পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভারতের লোকসভায় বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা নির্যাতিত হচ্ছে বলে সে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ যে বক্তব্য দিয়েছেন সেটিকে অযাচিত বলে মন্তব্য করেছেন দেশের বরেণ্য রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. এমাজউদ্দীন আহমদ।
স¤প্রতি ভারত নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাস করেছে। বিল পাসের সময় লোকসভায় ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে সংখ্যালঘুরা নির্যাতিত হচ্ছে। এ বক্তব্য প্রসঙ্গে এমাজউদ্দীন আহমদ বলেছেন, সার্বভৌমত্ব আমরা অনেকটা হারিয়েছি। আমাদের সম্পর্কে অন্য দেশের সংসদে আলোচনা হবে অথবা সংসদের বাইরে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কথা বলবেন এবং আমরা তা সহ্য করব, কোনো কথা বলার সাহস থাকবে না, বলব না এটা শুধু অযাচিতই না, এটা ফৌজদারি অপরাধ। এই অবস্থায় যদি থাকে, তাহলে আমরা রাষ্ট্র কীভাবে ধরে রাখব। ভারতের সংসদে এমন কথা ওঠার পরেও তার প্রতিবাদ করা হচ্ছে না বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
গতকাল (রোববার) এমাজউদ্দীন আহমদের ৮৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে স্বাধীনতা ফোরাম আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বাধীনতার ৪৮ বছরে এমন খারাপ সময় আসেনি উল্লেখ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এই ভিসি বলেন, প্রতিবাদ করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছি, প্রতিবাদ করার সাহস আমরা রাখছি না। রাষ্ট্রে শাসন থাকলেই হয় না। জনসাধারণের সম্পৃক্ততা গভীরভাবে থাকতে হয়।’ শাসকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, দেশের মঙ্গল চাইলে ও দেশের স্বার্থের কথা ভাবলে সবাইকে একতাবদ্ধ হতে হবে। রাষ্ট্রের প্রয়োজনে সবাইকে এক হওয়ার আহŸান জানান তিনি। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সংগ্রামের কথা উল্লেখ করে এমাজউদ্দীন বলেন, খালেদা জিয়া কারাগারের বাইরে থাকলে দেশের এই অসম্মানজনক অবস্থা দেখতে হতো না।
এমাজউদ্দীন আহমদকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশে গণতন্ত্র এখন নেই। গণতন্ত্র আওয়ামী লীগের বাক্সবন্দী। ৪৯ বছরের মধ্যে আমরা এখন সার্বভৌমত্বের সংকট দেখতে পাচ্ছি। অন্য দেশের সংসদে আমাদের দেশ সম্পর্কে অসত্য কথা বলা হচ্ছে। এতে জাতি শঙ্কিত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রফেসর মাহবুব উল্লাহ বলেন, দেশের সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত হলে গণতন্ত্র নিশ্চিত হবে। বর্তমান সংকট শুধু জনগণের সংকট নয়, এটা শাসকগোষ্ঠীরও সংকট। এ অবস্থায় সবাইকে এক হতে হবে। খালেদা জিয়ার আশু মুক্তির কোনো সম্ভাবনা দেখেন না জানিয়ে মাহবুব উল্লাহ বলেন, দেশের সব মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করা গেলে তাঁর মুক্তি সম্ভব।
স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসেরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন, খায়রুল কবির, বিএনপির স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা প্রমূখ।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।