পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দূরের পাহাড়গুলোর উপর মেঘের হামাগুড়ি, সাথে একটা দুটো ঝরনার প্রবাহ। নদীর স্বচ্ছ পানির তলায় বালুর গালিচা। চিক চিক করা রূপালী বালু আর ছোট বড় সাদা অসংখ্য পাথর মিলে এ যেন এক পাথরের রাজ্য। প্রকৃতির খেয়ালে গড়া নিখুঁত ছবির মতো সুন্দর এই জায়গাটির নাম ভোলাগঞ্জ। সাদা সাদা পাথর ছড়ানো এই জায়গাটি দেখতে অবিকল বিছানাকান্দির মতো। এ যেন সাদা পাথরের আরেক বিছানাকান্দি। জাফলং, বিছানাকান্দিতে তো অনেকেই গিয়েছেন, এবার ঘুরে আসুন মন ভোলানো ভোলাগঞ্জ থেকে। যা আপনার হৃদয়কে শুধু দোলাই দিবে না, নিয়ে যাবে এক স্বপ্নের দেশে।
ভোলাগঞ্জ সিলেট জেলার সীমান্তবর্তী উপজেলা কোম্পানিগঞ্জে অবস্থিত। ভোলাগঞ্জের আরেকপাশে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের উঁচু উঁচু পাহাড়। সেই পাহাড় থেকে নেমে আসা ঝর্ণার পানির প্রবাহ ধলাই নদের উৎস। এই নদের উৎস মুখের পাথরের জায়গাটুকু ভোলাগঞ্জ জিরো পয়েন্ট বা “সাদা পাথর” নামে পরিচিত।
উৎমাছড়া ও তুরংছড়া
ভোলাগঞ্জের কাছেই আরও দুইটি পর্যটন স্থান উৎমাছড়া ও তুরংছড়া। অনেকেই সাদা পাথর ভ্রমণ করে উৎমাছড়া ও তুরংছড়া ঘুরতে যান। ভোলাগঞ্জের সাদা পাথর ঘুরে উৎমাছড়ায় যেতে চাইলে আপনাকে প্রথমে যেতে হবে দয়ারবাজার। আপনি যেই নৌকায় ভোলাগঞ্জ যাবেন সেই নৌকার মাঝিকে বললেই তিনি দয়ারবাজার ঘাটে নামিয়ে দিবে। সেক্ষেত্রে অল্প কিছু টাকা বেশি দিতে হতে পারে। অথবা আগেই নৌকা ঠিক করার সময় বলে দিবেন। দয়ার বাজার গিয়ে সেখান থেকে সিএনজি/বাইক নিয়ে জনপ্রতি ৩০-৫০ টাকা ভাড়ায় চলে যান চরার বাজার। চরার বাজার নেমে কাউকে জিজ্ঞেস করলেই উৎমাছড়ার পথ দেখিয়ে দিবে। সেখান থেকে ১০-১৫ মিনিট হাঁটলেই পৌঁছে যাবেন উৎমাছড়া পয়েন্টে। আর চরারবাজার থেকে তুরংছড়া হেঁটে যেতে সময় লাগে ৩০-৪০ মিনিট। চাইলে চরারবাজার থেকে বাইক নিয়েও যেতে পারবেন। সিলেটে ফিরে আসার সময় আপনার অবস্থান অনুযায়ী চরারবাজার/দয়ারবাজার/ভোলাগঞ্জ থেকে সরাসরি সিএনজি নিয়ে চলে আসতে পারেন সিলেটের আম্বরখানায়।
উপযুক্ত সময়
ভোলাগঞ্জ যাবার সবচেয়ে ভাল সময় হচ্ছে বর্ষাকাল ও তার পরবর্তী কিছু মাস অর্থাৎ জুন থেকে সেপ্টেম্বর। এই সময় যাওয়ার জন্যে সবচেয়ে উপযুক্ত সময়। অন্যসময় গেলে সেখানে পাথরের সৌন্দর্য দেখতে পেলেও নদীতে বা ছড়ায় পানির পরিমাণ কম থাকবে। আর শীতকালে সাদা পাথর এলাকায় নৌকা চলাচল করার মত পানি থাকেনা তখন পায়ে হেঁটে ঘুরে দেখতে হবে।
কিভাবে যাবেন
সিলেট থেকে ভোলাগঞ্জের দূরত্ব প্রায় ৩৫ কিলোমিটার। দেশের যেখান থেকেই ভোলাগঞ্জ যেতে চান আপনাকে প্রথমে সিলেট শহরে আসতে হবে। সিলেট থেকে বিআরটিসি বাস, বাস, সিএনজি, লেগুনা বা প্রাইভেট কারে করে যাওয়া যায় ভোলাগঞ্জ। বর্তমানে ভোলাগঞ্জ যাওয়ার রাস্তার অবস্থা খুবই ভাল। সাদা পাথরে দেশে সরকারি পরিবহন বিআরটিসি বাসে মাত্র ৫০ টাকা ভাড়া প্রদান করে যাওয়া যায়। যা পর্যটকদের যাথায়াতকে অনেকটাই সহজতর করে দিয়েছে। নগরীর আম্বরখানা কলোনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামন থেকে প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কোম্পানীগঞ্জের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে এই বাস। কোম্পানীগঞ্জ থেকে সিলেটের উদ্দেশ্যেও দু’ঘণ্টা পরপর বাস ছাড়বে। আপাতত এ বহরে দুটি বাস যুক্ত হয়েছে। তবে শীঘ্রই বাসের সংখ্যা বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। আম্বরখানা থেকে কোম্পানীগঞ্জের জিরো পয়েন্টে গিয়ে থামবে বিআরটিসি’র বাস। জিরো পয়েন্টের পাশেই পর্যটকদেরর আকর্ষণীয় স্থান সাদাপাথর। এখন থেকে মাত্র ৫০ টাকা ভাড়ায় বিআরটিসি’র বাসে পৌঁছে যাওয়া যাবে স্বপ্নের সাদাপাথরে। বিআরটিসি বাস সার্ভিসের সিলেট জেলার সমন্বয়ক শোয়াইব শুভ বলেন, এই বাসে করে কোম্পানীগঞ্জের জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত যেতে পারবেন যাত্রীরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।