পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন অনন্য উচ্চতায় অবস্থান করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নের্তৃত্বে এদেশ উন্নয়নের সকল ক্ষেত্রে রোল মডেল।
স্পিকারের সঙ্গে কসোভোর রাষ্ট্রদূত গুনের উরেয়া আজ তার কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন। সাক্ষাৎকালে তারা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কোন্নয়ন, সংসদীয় কার্যক্রম, সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপ, ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ও কসোভোর আর্থ সামাজিক অবস্থা নিয়ে আলোচনা করেন।
শিরীন শারমিন বলেন, কসোভো নতুন স্বাধীন দেশ হিসেবে উদীয়মান। সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমে দু’দেশের সম্পর্ক সুদৃঢ় করা সম্ভব বলে তিনি উল্লেখ করেন। এ সময় তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা লাভ করে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে প্রবেশ করেছে। বাংলাদেশে এখন বিনিয়োগের ইতিবাচক পরিবেশ রয়েছে। এসময় তিনি রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে কসোভোর ব্যবসায়ী সমাজকে পাটজাত পণ্যের প্রসার-যা পরিবেশবান্ধব, ঔষধ শিল্প ও ১০০টি বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের আহবান জানান।
ড. শিরীন শারমিন বলেন, বাংলাদেশ পোশাক শিল্প রপ্তানীতে দ্বিতীয় এবং মাছ উৎপাদনে বিশ্বে চতুর্থ। তৈরী পোশাক শিল্প রপ্তানী দেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে উল্লেখ করে তিনি বলেন বাংলাদেশ এখন সবজি, মাছসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানী করছে। এ সময় স্পিকার কসোভোকে সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দেন।
রাষ্ট্রদূত গুনের উরেয়া বলেন, বাংলাদেশের জনগণ খুব আন্তরিক। কসোভোর জনগণের সাথে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় মিল হচ্ছে দু’দেশের জনগণই দৃঢ় পারিবারিক বন্ধনে বিশ্বাসী। বাংলাদেশের সাথে কসোভোর বন্ধন সুদৃঢ় করতে কূটনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধি করতে সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপ প্রতিষ্ঠার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ স্বল্প সময়ে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে, যা অনুসরণযোগ্য। এ সময় তিনি স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীকে কসোভোর আর্থ সামাজিক অবস্থান তুলে ধরে বাংলাদেশে সহযোগিতা কামনা করেন। এ সময় বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।