পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আজ ১৫ ডিসেম্বর। ১৯৭১ সালের এই দিনে রাজধানী ঢাকার চারপাশে অবস্থান নেয় মিত্র ও মুক্তিবাহিনী। এদিন রাতে চূড়ান্ত হয় পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণ। নিয়াজির ১৪ ডিসেম্বরের শর্তযুক্ত যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব সম্বলিত বার্তার জবাব জেনারেল মানেকশ’ দেন আজকের দিনে। মানেকশ’ জানান, যে যুদ্ধবিরতি মেনে নেয়া হবে ও শর্তে উল্লেখিত ব্যক্তিদের নিরাপত্তাও নিশ্চিত করা হবে যদি পাকিস্তান সেনাবাহিনী আত্মসমর্পণ করে। তার সে বার্তা নিয়াজি রাওয়ালপিন্ডিতে পাঠান। জানা যায়, ১৫ ডিসেম্বর রাত ২টার পর চিফ অব স্টাফ জেনারেল আব্দুল হামিদের কাছ থেকে আত্মসমর্পণের অনুমোদন আসে। এদিকে আত্মসমর্পণের প্রক্রিয়া সহজতর করার জন্য ১৫ ডিসেম্বর বিকেল ৫টা থেকে ১৬ ডিসেম্বর সকাল ৯টা পর্যন্ত সাময়িক যুদ্ধবিরতি অনুমোদিত হয় ও পরে তা ১৬ ডিসেম্বর বিকেল ৩টা পর্যন্ত বাড়ানো হয়। অবস্থার প্রেক্ষিতে নিয়াজি বিভিন্ন স্থানে পাকিস্তানি সেনাদলগুলোর কাছে যুদ্ধবিরতির বার্তা পাঠানোর নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, এ নির্দেশে স্থানীয় কমান্ডারদের ভারতীয় বাহিনীর সাথে যুদ্ধ বিরতির জন্য যোগাযোগ করতে বলা হয়। কিন্তু তাতে আত্মসমর্পণ করার কথা না বলে কায়দা করে বলা হয় যে ‘দুর্ভাগ্যক্রমে এর সাথে অস্ত্র নামিয়ে রাখাও জড়িত আছে।’
ঢাকায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনী কথিত স্থল প্রতিরক্ষাব্যূহ রচনা করেছিল। অবস্থা দাঁড়িয়েছিল এ রকম যে তারা যদি আত্মসমর্পণ করতে না চাইত, তার অর্থ হত ভয়াবহ যুদ্ধ, ব্যাপক ধ্বংস ও ক্ষয়ক্ষতি। কিন্তু যে কোনোভাবেই নিজেদের প্রাণরক্ষার জন্য ব্যাকুল হয়ে উঠেছিল যৌথবাহিনী।
মেজর সিদ্দিক সালিক তার ‘উইটনেস টু সারেন্ডার’ বইয়ে লিখেছেন, নিয়াজি তাকে বলেছিলেন যে ’৯০ হাজার বিধবা আর ৫ লাখ অনাথের মুখোমুখি হওয়ার চেয়ে আমি বরং পশ্চিম পাকিস্তানে ৯০ হাজার বন্দী নিয়ে যাব।’ উল্লেখ্য, ১৪ ডিসেম্বর থেকেই অল ইন্ডিয়া রেডিও আসন্ন আত্মসমর্পণের খবর প্রচার শুরু করেছিল।
এভাবে পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণ নিশ্চিত হওয়ার প্রেক্ষিতে ভারত ১৫ ডিসেম্বর রাত থেকে পশ্চিম সীমান্তে যুদ্ধ বন্ধের ঘোষণা করে। এ অবস্থায় কয়েকটি স্থান ছাড়া বাংলাদেশের সর্বত্রই যুদ্ধ বন্ধ হয়ে যায়। দেশের প্রায় সর্বত্রই উড়ছিল বাংলাদেশের পতাকা। পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের প্রক্রিয়া যখন এগিয়ে চলছিল তখন ঢাকাবাসী, ভারতীয় বাহিনী, মুক্তিযোদ্ধাসহ দেশের মানুষ অধীর আগ্রহে পরদিন অর্থাৎ ১৬ ডিসেম্বর বিকেলে পাকিস্তান বাহিনীর আত্মসমর্পণের জন্য অপেক্ষা করছিল।
১৯৭১ সালের এদিনে চট্টগ্রাম ও সিলেটে প্রচন্ড যুদ্ধ হয়। বগুড়া শহর ছেড়ে পাকিস্তানি সৈন্যরা পালিয়ে যায়। এদিন মুক্ত হয় চাঁপাইনবাবগঞ্জ এবং রাঙ্গুনিয়া, কোটালীপাড়া, নীলফামারী, গোয়ালন্দ, পার্বতীপুর প্রভৃতি এলাকা।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।