পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশের শীর্ষ এনজিও ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদ আর নেই। গতকাল রাত ৮টার দিকে রাজধানীর বসুন্ধরাস্থ অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। তিনি স্ত্রী, এক মেয়ে, এক ছেলে এবং তিন নাতি-নাতনি রেখে গেছেন। ব্র্যাকের চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান মৃত্যুর গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন। স্যার ফজলে হাসান আবেদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এক শোকবার্তায় মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
আগামী ২২ ডিসেম্বর রোববার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত তার লাশ ঢাকার আর্মি স্টেডিয়ামে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাখা হবে। দুপুর সাড়ে ১২টায় আর্মি স্টেডিয়ামেই নামাজের জানাজা সম্পন্ন হবে। জানাজার পর ঢাকার বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
বৃহত্তর সিলেটের হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে এক সম্ভান্ত মুসলিম পরিবারে ফজলে হাসান আবেদের জন্ম। আন্তর্জাতিক দাতব্য প্রতিষ্ঠান ব্র্যাক প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে তিনি তার কর্মের পরিধি বিস্তৃত করেছিলেন। একেবারে সমাজের নিম্নবিত্ত অসহায় মানুষের কল্যাণে স্বাধীন বাংলাদেশের যুদ্ধবিধ্বস্ত গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসনকে সামনে রেখে বৃহত্তর সিলেটের সুনামগঞ্জ এলাকার শাল্লা গ্রামে তিনি কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্র্যাকের জন্ম দেন।
মূলত মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে ছোট একটি ত্রাণ কার্যক্রমের মাধ্যমে ১৯৭২ সালে ব্র্যাক প্রতিষ্ঠা করেন স্যার ফজলে হাসান আবেদ। গত ৪৭ বছরে বিশ্বজুড়ে অন্তত ১১ কোটি মানুষের জীবনমান উন্নয়নে ভ‚মিকা রাখার মাধ্যমে ব্র্যাক পরিণত হয় বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ও কার্যকর বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায়। ব্র্যাকের উন্নয়ন ব্যবস্থার আওতায় রয়েছে সোশ্যাল এন্টারপ্রাইজ, মাইক্রোফাইন্যান্স, উচ্চশিক্ষা, বিনিয়োগ এবং উন্নয়ন কর্মস‚চি। এশিয়া ও আফ্রিকা মহাদেশের ১১টি দেশে বিস্তৃত রয়েছে সংস্থাটির কার্যক্রম। এছাড়াও ব্র্যাকের অ্যাফিলিয়েট কার্যালয় রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে এবং যুক্তরাজ্যে।
ব্র্যাকের বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের নাম ছড়িয়ে দেয়া ফজলে হাসান আবেদ অসংখ্য সম্মাননা ও পুরস্কার পেয়েছেন। বিশ্ব খাদ্য পুরস্কার, অফিসার ইন দ্য অর্ডার অব অরেঞ্জ-নাসাউ, স্প্যানিশ অর্ডার অব মেরিট, ইন্টারন্যাশনাল গোল্ড মেডেলের মতো পুরস্কার পেয়েছেন। চলতি দশকে দুইবার ফরচুন ম্যাগাজিনের নির্বাচিত ৫০ বিশ্বনেতার তালিকাতেও স্থান পেয়েছিলেন তিনি। ফজলে হাসান আবেদ প্রতিষ্ঠিত ব্র্যাক দেশের গÐি পেরিয়ে এশিয়া ও আফ্রিকার বেশ কয়েকটি দেশে কাজ করছে। বিশ্বের অন্যতম বড় এনজিও হিসেবে এটি স্বীকৃত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।