পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
বিমানে উঠার পরও পেঁয়াজ কাঁদিয়েছে ভোক্তাদের। দাম উঠেছিল ২৬০ টাকা কেজি। আড়াই মাস ধরে ক্রেতাদের ‘কাঁদানো’র পর কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের ঝাঁজ। স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে পেঁয়াজের দরে। দেশি নতুন পেঁয়াজ ওঠার সঙ্গে সঙ্গে দাম কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের। তবে পেঁয়াজের দাম কমতে না কমতেই এবার খাসি ও বকরির মাংসের দামে যেন আগুন লাগতে শুরু করেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে গোশতের দাম। আর সবজি বাজার এখনো চড়া।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর শনির আখড়া, যাত্রাবাড়ি রামপুরা, মালিবাগ, মালিবাগ রেলগেট, খিলগাঁও, মতিঝিল টিঅ্যান্ডটি বাজার, স্বামীবাগ, ফকিরাপুল কাঁচা বাজার ঘুরে এমন চিত্রই দেখা যায় মান ভেদে কেজি প্রতি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৪০ টাকায়। পুরানো পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা থেকে ১৭০ টাকা। আমদানি করা বার্মিজ পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। এবং মিশরের পেঁয়াজ ৬০ টাকা থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
গোশতের বাজার ঘুরে দেখা যায় দাম বেড়ে বর্তমানে প্রতি কেজি খাসির গোশত ৮০০ থেকে ৯০০ টাকায়, বকরির গোশত ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে গরুর গোশতের দাম আগের নির্ধারিত মূল্য ৫৫০ টাকায়ই বিক্রি হচ্ছে। ফার্মের মুরগি কেজি প্রতি ১৩০ টাকা, কক মুরগি ১৮৫-১৯০ টাকা, পাকিস্তানি মুরগি ২৪০ টাকা, দেশি মুরগি ৪০০ টাকা, হাঁস প্রতি পিস ৫০০ টাকা, রাজহাঁস প্রতি পিছ ১৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজার ভেদে এই মূল্যহার কিছুটা কমবেশি রয়েছে।
জানতে চাইলে কারওয়ান বাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আনোয়ার হেসেন বলেন, দেশীয় নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসতে শুরু করায় পণ্যটির দাম কমে গেছে। জানুয়ারি মাসে বাজারে পুরোপুরি পেঁয়াজ চলে এলে দাম আগের মতই স্বাভাবিক হয়ে যাবে। নতুন পেঁয়াজ আশায় আমদানি করা পেঁয়াজের চাহিদা কিছুটা কমতে শুরু করেছে। বাজার করতে আসা ক্রেতা শারমিন লাকী অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন পরে পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে, এটা আমাদের মতো ক্রেতাদের জন্য স্বস্তির ব্যাপার। তবে বাজারে যেসব পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে, সেসব পেঁয়াজের মানটা একটু খারাপ। কৃষকরা আগাম পেঁয়াজ তুলে ফেলায় পেঁয়াজের সাইজ ছোট এবং পচা পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে অনেক। পেঁয়াজের দাম ২০ থেকে ৩০ টাকা না নামা পর্যন্ত বাজার স্বাভাবিক বলা যাবে না।
মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায় বাজারে প্রতি কেজি (এক কেজি আকারের) ইলিশ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার থেকে এক হাজার ৫০ টাকায়, ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা কেজি দরে। আধা কেজির ইলিশ ৫শ থেকে সাড়ে৫শ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া কাচকি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, মলা ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা, ছোট পুটি ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, শিং ৩৫০ থেকে ৬৫০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, চিংড়ি (গলদা) ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, বাগদা ৫৫০ থেকে ৮৫০ টাকা, দেশি চিংড়ি ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, রুই (আকারভেদে) ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকা, মৃগেল ২২০ থেকে ৩০০ টাকা, পাঙ্গাস ১৪০ থেকে ১৭০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০ থেকে ১৮০ টাকা, কৈ ১৮০ থেকে ২২০ টাকা, কাতল ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
সবজির বাজার ঘুরে দেখা যায় সপ্তাহের ব্যবধানে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে শীতকালীন সবজির বাজার আগের মতোই স্থিতিশীল রয়েছে। বাজারে শীতকালীন সব ধরনের সবজি ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী পাওয়া যাচ্ছে।
কারওয়ান বাজারে বর্তমানে প্রতি কেজি নতুন আলু ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পুরনো আলু ৩০ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা, শিম ৫০ টাকা, মুলা ৩০ টাকা, শালগম ৫০ টাকা, কাঁচকলা ৩০ ঢাকা, কাঁচা পেঁপে ৩০ টাকা, কচুর লতি ৪০ টাকা, টমেটো ১০০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৬০ টাকা, গাজর ৮০ টাকা, বরবটি ৪০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, শসা ১২০ টাকা, কাকরোল ৫০ টাকা, প্রতি পিস ফুলকপি ৪০ টাকা, বাঁধাকপি ৩০ টাকা, লাউ ৫০-৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। লেবু ২০ টাকা হালি, পেঁয়াজের কলি ৩০ টাকা আঁটি বিক্রি হতে দেখা গেছে।
শাকের দাম একটু কমেছে। বাজারে আটিপ্রতি ৩ থেকে ৫ টাকা কমে প্রতি আটি (মোড়া) কচু শাক ৫ থেকে ৭ টাকা, লাল শাক ৮ থেকে ১০ টাকা, মূলা শাক ১০ থেকে ১২ টাকা, পালং শাক ১৫ থেকে ২০ টাকা, পুঁই শাক ১২ থেকে ১৫ টাকা, লাউ শাক ২৫ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সপ্তাহের ব্যবধানে মাছ ও সবজির দাম স্থিতিশীল আছে। বাজারে মাছের চাহিদা কম থাকায় সব ধরনের মাছের দাম আগের মতোই রয়েছে।
মুদির দোকান ঘুরে দেখা যায় গত সপ্তাহের মত স্থিতিশীল রয়েছে সব ধরনের চালের দাম। সয়াবিন তেলের দাম কিছুটা বেড়েছে। চিনি, ডাল, আটা, ময়দা ও ডিমের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। ####
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।