলেও এর পেছনে ছিল ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠন। প্রশাসন দলীয় রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে এ ধরনের অন্যায় কাজগুলো দমাতে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারছে না।
ঢাবি আইন বিভাগের প্রফেসর আসিফ নজরুল বলেন, সরকার ইতোমধ্যে দুজনকে গ্রেফতার করেছে এবং পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা দেয়া হয়েছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে এটাকে সাধুবাদ জানাতে চাই। এর সঙ্গে সঙ্গে এই প্রশ্ন উত্থাপন করতে চাই, এটা কি আইওয়াশ নাকি সত্যি কোন পদক্ষেপ। কারণ এই হামলার পিছনে যাদের নাম এসেছে পত্রিকায় তাদের অনেককে গ্রেফতার করা হয় নাই তাদের অনেকের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ