পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদিনের লাশ দেখতে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) গেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় সিএমএইচে যান প্রধানমন্ত্রী। সেখানে মরহুমের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কিছুটা সময় কাটান এবং তাদেরকে সান্তনা দেন। এ সময় সামরিক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারেক আহমেদ সিদ্দিকী, সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে গতকাল বুধবার সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদিনের লাশ শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌছে।
বিমানবন্দর আর্মড পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন জানান, সিঙ্গাপুর থেকে আসা বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে তার লাশ আনা হয়। এর আগে, চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার বিকেলে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টা ১৩ মিনিটে শেষ নিঃম্বাস ত্যাগ করেন জয়নুল আবেদীন।
আইএসপিআরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীনের (বীরবিক্রম) নামাজে জানাজা বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ১০টায় ঢাকা সেনানিবাসের সেনা কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে এ জানাজা হবে।
মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীনের মৃত্যুতে শোক ও দুঃখপ্রকাশ করেছেন প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার বিকেল ৫টা ১৩ মিনিটে মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন মৃত্যুবরণ করেন। সিঙ্গাপুরে দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
আল্লামা শফীর শোক
প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মুহাম্মাদ জয়নুল আবেদীনের ইন্তেকালে আল হাইয়াতুল উলয়া ও বেফাকের চেয়ারম্যান আল্লামা শাহ আহমদ শফী এবং বেফাকের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
এক যুক্ত বিবৃতিতে আল্লামা আহমদ শফী বলেন, কওমী সনদের স্বীকৃতি বাস্তবায়নে মরহুম মিয়া মুহাম্মদ জয়নুল আবেদীনের অনেক অবদান রয়েছে। তাঁর মৃত্যুতে বাংলাদেশ এক জন সৎ, নীতিবান ও বড় মাপের দেশপ্রেমীক সামরিক কর্মকর্তাকে হারিয়েছে। আলেম ওলামাদের প্রতি তাঁর আস্থা ও ভালবাসা যুগ যুগ ধরে জাতি স্মরণ করবে। বেফাকের চেয়ারম্যান মরহুমের শোকার্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ এবং তাঁর রুহের মাগফেরাত কামনা করেন।
প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘকালীন সামরিক সচিবের দায়িত্ব পালনকারী অফিসার মেজর জেনারেল মিয়া মুহাম্মাদ জয়নুল আবেদীনের মৃত্যুতে বেফাক মহাসচিব ও জামিয়া আরাবিয়া ফরিদাবাদ মাদরাসার প্রিন্সিপাল শাইখুল হাদিস মাওলানা আবদুল কুদ্দুস গভীর শোক প্রকাশ করেন।
বেফাক মহাসচিব এক বিবৃতিতে বলেন, কওমী সনদের স্বীকৃতি প্রদানে তার ভ‚মিকা ও অবদান প্রশংসনীয়। তাঁর মৃত্যুতে বাংলাদেশ একজন যোগ্য সামরিক কর্মকর্তাকে হারিয়েছে। আলেম উলামার প্রতি তার আস্থা ও সম্মান সব সময় শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করা হবে। বিবৃতিতে তিনি মরহুমের শোকার্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন এবং তার রুহের মাগফেরাত কামনা করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।