পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পৃথিবীর যে কয়েকটি দেশ সবার আগে ইংরেজি নতুন বছরে পা রাখে তার মধ্যে একটি অস্ট্রেলিয়া। আর ৩১ ডিসেম্বর মানেই সিডনিতে অন্য ধরনের আকর্ষণ। সিডনির সাগর তীরের আলোকসজ্জা বিমুগ্ধ করে রাখে বিশ্ববাসীকে।
ক্রিসমাস বা ইংরাজি নববর্ষে আনন্দময় ভ্রমণপিপাসু লোকদের অন্যতম গন্তব্য থাকে অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু এবার আর সেটি হচ্ছে না। দেশটির প্রশাসন পর্যটকদের না আসার কথা বলছে। কারণ দাবানলে জ্বলছে অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস। সীমাহীন বিপদের আশঙ্কায় কাঁপছেন দমকল কর্মীরা।
নিউ সাউথ ওয়েলসের একটা বড় অংশকে ‘ফায়ার জোন’ বা অগ্নিদগ্ধ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। দাবানল দাউদাউ করে ছড়িয়ে পড়ছেই। সে সঙ্গে বাড়ছে তাপমাত্রা। ইতোমধ্যে ৪০ ডিগ্রির ঘর অতিক্রম করেছে। আজকালের মধ্যে আরও ১ ডিগ্রি বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নিউ সাউথ ওয়েলসের দমকল বিভাগের কমিশনার শ্যান ফিটসিমনস গণমাধ্যমকে বলছেন, ‘পরিস্থিতি ভয়াবহ, বিপদের চরম সীমা।’ নিউ সাউথ ওয়েলসেই শুধু নয়, সিডনি এবং ভিক্টোরিয়া প্রদেশেও জারি হয়েছে জরুরি অবস্থা। এই প্রদেশের প্রধান গø্যাডিস বেরেজিকলিয়ানের কথায়, ‘আমরা সমস্ত পর্যটকদের বলছি, জঙ্গল লাগোয়া রাস্তাঘাটে গাড়ি নিয়ে যাবেন না। আগুনের গ্রাসে পড়তে পারেন।’ বিপদ এড়াতে বেশিরভাগ জঙ্গল সংলগ্ন হাইওয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ ও দমকলবাহিনীর ক্রিসমাসের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলে দিয়েছেন, শুধু ছটি বাতিল নয়। প্রয়োজনে এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে রাতদিন কাজ করতে হবে। যেখানে অস্ট্রেলিয়া দাবানলে জ্বলছে সেখানে এখন আনন্দ উদযাপনের সময় নয়।
এদিকে দমকলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ক্রিসমাসের আগে দাবানল কোনওভাবেই নিয়ন্ত্রণে আসবে না। চলতি সপ্তাহেই আগুন নেভাতে গিয়ে ঝলসে মৃত্যু হয়েছে ২ দমকল কর্মীর। জঙ্গলে প্রাণহানির আশঙ্কায় বহু প্রাণী।
গত কয়েক মাস ধরে এই দাবানলের জন্য অস্ট্রেলিয়ার বিস্তীর্ণ অংশে বিরাজ করছে খরা পরিস্থিতি। উচ্চ তাপমাত্রা, বাড়তি আর্দ্রতায় পরিবেশ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সাধারণ বাসিন্দারা। অন্যদিকে জঙ্গলের আগুন জ্বলতে থাকায় বাতাস দিক পরিবর্তন করে অন্যত্রও উষ্ণতা বাড়াচ্ছে। জনসাধারণের একটা বড় অংশই এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার জন্য দেশের প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনকে দায়ী করছেন।
পরিবেশ বাঁচাতে উষ্ণায়ন রোধে তার সরকারের ভ‚মিকা একেবারেই নেতিবাচক বলে সমালোচনা শুরু হয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে ক্রিসমাসে এবং নববর্ষের আনন্দের সময় যে এই ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যেই কাটাতে হবে। আর অস্ট্রেলিয়বাসীকে সেটাই চিন্তার ভাঁজ বাড়াচ্ছে তাদের কপালে। সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।