Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

এক বছরে মাত্র ১৩ বার বিদেশ ভ্রমণ

কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের নিবার্হী পরিচালক হিসেবে ড. ওয়ায়েস কবীর এক বছরে ১৩ বার বিদেশ ভ্রমণ করেছেন। ২০১৯ সালে তিনি যেসব দেশে সফর করেন তা হচ্ছে, নভেম্বর মাসে তুরস্কে সফর করেন, ৬-৮ নভেম্বর থাইল্যান্ড সফর করেন। ২৭-৩০ আগষ্ট নেপাল ভ্রমণ করেন। ১৮-২১ জন পর্যন্ত ভারত সফর। ১১-১৬ জুন তারিখে বেলজিয়াম ভ্রমন করেন। ১৪-১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নেপাল ভ্রমণ করেন। মার্চে মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর সঙ্গে বিদেশ ভ্রমণসহ মোট ১৩ বার বিদেশ ভ্রæমণ করেন। এছাড়া ২০১৮ সালে সময় করেছেন ১১ বার। সেগুলো হচ্ছে, ২০১৮ সালের ১৭-২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কুচবিহার ভারত। ১১-১৪ জুন দিল্লি ভারত। ২১-২৩ জুলাই নেপাল ভ্রমণ করেন।

জানতে চাইলে কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের নিবার্হী পরিচালক হিসেবে ড. ওয়ায়েস কবীর ইনকিলাবকে বলেন, আমি কখনো সরকারি খরচে বিদেশ ভ্রমণ করিনি। যারা আয়োজক তারা আমাকে নিয়ে গেছে। কতবার গিয়েছি তা মনে নেই।
ড. ওয়ায়েস কবীর একই একশ। সরকারি চাকরির রুল তিনি মানেন না। তাকে স্পর্শ করে এমন কেউ দৃশ্যত দেখাও যাচ্ছে না। কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের নিবার্হী পরিচালক ড.ওয়ায়েস কবীর কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তাদের ৬৫ বছর বয়স হলে চাকরি থেকে বিদায় হওয়ার নিয়ম করেন কিন্তু তিনি নিজেই দায়িত্ব ছেড়ে দিতে চাইছেন না। তার ক্ষেত্রে এ আইন প্রয়োগ না করতে কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়েছেন নিবার্হী পরিচালক ড. ওয়ায়েস কবীর। তার এ চিঠি নিয়ে কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের কর্তকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।

চেয়ারম্যান কে জি এফ বোর্ডে এবং কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের নিবার্হী চেয়ারম্যান ড. মো.কবির ইকরামুল হক ইনকিলাবকে বলেন, নিবার্হী পরিচালক ড.ওয়ায়েস কবীর গায়ের জোরে সব কিছু করেন। তার নিজের চুক্তি নিজেই করেন। আর বছরে ১৩-১৪ বার বিদেশ ভ্রমণ করেন। সরকারি বিধি মোতাবেক সকল কর্মকর্তা ৬৫ বছর বয়স হলে চাকরি থেকে অবসর নিবেন কিন্তু তিনি নিবেন না। নিজের হাতে চুক্তি করেন।
আগামী ২৯ ডিসেম্বর নিবার্হী পরিচালক ড. ওয়ায়েস কবীরের চুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে। নতুন চুক্তি করতে আবারো কৃষিমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছেন বলে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। এ দিকে এক বছরে ১৩ বার বেশি সফর করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

কে জি এফ বোর্ডে এবং কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের নিবার্হী চেয়ারম্যান ড. মো. কবির ইকরামুল হক স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের নিবার্হী পরিচালক ড. ওয়ায়েস কবীর আপনার জম্ম তারিখ ৩০ ডিসেম্বর ১৯৫৪ সালে। সেই অনুযায়ী আপনার বসয় আগামী ২৯ ডিসেম্বর ৬৫ বছর হবে।
কে জিএফ আইন ৯৫ অনুযায়ী ২০১০.২০১২ এবং ২০১৪ সালে মোট চারবার যথাযথ নিয়ম অনুসরন করে এজিএমের সভায় অনুমোদন করা হয়। ২০১২ সালে এজিএম সভায় নিবার্হী পরিচালক এবং পরিচালকদের বয়স ছিল ৬১ ও ৬২ বছর। পরে নিবার্হী পরিচালকদের বয়স ৬৫ বছর করা হয়। পরে তা কার্যকর করা হয়। সে আইনুয়ায়ী নিবার্হী পরিচালক ড. এম নূরুল আলম, প্রফেসর ড. আব্দুল হামিদ, ড. রহিম আহম্মদ ,ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, মো. আবুল ফয়েজ কুতুবি এবং ড. এই আই ভুইয়া ও পরিচালক ড. মো. কাজী কমর উদ্দিনের চাকরি ৬৫ বছরে বিদায় নিতে চিঠি দিয়েছিলেন নিবার্হী পরিচালক ড. ওয়ায়েস কবির। তারা কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশন থেকে বিদায় নিয়েছেন। কিন্তু বর্তমান দায়িত্ব থেকে নিজেকে নিজেই তিন বছরের চুক্তি করেন। সেই চিঠি বিএআরসির চেয়ারমানকে দিয়েছেন।

সেই চিঠিতে বলা হয়, ২০১৭ সালে কেজিএফ নিবার্হী পরিচালক হিসেবে যোগদান করি। চাকরি মেয়াদ শেষ হতে আরো ৬ মাস সময় রয়েছে। ২০১৭ সালের ১২ মাচ অনুষ্ঠিত ৫৫তম বোড সভায় র্সাচ কমিটির সুপারিশকৃত মেধাকমানুসাবে ১ম স্থান অধিকারী প্রার্থী হিসেবে আমাকে কে জিএফ এর নিবার্হী পরিচালক নিয়োগ প্রদানের জন্য সিদ্ধান্ত হয়। সে প্রেক্ষিতে চেয়ারম্যান কেজিএফ এর এম এ এ অনুযায়ী আমাকে তিন বছর এবং সন্তোষজনক কার্য সম্পদনের প্রেক্ষিতে আরো তিন বছরের জন্য নিবার্হী পরিচালক হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন। অন্যদিক যোগদানের পরবর্তীতে প্রথম সংশোধনী অনুযায়ী চাকরির বষয় ৬৫ বছর উল্লেখ থাকায় আমার ৬৫ বছর আগামী ৩০ ডিসেম্বর পুর্ন হবে। আমি যখন যোগদান করি তখন চাকরির বয়সসীমা ৬৫ বছর আইনহতভাবে প্রযোজ্য ছিল না। আমার পূর্বের নিবার্হী পরিচালক হিসেবে ২ টার্মে মোট আট বছর (২০০৮ সাল থেকে-২০১৬ সাল) পর্যন্ত নিবার্হী পরিচালক হিসেবে বোর্ডের সভায় কার্য সম্পাদন করবেন বলে চেয়ারম্যানকে লিখিত আবেদন উল্লেখ করেন ড. ওয়ায়েস কবীর।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ