জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি বলেছেন, ‘রাজাকার’ তালিকার তথ্য উপাত্ত দেখে মনে হলো প্রথমেই মনে হয়েছে এই তালিকা গ্রহণযোগ্যতা হারালো। এটা সারা জাতির মধ্যে দ্বিধা এবং কনফিউশন সৃষ্টি করেছে। পুরো জাতিকে একটা বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে দিয়েছে। আমরা চেয়েছিলাম তালিকাটা প্রত্যাহার করলে ভালো হয়। প্রধানমন্ত্রী এই তালিকা প্রত্যাহার করতে বলেছেন, আমরা এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। এই তালিকা প্রত্যাহার করে প্রধানমন্ত্রী দেশ ও জাতিকে বিব্রতকর অবস্থা থেকে মুক্তি দিয়েছেন। গতকাল এক যোগদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আশা করব এই ধরনের কার্যক্রম গ্রহণ করার আগে প্রয়োজনীয় যাচাই-বাছাই করা হবে। তালিকা যেন হয় তথ্যভিত্তিক। কোনো রকম ব্যক্তিগত, গোষ্ঠিগত এবং দলগত স্বার্থ বিবেচনায় যেন রাজাকার তালিকা করা না হয়। এই তালিকা যেন পরবর্তী প্রজন্মের জন্য ঐতিহাসিক দলিল হয়।

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী অফিস মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। জেপি নেতা মিজানুল ইসলাম লিটু ও নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টি জেপি ত্রিশজন নেতা-কর্মী জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের হাতে ফুল দিয়ে জাতীয় পার্টিতে যোগদান করেন। এছাড়া বাংলাদেশ অর্গানিক প্রেডাক্টস ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যাসোসিয়েশন এর সাধারণ সম্পাদক মো: মনিরুজ্জামান এর নেতৃত্বে বেশ কিছু নেতা-কর্মীরা জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন।

জাপা চেয়ারম্যান বলেন, সামনে জাতীয় পার্টির সুদিন অপেক্ষা করছে। অন্য দলের ওপর সাধারণ মানুষের আস্থা নেই। অনেক দলই নেতৃত্ব শূন্যতায় ভূগছে, হতাশা বিরাজ করছে সেই সকল রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের মাঝে।

জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য সভাপতি লিয়াকত হোসেন খোকা এমপির সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন দলের মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা, প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী এমপি, উপদেষ্টা মোহাম্মদ নোমান, নুরুল আজহার, ভাইস চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম জহির, জহিরুল আলম রুবেল, যুগ্ম মহাসচিব সুলতান আহমেদ সেলিম, সম্পাদকমÐলীর সদস্য মুনিম চৌধুরী বাবু, মো: হেলাল উদ্দিন, হুমায়ুন খান, আহাদ চৌধুরী শাহীন, এম.এ. রাজ্জাক খান প্রমুখ।