পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকার সাভারে বকেয়া বেতন-ভাতার দাবিতে কারখানায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছে তৈরি পোশাক কারখানার কয়েকশ’ শ্রমিক। দাবি আদায়ে বিক্ষুদ্ধ শ্রমিকরা কারখানার কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করে ব্যাপক ভাঙচুর ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। অবরোধ করে রাখে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় উভয়পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় কমপক্ষে ২০ শ্রমিক আহত হয়েছে।
গতকাল দুপুরে সাভারের বিরুলিয়া সড়কের শাহীবাগ এলাকায় অবস্থিত আজিম গ্রুপের প্রতিষ্ঠান ‘গেøাবাল আউটার ওয়্যার লিমিটেড ও গেøাবাল ফ্যাশন গার্মেন্টস লিমিটেড’ কারখানায় এ ঘটনা ঘটে। শ্রমিক অসন্তোষের মুখে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কারখানা দুটিতে একদিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আজিম গ্রুপের গেøাবাল আউটার ওয়্যার লিমিটেড ও গেøাবাল ফ্যাশন গার্মেন্টস লিমিটেড কারখানার প্রায় ৭ হাজার শ্রমিক গত সোমবার থেকে তাদের নভেম্বর মাসের বকেয়া বেতন-ভাতার দাবিতে কর্মবিরতিসহ বিক্ষোভ করে আসছে।
গতকাল সকালেও শ্রমিকরা কারখানায় প্রবেশের পর কাজ না করে দাবি আদায়ে কর্মবিরতিসহ বিক্ষোভ শুরু করে। একপর্যায়ে কিছু শ্রমিক কারখানার কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করে ভেতরে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়।
এ ঘটনায় কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হলে শিল্প পুলিশের সদস্যরা শ্রমিকদেরকে নিরাপদে কারখানা থেকে বের করে দেন। কিন্তু বিক্ষুদ্ধ শ্রমিকরা কারখানার মূল ফটকে অবস্থান নিয়ে দাবি আদায়ে বিক্ষোভ ও পুলিশকে লক্ষ করে ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপসহ লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
পরে শ্রমিকরা ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ডের কাচা বাজারের সামনে সড়ক অবরোধ করে। পরে পুলিশ এসে লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে। সংঘর্ষের ঘটনায় কারখানার দুই কর্মকর্তাসহ কমপক্ষে ২০ শ্রমিক আহত হয়েছে।
কারখানার সুইং অপারেটর জহিরুল ইসলাম, মো. শাহিন ও মো. লিটন বলেন, আমাদের এক মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে যা গত রোববার পরিশোধের কথা ছিলো। কিন্তু কর্তৃপক্ষ কিছু শ্রমিককে বেতন দিলেও বাকিদের বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত জানায়নি।
গতকাল শ্রমিক বিক্ষোভের মুখে কারখানার ব্যবস্থাপক (অপারেশন) মো. জাহিদুল হক ও সহকারী ব্যবস্থাপক (কোয়ালিটি) মইনুল ইসলাম আগামী ৩০ ডিসেম্বর বকেয়া বেতন পরিশোধের কথা জানালে শ্রমিকরা উত্তেজিত হয়ে উঠে। এ সময় কারখানার নিজস্ব বাহিনী দিয়ে শ্রমিকদের ওপর হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ তাদের।
আজিম গ্রুপের ব্যবস্থাপক (প্রশাসন ও অর্থ) এম.এ আকবর বলেন, আমরা প্রতিমাসে নির্দিষ্ট সময়ে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করে থাকি। কিন্তু সম্প্রতি কারখানায় কাজ কমে যাওয়ায় এই মাসে আমাদের বেতন পরিশোধে সময় লাগছে। তবে খুব শিগগিরই শ্রমিকদের যাবতীয় পাওনা পরিশোধ করা হবে বলে জানান তিনি।
শিল্প পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহমুদ নাসের জনি বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বিক্ষুদ্ধ শ্রমিকরা কারখানায় ভাঙচুরের পাশাপাশি সড়কে অবস্থান নিয়ে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটালে আমরা তাদেরকে সরিয়ে দেই। এছাড়া যে কোন ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কারখানায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। প্রস্তুত রয়েছে পুলিশের বিশেষ সাজোয়া যান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।