পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের ফুলছড়ি রেঞ্জের মেধাকচ্ছপিয়া বিটে শতবর্ষী গর্জন বাগানকে জাতীয় উদ্যানে রূপান্তরিত করার উদ্যোগ এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। ওই বিটের অসংখ্য মাদার ট্রি (গর্জন গাছ) বোট তৈরির কাজে ব্যবহারের জন্য সংঘবদ্ধ চোরের দল নির্বিচারে প্রতিনিয়ত উজাড় করে নিয়ে যাচ্ছে। গাছ পাচারে জড়িত রয়েছে বন বিভাগের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারী।
এলাকার পরিবেশ সচেতন লোকদের দাবি, বিভাগের লিপিবদ্ধ রেজিস্টারে এ বিটে গত ৫ বছর আগে কি পরিমাণ গাছ ছিল তা তদন্ত করে দেখা হলে এ বিট থেকে কি পরিমাণ গাছ উজাড় হয়েছে তা উৎঘাটন সম্ভব হবে। পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক লাগোয়া চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী মেদাকচ্ছপিয়া বিটে জাতীয় উদ্যানে দেশের প্রথম ইকো অ্যাডভেঞ্চার করার পরিকল্পনা নিয়ে ছিল বন বিভাগ। কিন্তু এখনো পর্যন্ত তা কার্যকর হয়নি। অভিযোগ রয়েছে, বেসরকারি সংস্থা ইউএসএ আইডি’র নেকম-ক্রেল প্রকল্পের আওতায় এ বিটে বিভিন্ন প্রকল্প দেখিয়ে সম্প্রতি ৬ লাখ টাকা তছরুপ করেছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন।
কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ৩৯৬ হেক্টর বনভ‚মিতে ইকো ট্যুরিজম বাস্তবায়িত হলে তা পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করার পাশাপাশি এখানে পর্যটক ও দর্শনার্থীরা দেখতে পেত মেছোবাঘ, হাতির পাল, বানর, উল্টোলেজ বানর, বনবিড়াল, খাটাশসহ শত প্রকারের বন্যপ্রাণী, বন মোরগ, শুশুক, ইগল, সবুজ ঠোঁট ফিঙে, চিল, শ্যামাসহ দেড় শতাধিক প্রজাতির পাখি, গুইসাপ, শজারু, সাপসহ নানা প্রজাতির সাপ ও বিরল প্রজাতির বন্যপ্রাণী দেখাসহ সাইক্লিং, হ্রদে বোটিং, ফিশিং, টি হাউস, ইকো হাউস, তাবু জলসা, হেমগ, গাছে ঝোলা, ট্রেল হাইকিং, পর্যবেক্ষণ টাওয়ার অন্যতম।
পর্যটক-দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা কর্মীও নিয়োগ দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু এ পর্যন্ত প্রকল্পটি বাস্তবে রূপ পায়নি। প্রকল্প পরিচালনা করার দায়িত্ব দেয়া হয় কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের নিয়ন্ত্রণাধীন মেধাকচ্ছপিয়াসহ ব্যবস্থাপনা কমিটি (সিএমসি)কে।
কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের ফুলছড়ি রেঞ্জের মেধাকচ্ছপিয়া বিটের ৩৯৫.৯৩ হেক্টর বনভ‚মিতে ছিল বাংলাদেশের বৃহৎ মাদার ট্রি গর্জন বাগান। বর্তমানে এ বাগানের অর্ধেকের বেশি মাদার গর্জন আর চোখে পড়েনা। চোরের দল যেসব গাছ এখনো খাড়া রয়েছে তা প্রতিনিয়ত কেটে নিয়ে যাচ্ছে বোটসহ বিভিন্ন নির্মাণ কাজে। এ বাগানে মাদার ট্রি গর্জন ছাড়াও ডুমুর, বহেড়া, অর্জুন, বাঁশ, বেত, বাদাম, ছাতিমসহ নানা প্রকার গাছ রয়েছে। যা কক্সবাজারে ভ্রমণে আসা পর্যটকদের আকৃষ্ট করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।