পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজাকারের তালিকা থেকৈ নাম প্রত্যাহার চেয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চীফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপু। এ লক্ষ্যে গতকাল বুধবার তিনি তিন দফতরে পৃথক চিঠি দিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়,স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং আইন মন্ত্রণালয়ে তিনি এ চিঠি পাঠান।
এ বিষয়ে প্রসিকিউশন টিমের সদস্য সুলতান মাহমুদ সীমন বলেন, ভাষা সৈনিক অ্যাডভোকেট গোলাম আরিফ টিপু মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ঘোষিত রাজাকারের তালিকা থেকে নাম প্রত্যাহার চেয়েছেন। তবে এটি কোনো আবেদন নয়। আমরা চিঠি পাঠিয়েছি। প্রসঙ্গত: গত ১৫ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় ১০ হাজার ৭৮৯ রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করে। তবে এ তালিকায় এমন কিছু নাম এসেছে যা তালিকাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। তেমনই একটি নাম গোলাম আরিফ টিপু। যিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবু্যৃনালের প্রধান প্রসিকিউটর ও ভাষা সৈনিক। বঙ্গবন্ধুর স্বজন ও পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট কালরাতে ঘাতকের হাতে নিহত শহীদ সেরনিয়াবাতের বাবা আব্দুল হাই সেরনিয়াবাতের নামও রয়েছে রাজাকারের তালিকায়। এ তালিকায় নাম উঠেছে বঙ্গবন্ধুর সহপাঠী ও বন্ধু মজিবুল হকের। তিনি দীর্ঘ ৪০ বছর ছিলেন বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। ছিলেন মুক্তি সংগ্রাম পরিষদের সভাপতিও।
রাজাকারের তালিকায় নাম আসার পর গত ১৭ ডিসেম্বর গোলাম আরিফ টিপু বলেন, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় দেশের মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ পরিবারসহ গোটা বাঙালি জাতির পবিত্র আমানত। সেই মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত ও প্রচারিত রাজাকারের তালিকায় আমার নাম যুক্ত থাকায় আমি হতবাক, বিস্মিত, মর্মাহত ও অপমানিত। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ রাজাকারের তালিকা প্রচার ও প্রকাশের ক্ষেত্রে সীমাহীন অযত্ম এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করে অত্যন্ত অবহেলার সঙ্গে এ তালিকা প্রচার-প্রকাশ করেছে। বিষয়টি প্রমাণিত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।