Inqilab Logo

বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ১৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

সংসদ সদস্যরা বিদ্যুৎ বিল দেন না

প্রিপেইড মিটার বসানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:০২ এএম

জাতীয় সংসদ ভবনের উল্টো পাশের ন্যাম ফ্ল্যাট তথা এমপি হোস্টেলের বিদ্যুৎ বিল ঠিক মতো পরিশোধ করেন না সংসদ সদস্যরা। এজন্য অবিলম্বে বিদ্যুৎ বিল সংক্রান্ত জটিলতা কমাতে এসব ফ্ল্যাটে প্রি-পেইড মিটার বসানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় সভাপতিত্ব করেন একনেক চেয়ারপার্সন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভায় ‘বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ ভবন, সংসদ সদস্য ভবন ও এমপি হোস্টেলের আনুষঙ্গিক স্থাপনার নির্মাণ ও আধুনিকায়ন’ শীর্ষক প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়। এর ব্যয় ধরা হয় ২৩৩ কোটি টাকা। প্রকল্প অনুমোদন কালে প্রধানমন্ত্রী এই নির্দেশনা দেন বলে উল্লেখ করেন পরিকল্পনা মন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা তুলে ধরতে গিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, এমপি হোস্টেলের বিদ্যুৎ বিলের বিষয়ে প্রায়ই সমস্যা হয়। যেহেতু প্রধানমন্ত্রী নিজেই বিদ্যুৎ মন্ত্রনালয়ের দায়িত্বে আছেন। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) বলেছেন, অবিলম্বে এখানে (ন্যাম ফ্ল্যাট) সব ভবনে বা সব কারেকশনে প্রি-পেইড মিটার লাগান। প্রি-পেইড মিটার ইদানীং আমাদের অনেক জায়গায় লাগানো হচ্ছে। আমাদের এসব বাসভবনেও ফ্রি প্রি-পেইড মিটার বসাতে হবে। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, এটা প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন নয়, সরাসরি নির্দেশ।
এক প্রশ্নের জবাবে এম এ মান্নান বলেন, সারা দেশে আমরা এমনিতেই প্রি-পেইড মিটার দিচ্ছি। যেহেতু সারাদেশেই প্রি-পেইড মিটার লাগাচ্ছি, তাহলে এখানে লাগাব না কেন, এখানেও লাগাব । একই সঙ্গে পর্যায়ক্রমে সব সরকারী অফিসকেও প্রি-পেইড মিটারের আওতায় আনা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। সভায় প্রধানমন্ত্রী আরও কয়েকটি অনুশাসন দিয়েছেন বলে পরিকল্পনা মন্ত্রী জানান। এম এ মান্নান বলেন, দক্ষতা উন্নয়নের পাশাপাশি ভাষা শিক্ষার প্রতিও জোর দেয়ার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। এক্ষেত্রে বিভিন্ন ভাষা শিক্ষার প্রতি জোর দেয়ার জন্য আইসিটি বিভাগকে বলেছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য তুলে ধরে এম এ মান্নান বলেন, ‘তোমরা (আইসিটি) তো শিখাচ্ছ দুটো ভাষা। আরবি, ফরাসি, জাপানি- এগুলো শিখানোর ব্যবস্থা করতে হবে।’
এছাড়া সেতু তৈরীর ক্ষেত্রেও সাবধানতা অবলম্বন করতে বলেছেন শেখ হাসিনা। ভৈরবের একটি সেতু নির্মান প্রকল্প অনুমোদনকালে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বড় বড় সেতু বানালে নদীর অনেক ক্ষতি হয়। সেতু বানানোর ক্ষেত্রে খুব সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। ঘন ঘন সেতু নির্মাণ করা যাবে না। সেই সঙ্গে কোনো নদীতে রেল ও সড়ক সেতু নির্মাণের সময় রেল ও সড়ক সেতু আলাদা না করে একসঙ্গে নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
অন্যদিকে রেল বিভাগে অস্থায়ীভাবে নিয়োগকৃত কর্মকর্তা কর্মচারীদের রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করে চাকুরী স্থায়ী করার নির্দেশও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এম এ মান্নান বলেন, ‘প্রধানমমন্ত্রী বলেছেন, রেল বিভাগে অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ দিলে নিয়োগপ্রাপ্তরা মনোযোগ দিয়ে কাজ করতে চায় না। এজন্য নিয়েগ হওয়ার পর চুক্তির মেয়াদ শেষ হলে তাদেরকে রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করতে হবে। এতে লোকবল সংকটও কমবে, কাজেও তারা আন্তরিক হবে।##



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রধানমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ