পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ‘বালিশ কেলেঙ্কারির’ ঘটনায় গণপূর্ত অধিদপ্তরের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মাসুদুল আলমসহ ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আসবাবপত্র ও ইলেকট্রনিক সামগ্রী কেনায় অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে চারটি মামলায় রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে গতকাল তাদের গ্রেফতার করা হয় বলে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য জানিয়েছেন।
মাসুদুল আলম ছাড়া গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে রয়েছেন পাবনা গণপূর্ত উপ-বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী জাহিদুল কবির ও মোস্তফা কামাল, পাবনা গণপূর্ত উপ-বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম, আহমেদ সাজ্জাদ খান, সুমন কুমার নন্দী, আবু সাঈদ, রওশন আলী, তাহাজ্জুদ হোসেন, সহকারী প্রকৌশলী তারেক, আমিনুল ইসলাম, মজিদ সন্স কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী আসিফ হোসেন ও সাজিদ কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী শাহাদত হোসেন। প্রসঙ্গত রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ ও অগ্রাধিকারভুক্ত প্রকল্প। প্রকল্পের ‘গ্রিন সিটি আবাসিক পল্লী’ ভবন নির্মাণ অংশে গণপূর্ত অধিদফতর ৭টি ২০ তলা ও ২টি ১৬ তলা ভবন নির্মাণ সম্পন্ন করেছে। প্রকল্পটি ২০১৬ সালের ৬ ডিসেম্বর একনেকে অনুমোদন দেয়া হয়। ব্যয় ধরা হয় ১ লাখ ১৩ হাজার ৯২ কোটি ৯১ লাখ ৭ হাজার টাকা। ২০১৬ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা বলা হয়। ৯টি ভবনে রাশিয়ানসহ বিদেশিদের থাকার উপযোগী আসবাবপত্র ও অন্য সামগ্রী সরবরাহের জন্য টেন্ডার আহ্বান করা হয়। টেন্ডার আহ্বানের ৮ মাস আগে তিনটি ভবনের মালামাল বুঝে নেয়া ছাড়াও অনিয়মের মাধ্যমে ২টি ভবনে মালামাল সরবরাহের বিল পরিশোধ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রেও প্রতিটি আইটেমের মূল্য অস্বাভাবিক ধরা হয়েছে। বাকি ৪ ভবনের কাজের বিল ঠিকাদারকে দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হলে দুর্নীতির বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। প্রকল্পটির কাজে ব্যাপক অনিয়ম নিয়ে মিডিয়ায় খবর প্রকাশ হয়। শুরু হয় তোলপাড়। সেখানে একটি বালিশের পেছনে ৬ হাজার ৭১৭ টাকা ব্যয় দেখানোর খবর গণমাধ্যমে আসায় এটা ‘বালিশ দুর্নীতি’ হিসেবে পরিচয় পেয়েছে। এ ছাড়াও খাট, চেয়ার-টেবিল, ফ্যানসহ অন্যান্য সামগ্রী ক্রয়ে ব্যাপক দুর্নীতি করা হয়।
দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য নির্মাণাধীন আবাসন প্রকল্পের আসবাবপত্রসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক কাজে ‘অস্বাভাবিক’ ব্যয়ের অভিযোগ ওঠার পর প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদুল আলমকে প্রত্যাহার করা হয়। ওই ঘটনা তদন্তে দু’টি কমিটিও কাজ করছে।
এর আগে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের ‘বালিশ কেলেঙ্কারি’র ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ারও সুপারিশ করে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। ৩৪ কর্মকর্তার সম্পৃক্ততার কথা মন্ত্রণালয়ের তদন্তে উঠে আসে। অতঃপর দুর্নীতি দমন কমিশন দুর্নীতির তদন্ত করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।