পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বীরত্ব ও সাহসিকতায় অবদান রাখার জন্য বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ৬০ সাহসী সদস্যকে পদক দিয়েছেন। বুধবার সকালে বাহিনীটির সদর দফতর পিলখানায় বিজিবি দিবসের কুচকাওয়াজে অংশ নিয়ে তিনি এ পদক দেন।
এর আগে ‘বিজিবি দিবস-২০১৯’ উদযাপনে বীরউত্তম আনোয়ার হোসেন প্যারেড গ্রাউন্ডে বিজিবি দিবসের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সকাল ১০টার দিকে পিলখানায় উপস্থিত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন এবং অভিবাদন গ্রহণ করেন তিনি। পরে এক অনুষ্ঠানে বীরত্বপূর্ণ ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য বিজিবির কর্মকর্তা ও সদস্যদের পদক দেন প্রধানমন্ত্রী।
পরে বিজিবির উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, আপনাদের কাছে আমার একটাই চাওয়া– আপনারা দেশকে ভালোবেসে, দেশের মানুষের প্রতি কর্তব্য করবেন। দেশ যদি উন্নত হয় আপনাদের পরিবার-পরিজন তারাই উন্নত হবে। এ দেশের মানুষ উন্নত হবে। এ কথা সবসময় মনে রাখবেন।
এ সময় চোরাচালান, মাদকপাচার, নারী-শিশু পাচার, অনুপ্রবেশ প্রতিরোধে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে বিজিবি সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, বিজিবি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বাহিনী। এ বাহিনীর সদস্যরা শুধু সীমান্ত রক্ষা নয়, তারা বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় এবং দেশের প্রয়োজনে যেকোনো সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
এ সময় মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আসা কয়েক লাখ রোহিঙ্গার থাকা-খাওয়াসহ যাবতীয় ব্যবস্থাপনা গ্রহণ করার কথা উল্লেখ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, চোরাচালান, মাদক, সন্ত্রাস, অবৈধ অনুপ্রবেশ কঠোরভাবে বন্ধ করবেন। এ ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেবেন না।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, বিশ্বের বুকে এখন আমাদের দেশ উন্নয়নের রোল মডেল। এই দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়েছে, সরকার সবার সুযোগ-সুবিধা-বেতন বাড়িয়েছে, দেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ।
তিনি বলেন, অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে এই অর্জন এসেছে। আমি চাই আপনারা দেশকে ভালোবেসে দেশের মানুষের জন্য কাজ করবেন।
তিনি এ সময় বিজিবি সদস্যদের নিয়ম মেনে শৃঙ্খলা ও সততার সঙ্গে দেশের প্রতি তাদের যে দায়িত্ব তা পালনের আহ্বান জানান। তিনি বিজিবির অগ্রযাত্রা যেন অব্যাহত থাকে সেই প্রত্যাশা করেন। শেখ হাসিনা বলেন, আমি বিশ্বাস করি জাতির পিতার নিজের হাতে গড়া এই প্রতিষ্ঠান সীমান্তরক্ষী বাহিনী হিসেবে সারা বিশ্বের বুকে নাম করবে।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা এবং কূটনৈতিক কোরের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।