পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত মূল্যবোধ রক্ষায় যত্মবান হওয়ার আহবান জানিয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, আমাদের সামনে সম্ভাবনা অসীম। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ থেকে শিক্ষা নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে সব সমস্যা মোকাবেলায় সচেষ্ট হলে আমাদের অগ্রগতি ঘটবে দ্রুত। আমরা সে পথেই অগ্রসর হবো। এই হোক বিজয় দিবসের অঙ্গীকার।
গতকাল সোমবার বিকালে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্মাদক মুজিবুল হক মুজিব এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি জসিম উদ্দিন, সহ-সভাপতি হাজী ইলিয়াস মিয়া, সহ সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মুন্নি আক্তার মুন্নি এবং জেলা যুব মহিলালীগের সভাপতি হাসিনা আক্তার প্রমুখ।
অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার শর্ত পূরণ করেছে। তবে অর্থনৈতিকভাবে আমাদের আরও এগিয়ে যেতে হবে। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে এখন সবচেয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের অর্থনীতির সবচেয়ে সুন্দর সময় এখন পার করছি। গত দুই দশকে পৃথিবীতে কয়েকবার অর্থনৈতিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছিল। ১৯৯৭ সালে সারা বিশ্বে যে মহা অর্থনৈতিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছিল তাতে ইন্দোনেশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়াসহ এশিয়ার বেশ কিছু দেশ চরম অবস্থায় পতিত হয়। আর ২০০৮ সালের বিপর্যয়ে খোদ আমেরিকাসহ অনেক দেশে চরম অবস্থার সৃষ্টি হয়। কিন্তু তখনও আমাদের অর্থনীতি বিপর্যের সম্মুখীন হয়নি। বাংলাদেশের অথনীতি এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ক্রমাগতভাবে অর্থনৈতিক খাতে উন্নতি সাধন করে চলেছে। আমাদের প্রবৃদ্ধি বাড়ছে। আমাদের গড় আয়ু বেড়েছে, ক্ষুধা ও দারিদ্রের হার কমেছে পূর্বের তুলনায় অনেক। এটাই বাস্তবতা। এতে সবচেয়ে বড় অবদান বাংলাদেশের মানুষের। কেননা আমাদের উৎপাদন আর চাহিদা নিজেরাই তৈরি করি। ফলে আমাদের আর্থিক খাতে এই মুহূর্তে কোন রকম ঝুঁকি নেই।
বিশ্বে যে কয়েকটি দেশের রফতানি আয় খুব দ্রুত বাড়ছে, তার মধ্যে বাংলাদেশ একটি। আমাদের রয়েছে কর্মদক্ষ ভবিষ্য যুবশক্তির সম্ভাবনা। ২০৩০ সাল নাগাদ ৩ কোটি যুবকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে এবং তখন কারোর কর্মসংস্থানের অভাব থাকবে না। প্রবৃদ্ধি অর্জনে বাংলাদেশ বিশ্ব সেরা। দেশের সার্বিক অগ্রগতির রূপকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের প্রবৃদ্ধি অর্জনে সকল স্তরের সকল পেশা ও শ্রেণির মানুষের অবদান রাখছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।