পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আওয়ামী লীগের কতজন রণাঙ্গণে থেকে যুদ্ধ করেছেন তা জানতে চেয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রীরা যারা কোনও নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়ে আসেনি তারা অনেক বড় বড় কথা বলেন। তারা আমাদেরকে বাণী দেন, উপদেশ দেন। আমি তাদেরকে জিজ্ঞেস করতে চাই- আপনারা ৭১ সালে কতজন রণাঙ্গনে থেকে যুদ্ধ করেছিলেন? আমরা এর হিসাব চাই। আজকে যখন আপনাদের নেতা এই অবৈধ সরকারের প্রধানমন্ত্রী, তিনি যখন বলেন, যে, ‘জিয়াউর রহমান পঁচাত্তরের হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত ছিলেন এবং তিনি কোনও ড়–ক্তিযোদ্ধা ছিলেন না’, এই ধরনের বক্তব্য দেন তখন একবারও কি তারা চিন্তা করেন তাদের অতীতটা কি ছিল? আর জিয়াউর রহমানের ভূমিকা কি ছিল? সেদিন (স্বাধীনতাযুদ্ধ চলাকালে) আপনারা পালিয়ে গিয়েছিলেন এবং জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছিলেন।
গতকাল (রোববার) বিকেলে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে বিএনপি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে বিএনপির মধ্যে সরকারের এজেন্ট ঢুকে পড়েছে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমাদের মধ্যে এই অবৈধ সরকারের বিভিন্ন এজেন্ট ঢুকে পড়েছে, তারা বিভিন্নভাবে আমাদের মধ্যে বিভেদ-পার্থক্য সৃষ্টি করতে চায়, বিভিন্ন রকম কথা বলে আমাদেরকে বিভ্রান্ত করতে চায়। কিন্তু কেউ বিভ্রান্ত হবেন না। আমরা সবাই ঠিক আছি। শুধু তৃণমূল না, বিএনপি এবং বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী রাজনীতি যারা বিশ্বাস করে সকল দেশপ্রেমিক এক আছে। আমাদের দরকার শুধু শক্তি সঞ্চয় করে সঠিক সময়ে সঠিক জায়গায় আমাদেরকে আঘাত করতে হবে। সেই আঘাতের জন্য আমরা প্রস্তুত হচ্ছি।
দেশের বুদ্ধিজীবীদের প্রতি অনুরোধ রেখে বিএনপি মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি বুদ্ধিজীবীদের কাছে আহবান জানাতে চাই, উঠে দাঁড়ান আপনাদের পূর্বসূরীদের মতো, জেগে উঠুন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র, বাংলাদেশের মুক্তিকে রক্ষা করবার জন্য সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে আসুন। আমরা অবশ্যই সফল হবো।
খন্দকার মোশকাত শেখ মুজিবেরই ঘনিষ্টজন ছিলেন মন্তব্য করে বিএনপির অন্যতম এই শীর্ষ নেতা বলেন, শনিবার উনি (শেখ হাসিনা) বলেছেন যে, খন্দকার মোশতাক আহমেদ জিয়াউর রহমান সাহেবকে চিফ অব আর্মি স্টাফ নিয়োগ করে তিনি সুবিধা করে দিয়েছেন। খুব খারাপ, খারাপ কথা বলেছেন সেটা আামি উচ্চারণ করতে চাই না। আপনি (শেখ হাসিনা) কোথায় ছিলেন তখন? আপনি কী দেখেছেন যে, সেই সময়ে কী অবস্থা ছিলো, আমি কী জানেন যে, সেই সময়ে মানুষ কী অবস্থার মধ্যে গিয়ে পড়েছিলো। আপনাদের দলেরই নেতা প্রয়াত শেখ মুজিবুর রহমান সাহেবের সবচেয়ে ঘনিষ্ট মানুষ ছিলেন খোন্দকার মোশতাক- তিনিই সেদিন ষড়যন্ত্র করে, আওয়ামী লীগের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ষড়যন্ত্র করে সেদিন শেখ মুজিবকে সরিয়ে তিনিই সরকার দাবি করেছিলেন, তিনিই সরকার গঠন করেছিলেন। আমরা সেই কথা ভুলে যাইনি। আপনারা বিভিন্ন আইন করে, মামলা-মোকাদ্দমা দিয়ে নির্যাতন-নিপীড়ন করে আমাদের মুখকে বন্ধ করতে দিতে চান। এই মুখ তো বন্ধ হবার নয়। সত্য কথা সবসময় উচ্চারিত হবে এবং সত্যের জয় হবে।
বিএনপি ভারত বিরোধী নয় উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এনআরসিতে বলা হচ্ছে অমুসলিমরা যেতে পারবে, আর মুসলিমদেরকে কোনো নাগরিকত্ব দেয়া হবে না। বিভাজন দেখেন-বৈষম্য দেখেন। আপনি ভিসা নিয়ে যাবে ভারতে, ভিসা শেষ হয়ে যাওয়ার পরে একদিন দেরি হলে আপনাকে দিতে হবে একুশ হাজার টাকা ফাইন। আর আমাদের দাদা নিতাই দাদা বা গয়েশ্বর দাদা-উনারা যদি যান একদিন দেরি করেন তাহলে একশ টাকা। সম্পূর্ণ সা¤প্রদায়িকতার ব্যাপার।
অমিত শাহের বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, তারা (ভারতের মন্ত্রী) পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে বলছেন যে, বাংলাদেশে মাইনোরিটিদেরকে নির্যাতন করা হয়, তার জন্য নাকী এই এনআরসি আইন তৈরি করেছেন। এই কথা বললে বলা হবে যে, আমরা ভারত বিরোধী। না কখনো না। আমরা ভারত বিরোধী নই। আমাদের দেশ ছোট হতে পারে কিন্তু একটা স্বাধীন দেশ তো। সেখানে যদি আজকে আমাকে এভাবে আমার স্বার্থকে বিপন্ন করা হয়। আমার যে সরকার যারা দায়িত্বে আছে, তারা যদি কোনো কিছু না দেখে, কোনো কিছু না বলে। তাহলে কী বলাটাও আমার অপরাধ? আজকে আমাদের সরকার আমাদের দেশের স্বার্থ রক্ষার জন্য কোথাও দাঁড়িয়ে কথা বলছে না। শুধু একটা ঢোল বাজায় উন্নয়ন হচ্ছে, উন্নয়ন হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।