পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশে সব ধর্মের মানুষের সমান অধিকার রয়েছে। যে কোনো ধর্মের উৎসব আয়োজনে সরকার প্রতিবছরই সহযোগিতা করে থাকে। এবারও খ্রিষ্টান ধর্মের বড়দিন উপলক্ষে সহযোগিতা করা হয়েছে। গতকাল গণভবনে খ্রিষ্টানদের সবচেয়ে বড় উৎসব বড়দিন উপলক্ষে সম্প্রদায়টির মানুষজনের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের মুসলমানরা যেমন ১০০ টাকার মাধ্যমে তার সন্তানদের সম্পত্তি হেবা করে দিতে পারেন, এই সুযোগ খ্রিষ্টানদের ছিল না। আমরা আইন করে আপনাদের সন্তানদের ক্ষেত্রে একই টাকায় এ ধরনের সম্পত্তি দেয়ার বিধান করেছি। ফলে আপনাদের সন্তানদের জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
২০০৯ সালে খ্রিষ্টান ধর্ম কল্যাণ স্ট্রাস্টে ৫ কোটি টাকা অনুদান দেয়া হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী খ্রিষ্টান ধর্মের ধনাঢ্যদের ওই ট্রাস্টে অনুদান দেয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, প্রতিটি উৎসবেই সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতা দেয়া হয়। এবারও খ্রিষ্টান ধর্মের মানুষকে চার্চের মাধ্যমে সহযোগিতা করা হয়েছে, যেন বড়দিনে প্রত্যেকে মিষ্টিমুখ করতে পারেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা গণভবনে এসেছেন, গণভবনের মাটি ধন্য হয়েছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু মানুষের সেবা করার জন্যই রাজনীতি করতেন। মানুষ যেন দারিদ্র্যের কষাঘাত থেকে মুক্তি পায়, সেজন্য তিনি কাজ করেছেন। যারা মানুষের জন্য কাজ করেন, তাদের কেন এভাবে ব্যথা পেতে হয় তা জানি না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের মাধ্যমে সারাবিশ্বে থাকা এ ধর্মের মানুষের প্রতি বড়দিনের শুভেচ্ছা জানান।###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।