Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আমরা কি সারাজীবন রাস্তার পেছনে বসে থাকবো প্রশ্ন অর্থমন্ত্রীর

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৯, ৬:৪৯ পিএম

‘রাস্তার খারাপ অবস্থার কারণে নিজের এলাকায় যেতে লজ্জা লাগে। শুধু নতুন রাস্তা তৈরির জন্য বহু প্রকল্প নেওয়া হয়। অথচ রক্ষণাবেক্ষণে নজর দেওয়া হয় না। সড়কের অবস্থা খারাপ। সড়ক সংস্কারের টাকাও আমরা দিচ্ছি। তারপরও বেহালদশা কেন। আমরা কি সারাজীবন রাস্তার পেছনে বসে থাকবো। যে সব রাস্তা করেছেন সেগুলো শেষ করেন। পরে আবারও নতুন রাস্তা করবেন। রাস্তা ভেঙে গেলে কেন সংস্কার করা হচ্ছে না।’- অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এসব কথা বলেছেন।

আজ বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে মহাসড়কের লাইফ টাইম: চ্যালেঞ্জ ও করণীয়’ শীর্ষক এক সেমিনার সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, বিটুমিন সড়ক দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। এর বদলে কংক্রিট নিয়ে আসতে হবে- প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে বারবার তাগিদ দিয়েছেন। আমাদের জনগণ অনেক শক্তিশালী। তাদের চাহিদা প্রাধান্য দিয়েই কাজ করতে হবে। অনেক দেশি কোম্পানিও ভালো ভালো কাজ করছে। অনেক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি নেই, তারপরও শুধু তারাই কাজ পায়। এদের কারণে বিদেশি ভালো প্রতিষ্ঠানও কাজ পায় না।

মন্ত্রী বলেন, ইংল্যান্ড, শ্রীলংকায় পাহাড়-পর্বত রয়েছে। আমরা তো মহাসাগর বিস্তৃত দেশও দেখি। তারাও তো রাস্তা করে, সেখানে রাস্তার লাইফটাইম ৫০ বছর। তাহলে আমরা কেন পারবো না।
মুস্তফা কামাল বলেন, ‘কারণটা কী? আমরা কী অন্যায় করেছি? ইংল্যান্ডের একটি এক নম্বর কোম্পানি নিয়ে এসেছিলাম। কিন্তু তাদের কাজ করতে দেওয়া হয়নি। কেন দেওয়া হয়নি তা আমরা জানি। ওই কোম্পানি রাস্তাঘাট তৈরি করতে তিনটি গাড়ি ব্যবহার করে। তিনটি গাড়ি মিলে চোখের নিমিষেই ১ কিলোমিটার রাস্তা করে ফেলে।’

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলামের সভাপতিত্ব সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের প্রকৌশলী এ কে মোহাম্মদ ফজলুল করিম।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. একাব্বর হোসেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক এসডিজি বিষয়ক সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ, লেখক ও গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ, নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অর্থমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ